জামায়াত-শিবিরের গান গেয়ে তবুও সরকারপন্থী আলেমদের মহাসমাবেশ সফল হলো ন।
লিখেছেন লিখেছেন tritiomot ২৩ মার্চ, ২০১৩, ০৫:৪৯:৪৭ বিকাল
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে ডাকা মহাসমাবেশে জামায়াত নেতার গান পরিবেশন করেছে জামায়াত বিরোধীরা। সমাবেশে অধিকাংশ গানই জামায়াত-শিবিরের কবিদের লেখা বলে জানা গেছে।
সকাল সাড়ে ১১টায় সমাবেশে ‘রামপুরা ইকরা মাদ্রাসার ছাত্র আলী হুসাইন একটি প্যারোডি গান পরিবেশন করেন। গানটির শিরোনাম
‘কোন একদিন এদেশের আকাশে পতাকা উড়বে, কালেমার পতাকা উড়বে, সেদিন সবাই খোদাই বিধান পেয়ে দুঃখ বেদনা ভূলবে।’
তার এ হামদ এর পর উপস্থিত সমাবেশে আসা সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে কানাকানি শূরু হয়। অনেককেই এ রকমও বলতে শোনা যায়- শিবিরের কিছু এজেন্ট এসব গান পরিবেশন করাচ্ছে।
এর পর আরো কয়েকটি গান পরিবেশন করা হয়-যেগুলোর অধিকাংশ শিবিরের কবি হিসেবে পরিচিত জামায়াতের সাবেক কর্ম পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান মল্লিকের লেখা।
সরকারপন্থী আলেমদের মহাসমাবেশ। তাই সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর ব্যস্ততম মতিঝিলের প্রায় দুই বর্গ কিলোমিটার মধ্যে সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ইত্তেফাক মোড়, দৈনিক বাংলা, ফকিরাপুল ও আরমবাগ এলাকা দিয়ে মতিঝিলে কোন গাড়ি চলাচল করতে দেয়নি পুলিশ।
ফলে ওই এলাকায় কর্মরত বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ও মতিঝিল এলাকার মধ্য দিয়ে ঢাকার নানা প্রান্তে যাতায়াতকারীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে।
এদিকে সকাল ১১টা থেকে ৫টা পর্যন্ত মতিঝিলে হাজার হাজার লোক জড়ো করার কথা বললেও মহাসমাবেশ আহ্বানকারী সংগঠন ‘বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ তৌহিদী জনতা সংহতি পরিষদ’ বিকাল 5টা পর্যন্ত তিনশ’র মত লোক জড়ো করতে পেরেছে।
সকাল ১০টা থেকে ৮-১০ জন লোক মহাসমাবেশের মঞ্চ থেকে জামায়াতে ইসলামী বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় তারা বারবার মাইকে ঘোষণা করেন, সমাবেশে যোগ দিতে হাজার হাজার মানুষের মিছিল বিভিন্ন রাস্তায় রয়েছে। যোহরের নামাজের মহাসমাবেশ শুরু হবে।
এদিকে দুপুর বেলা ২টার দিকে মহাসমাবেশের মঞ্চ থেকে ঘোষণা দেয়া হয় যানজটে আটকে পড়ায় বিরাট বিরাট মিছিল এসে পৌছায়নি। এজন্য কাউকে হতাশ না হওয়ার আহবান জানিয়ে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়।
বেলা আড়াইটার দিকে বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ তৌহিদী জনতা সংহতি পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ এসে উপস্থিত হন। এ সময় মহাসমাবেশস্থলে সব মিলিয়ে দুইশ’র মত লোক উপস্থিত ছিল।
বেলা ৩টার দিকে মহাসমাবেশের মঞ্চ থেকে কয়েকজনকে ব্যস্ততার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে দেখা যায়। এরপর সাড়ে ৩টার দিকে আরো কিছু লোককে মহাসমাবেশস্থলে যোগ দিতে দেখা যায়।
সব মিলিয়ে মতিঝিলে সর্বোচ্চ তিনশ’ লোকের মহাসমাবেশ চলছে।
এদিকে মহাসমাবেশ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণ, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বন্ধ, নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তি দেওয়া সহ দশ দফা দাবি পেশ করা হয়।
এ সময় মহাসমাবেশকারীদের মিডিয়া কর্মকর্তা আরমান কায়সার কম লোক উপস্থিত হওয়ার ব্যাপারে কোন মন্তব্য না করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘জামায়াতে শুধু ইসলামী শক্তি নয় এরা ইসলামের শত্রু। এ দেশে এদের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও মওদুদীবাদের স্বরুপ উন্মোচন করাই এই মহাসমাবেশের উদ্দেশ্য।’
এ সময় তিনি ইসলামের সাথে জামায়াত শিবিরের বৈরীতা প্রমান করতে পেপার কাটিং দেখান।
তিনশ’ লোকের মহাসমাবেশের জন্য প্রায় দুই বর্গ কিলোমিটার এলাকার রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে মতিঝিল থানার ওসি হায়াতুজ্জামান বলেন, ‘পুলিশ যথেষ্ট নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। নিরাপত্তার প্রয়োজনেই সমাবেশ সংলগ্ন রাস্তাগুলো আপাতত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’
বিষয়: বিবিধ
১৬৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন