মোঃ জিল্লুর রহমান সবার দোয়া পেলেন, আপনি সবার দোয়া পাবেন তো !
লিখেছেন লিখেছেন tritiomot ২৩ মার্চ, ২০১৩, ০৩:১৬:৩৫ দুপুর
গতকাল দেশের প্রেসিডেন্ট দুনিয়ার সকল কিছুকে রেখে পরকালে হিসাব দেওয়ার নিমিত্বে লোকচক্ষুর অন্তরালে কবরে শায়িত হলেন ।দল মত নিবিশেষে বাংলাদেশের মানুষ তাকে ভাল মানূষ হিসাবে সাক্ষ্য দিয়েছেন।তার নামাযে জানাজায় আমরা লক্ষ লক্ষ লোকের উপস্থিতি দেখেছি। প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার কমীরা দেশের গুনী, জ্ঞানী, বুদ্ধিজীবি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কাছে তার সম্পকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। সবাই তাকে নিয়ে ভাল মন্তব্য করেছেন।দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন সে জন্যে নয় , মুলত একজন মানুষ হিসাবে তিনি সবার দোয়া পেয়েছেন।
রাজনৈতিক জগতে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বিপদের কান্ডারী হিসাবে খ্যাত । 1/11 এর সময় স্বাথকেন্দ্রীক নেতারা যখন নেত্রীকে জেলের মধ্যে রেখে নিজেরা বাঁচার ধান্ধায় দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে দ্বিধা করেনি, সেই কঠিন সময়ে তিনি দলের হাল ধরে দলকে টিকিয়ে রেখেছিলেন ।
যাইহোক জিল্লুর রহমান বঙ্গবন্ধুর অতি বিশ্বাসভাজন নিকটতম একজন সতীথ ছিলেন ।তার রাজনৈতিক জীবন পযালোচনা করলে দেখা যায় যে, আজকের আওয়ামীলীগে অধিকাংশ যেমন চাপাবাজি করে রাজনীতি করেন, তিনি তেমন ছিলেন না।রাজনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রেখে তিনি কথা বলতেন।কোন সমালোচনা করার প্রয়োজন পড়লে শালীন ভাষায় তা উল্লেখ করতেন ।তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন নম্র, ভদ্র, সজ্জন, বিনয়ী, সংযমী, পরমত সহিঞ্চু, আক্রোশ মু্ক্ত, বিরোধীদের প্রতি রাগ বিরাগহীন, সিদ্ধান্তে অবিচল, চরিত্রের অধিকারী।
তার একটি বড় ব্যর্থতা আছে । তাহলো তিনি তার সহকর্মীদেরকে তার আদর্শ শিক্ষা দিতে পারেন নি। কারন হিসাবে বলা যেতে পারে, এরা হলো সব সময় সুযোগ সন্ধানী নেতা । এদের অধিকাংশই চাপাবাজ, হিংসাত্বক, অহংকারী, আক্রোশকারী, আক্রমনাত্বককারী, দুণীর্তিকারী, মিথ্যাচারী সর্বোপরি ভিন্ন রাজনৈতিক দলন-পীড়নে বিশ্বাসী। এই সুযোগ সন্ধানী নেতারা 1971 সালে সাধারনকমীদেরকে যুদ্ধের মাঠে অরক্ষিত রেখে সীমান্ত পালিয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং আরাম-আয়াশে জীবন যাপন করেছিলেন। আমার কথাগুলো অপ্রিয় হলেও এটাই বাস্তব । এই মানুষিকতা সম্পন্ন লোকগুলো তাদের মৃত্যুতে সর্বসাধারনের দোয়া পাবেন কিনা, তারা এখন নিজেরাই যাচাই করবেন।
মৃতকালীন অথবা মৃত্যুর পর কোন ব্যক্তির জন্য মানুষের দোয়া আল্লাহর কাছে নাযাতের ফায়সালা হয়ে যেতে পারে। ইতিহাসে তিনি একজন ভাল মানুষ হিসাবে অভিহিত হন।
এমনি আরেকজন মানুষের কথা না বললেই নয়। তিনি হলেন মুফতি ফজলুল হক আমিনী। তিনিও লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন। তার জানাজায় আমরা লক্ষ লক্ষ মানুষ উপস্থিত হয়ে তার জন্য দোয়া করেছিলেন, যদিও সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোন প্রচারনা বা সরকারীভাবে তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বরং বিরোধী দলের একজন নেতা হওয়ায় এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ভুমিকা রাখায় পুলিশ তাকে তার বাসায় দীর্ঘদিন নজরবন্দী করে রেখেছিলেন। এতে তিনি মানুষিকভাবে অনেক কষ্টে ছিলেন।
যা বলছিলাম, ভাল মানুষ সবার কাছেই গ্রহনযোগ্য। যুগ যুগ ধরে পৃথিবীতে মানুষ যেমন স্বরণে রাখে, তদ্রুপ মহান আল্লাহর কাছেও প্রিয়পাত্র হন। তাই আসুন, আমরা সবাই মানুষের হৃদয়ে নিজেদেরকে স্থান করে নিই এবং আল্লাহর কাছে পুরস্কারস্বরুপ জান্নাতে চলে যাই।
বিষয়: বিবিধ
১১৪০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন