বাঘের বাচ্চা ভেড়ার পালে মিশে বলে আমি ভ্যাঁ, মুসলিম ঘরে জন্ম নিয়ে পরিচিতি ভুলে বলে আমি নাস্তিক
লিখেছেন লিখেছেন tritiomot ২৩ মার্চ, ২০১৩, ১০:৩১:৪৯ সকাল
একদা এক জঙ্গল থেকে বাঘীনী তার বাচ্চাকে নিয়ে খোলা মাঠে শিকারের খোঁজে বেরিয়ে আসল। পথিমধ্যে ভেড়ার পাল ছুটে চলছিল। বাঘ তাদেরকে দেখে আক্রমন করল এবং শিকার ধরে জঙ্গলের দিকে ফিরে গেল। এদিকে বাঘীনির বাচ্চাটি তার মাকে না পেয়ে ভেড়ার পালের সাথে মিশে গেল এবং তাদের সাথেই বসবাস করতে লাগল । ভেড়ার পালের সাথে বসবাস করতে করতে সে নিজের পরিচয় ভুলে গেল ।ভেড়ার ন্যায় সেও ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে ডাকতে থাকে।
কোন একদিন বাঘীনী খোলা মাঠে আবার শিকারের খোঁজে বেরিয়ে এলো। জঙ্গলের এক কোনে ওৎ পেতে বসে থাকল। হঠ্যাৎ দেখতে পেল একদল ভেড়ার পাল। সে মুর্হুত্বের মধ্যে হানা দিল তাদের পালে । আর অমনিই দেখতে পেল তার হারিয়ে যাওয়া বাচ্চাকে । বাঘিনী তখন শিকার না ধরে তার বাচ্চাটিকে তুলে নিয়ে গেল ।এরপর থেকে বড় আদর করে তাকে পালন করতে চায় । কিন্তু বাচ্চাটি অস্বস্তিবোধ করে এবং বারবার ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে ডাকতে থাকে। এতে বাঘিনী খুব কষ্ট পেতে লাগল এবং সে যে তার মা, এটা বুঝানোর জন্য খুবই চেষ্টা করতে লাগল। কিন্তু কোন কিছুতেই বাচ্চাটি সে তার মাকে চিনতে পারল না।
এমতাবস্থায়, বাঘিনী তার বাচ্চাকে হাতে নাতে প্রমান করার জন্য বুঝাতে লাগল এভাবে-
দেখো, তোমার হাতের নখ আর আমার হাতের নখ একই রকম তাই না। বাচ্চাটি বলল হ্যাঁ তাইতো , একই রকম । তখন বাঘিনী বলল , তাহলে নিশ্চয়ই তুমি আমার সন্তান, এবার এটা বিশ্বাস কর। তখন বাচ্চাটি বলল, না আমি ভ্যাঁ । তখন বাঘিনী বলল, দেখো তোমার গায়ের লোম, আর আমার গায়ের লোম একই রকম । বাচ্চাটি বলল, হ্যাঁ তাইতো ,একই রকম । তখন বাঘিনী বলল , তাহলে নিশ্চয়ই এবার বিশ্বাস কর তুমি আমার সন্তান । তখন বাচ্চাটি বলল, না আমি ভ্যাঁ ।এবার বাঘিনী বলল, দেখো তোমার গায়ের চামরার রং আর আমার গায়ের চামরার রং একই রকম । বাচ্চাটি বলল, হ্যাঁ তাইতো ,একই রকম । তখন বাঘিনী বলল , তাহলে নিশ্চয়ই বিশ্বাস কর, তুমি আমার সন্তান ।বাচ্চাটি বলল, না আমি ভ্যাঁ । এভাবে সবিশেষ বাঘিনী রেগে গিয়ে তাকে ধরে নিয়ে গেল একটি কুয়ার কাছে। কুয়ার পানি ছিল টলটলে। বাঘিনী তার বাচ্চাকে বলল যে কুয়ার মধ্যে তাকাও । এই বলে সে নিজেও তাকালো এবং বলল ,দেখো তোমার চেহারা আর আমার চেহারা একই রকম। বাচ্চাটি বলল, হ্যাঁ তাইতো ,একই রকম । তখন বাঘিনী বলল , তাহলে নিশ্চয়ই এবার বিশ্বাস কর তুমি আমার সন্তান । বাচ্চাটি বলল, না আমি ভ্যাঁ । আমি ভ্যাঁ । আমি ভ্যাঁ ।
উপরের এই গল্পটি বললাম এই জন্যে যে, বেশ কিছুদিন ধরে শাহাবাগে প্রজন্ম চত্তরের নাম দিয়ে যে র্কাযক্রম পরিচালিত হচ্ছে- তা আসলে কী ? তা বোঝানোর জন্য। কতিপয় রাম-বাম ও আমদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাঘকে ভেড়া বানানোর দুর্বিনীত প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এখানে অনেকে না বুঝে, না জেনে, অনেকে উৎসুক্যে, গমন করছেন । রহিম ,করিম ,মদন, সুধাংসু, রিনা বীনা, লাকী, পপি, চিংচু, মথি,মোজেনা, সাজেনা, ক্যাথি যেই যাকনা কেন সবাইকে শেখানো হচ্ছে বলুন আমরা সবাই ভ্যাঁ । এভাবে নিয়মিত বলতে বলতে রহিম ,করিম ,মদন, সুধাংসু, রিনা বীনা, লাকী, পপি, চিংচু, মথি,মোজেনা, সাজেনা,ক্যাথীরা সবাই নিজেদের আপন সত্বা ভুলে গিয়ে আত্মস্ব করেছে আমরা সবাই ভ্যাঁ । অর্থ্যাৎ বলুন, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার। রাজাকারে ছেয়ে গেছে দেশ । এরপর মেলা্য় উপস্থিত সবাইকে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য সরকার মহোদয় তার পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করেছেন। সুতরাং মেলায় স্বাচ্ছন্দে জনসমাগম হচ্ছে তা বলায় যায়। মেলায় বাড়তি আর্কষণ হচ্ছে গান, বাজনা, কবিতা, দোতারা, তবলা, একতারাসহ সুলোলিত কন্ঠে নারীর শ্লোগান, ইত্যাদি।
নিজেদের অস্তিৃত্ব ভুলে গিয়ে মুসলিম সন্তানেরা আজ কোথায় ? ধর্মনিরপেক্ষতার আবরণে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করে শুধুমাত্র জানাজার মাধ্যমে রসূল (স) এর শাফায়াত পাওয়া যাবেনা। রসূল (স) এর শাফায়াত পেতে হলে তিনি যে মক্কার প্রান্তরে প্রান্তরে পথভোলা মানুষকে ভাল পথে আনার জন্য ঘুরেছিলেন, তিনি যে বদরে, খন্দকে, ওহুদে কাফেরদের বিরোদ্ধে যুদ্ধে করেছিলেন , সেই পথে ধাবিত হতে হবে । শুধু মিলাদ-মাহফিলে মিষ্টি খেয়ে , বছরে দুইবার ঈদের নামাযে উপস্থিত হয়ে, ঘুষের টাকায় বড় গরু কিনে লোক দেখানো কোরবানী দিয়ে পার পাওয়া যাবেনা। তাই বলছি, এখনও সময় আছে ফিরে আসুন ইসলামের পথে , সারেন্ডার করুন আল্লাহর কাছে।
রসূল (স) এর শাফায়াত নিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করুন।
বিষয়: বিবিধ
১৪৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন