বোমা, গ্রানেড, পিস্তল, ককটেলসদৃশ বস্তুসহ নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে ছাত্রী সংস্থার ১৬ নারীকে আটক,
লিখেছেন লিখেছেন tritiomot ২০ মার্চ, ২০১৩, ১০:১৪:৫৫ রাত
কথিত নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লায় ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ১৬ নারীসহ ১৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছে পাওয়া গেছে জীবন বিধ্বংসী বোমা, গ্রানেড, পিস্তল, ককটেল এর দেখতে কিছুসংখ্যক ইসলামিক বই, রেজিস্টার খাতা ও ছাত্রী সংস্থার সদস্য ফরম, ক্যালেন্ডার ও ডায়েরি। পুলিশ এ সকল বিধ্বংসী সরমঞ্জমাদি উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে এ সকল সরমঞ্জমাদি নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গ্রেফতারদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়।
আটকরা হলেন, পলি আক্তার, মুক্তা, আয়েশা, নাসিমা, আসমা, ফাহেমা, নিলা, মেহেরুন নেছা, কানিজ ফাতেমা, নাসিমা, নাসরিন সুলতানা, নিলুফা, মালেকা, উর্মি আক্তার, ফাহিমা ও লতিফা। এদের মধ্যে নাসিমা ফতুল্লা থানা ছাত্রী সংস্থার এদের মধ্যে নাসিমা ফতুল্লা থানা ছাত্রী সংস্থার সভানেত্রী এবং কানিজ ফাতেমা সাধারণ সম্পাদিকা।
পুলিশের দাবি গতকাল বিকাল ৪টায় ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের একটি টিম ভূঁইগড় এলাকায় জনৈক কেফায়েতউল্লাহর বাড়ির ৪র্থ তলা ভবনের ২য় তলা থেকে গোপন বৈঠকের সময় ওই ১৮ জনকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে বাড়ির মালিক কেফায়েতউল্লাহর কলেজে পড়ুয়া দুই মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা হলেন, ইডেন কলেজের ছাত্রী ফাহিমা ও সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী লতিফা এবং দুই ছেলে রুহুল আমিন ও আহসান।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আকতার হোসেন জানান, ‘ভূঁইগড়ে কেফায়েতউল্লাহর বাসায় স্থানীয় দারুননেছা ইসলামিক মাদরাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রীদের নিয়ে একটি সভা চলছিল, এমন অভিযোগে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পরে সেখান থেকে নারীসহ ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা নাশকতার জন্য গোপন বৈঠক করছিল।’
কী অভিযোগে গ্রেফতার করা হলো ?
কী অভিযোগ গ্রেফতার করা হলো সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ জানায়, নবম শ্রেণীর ছাত্রীদের নিয়ে একটি সভা চলছিল, এমন অভিযোগে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
ছাত্রী সংস্থার মেয়েদের গ্রেফতারের কারন দেখে আমার কাছে কয়েকটি প্রশ্ন উদয় হলোঃ
ক) বাংলাদেশে জামায়াত-শিবির-ছাত্রীসংস্থা ব্যতীত বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো ঘরোয়া পরিবেশে কোন সভা করেন কিনা ?
খ) ঘরের মধ্যে 8/10 জন মিলে একসাথে চা বিস্কুট পান করেন কিনা ?
গ) একসাথে বসে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, রাতের খাবার খান কিনা ?
ঘ) বাংলাদেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত সভা সমাবেশ করেন কিনা ?
নবম শ্রেণীর ছাত্রীদের নিয়ে একটি সভা চলছিল, এমন অভিযোগে সেখানে অভিযান চালানো হয় এবং অভিযানকালে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশের ভাষ্যমতে, কিছুসংখ্যক ইসলামিক বই, রেজিস্টার খাতা ও ছাত্রী সংস্থার সদস্য ফরম, ক্যালেন্ডার ও ডায়েরি পাওয়া যায় ।
প্রশ্ন হলো, অভিযানে যেসকল দ্রব্যাদি পাওয়া গেছে, তার মধ্যে অবৈধ ও দেশের জন্য ক্ষতিকর কী পাওয়া গেছে ? যার জন্য পুলিশ তাদেরকে আটক করে থানায় ধরে আনলেন।
তাহলে কী ধরে নেব, কিছুসংখ্যক ইসলামিক বই, রেজিস্টার খাতা, ও সদস্য ফরম, ক্যালেন্ডার ও ডায়েরি এগুলো বোমা, গ্রানেড, পিস্তল, ককটেলের মত ভয়ংকর কোন মারনাস্ত্র ,যা দিয়ে সরকারকে প্রতিহত করা যায়।
হায় ! সেলুকাস ।
90% মুসলমানের এই দেশে স্কুল কলেজে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ শেখানোর জন্য বই লিখে সিলেবাসে অর্ন্তভুক্ত করে ছাত্র-ছাত্রীদের ধর্মবিমূখ করার কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে (ইতিমধ্যে তা প্রমানিত হয়েছে), সেখানে কিছুসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী ইসলামী জীবন গঠনে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্কুল কলেজের সিলেবাসের পাশাপাশি ইসলামিক বই পড়বে , কোরআন-হাদিস পড়বে, নবী-রসূলকে জানবে , সেখানেও সরকারের ঘোর আপত্তি । জামায়াত-শিবিরকে এ সুযোগও দেয়া যাবেনা। জোর করে তা বন্ধ করে দেয়া হবে, এটা কেমন সভ্যতা ? ইসলামিক বই পড়ার অপরাধে তাদেরকে গ্রেফতার করা হলো। ইতোপুর্বেও একই কারনে 18/19 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
বিবেক কী ভোঁতা হয়ে গেল ? অভিযানে যখন পাওয়া গেল কিছুসংখ্যক ইসলামিক বই, রেজিস্টার খাতা, সদস্য ফরম, ক্যালেন্ডার ও ডায়েরি , এগুলো তো কোন অবৈধ জিনিস ছিলনা । আবার এসকল ছাত্রীরা নিষিদ্ধ কোন রাজনৈতিক দলের কর্মীও নয়, তাহলে তাদেরকে আটক করা হলো কেন ?
মুসলমান হয়ে ধর্মীয় অনুশীলন করা যাবেনা, তাহলে কী সত্যি সত্যিই নাস্তিকে দেশ ভরে গেল ! !
বিষয়: বিবিধ
১৬৩১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন