হায় ! শাহদীন মালিক, জামায়াত–শিবিরকে ‘আত্মসমর্পণ’ করতে হবে ,এ লজ্জা রাখি কোথায় (শেষ পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন tritiomot ১৮ মার্চ, ২০১৩, ০৬:৫৩:০৮ সন্ধ্যা
আরো একটি অকাট্য যুক্তি :
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর দুটি গোষ্ঠি মানবেন্দ্র লারমা এবং সন্তু লারমার নেতৃত্বে ‘শান্তি বাহিনী’ নামক একটি সংগঠন করে তারা বাংলাদেশকে ভেঙ্গে পাবর্ত্য চট্টগ্রামকে স্বাধীন করতে ঘোষনা দিয়ে সশস্ত্র হাতিয়ার তুলে নিয়েছিল। তারা অসংখ্য বাঙ্গালীকে হত্যা করেছিল, হত্যা করেছিল অনেক সেনা কর্মকর্তাকে । সেই ‘শান্তি বাহিনী’ ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসা আওয়ামি সরকারের ক্ষমা গ্রহণ করে শান্তি চুক্তির মাধ্যমে অস্ত্র ত্যাগ করেছে । কিন্তু এই ‘শান্তি বাহিনী’ অসংখ্য বাঙ্গালী হত্যা করেছিল , তার বিচার কোন নাস্তিক, ধর্মরিপেক্ষতাবাদী বুদ্ধিজীবিরা চাননি । দ্বিতীয় গোষ্ঠি হলো ‘বঙ্গভূমি’ আন্দোলনকারীরা। এরা বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের সীমান্তবর্তী হিন্দু প্রধান অঞ্চল নিয়ে ‘স্বাধীন বঙ্গভূমি’ আন্দোলন করে যাচ্ছে । এই স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়েও কারো কোন মাথা-ব্যাথা নেই । সবার মাথা-ব্যাথ্যা শুধুমাত্র জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে, অথচ দলটি সবসময় রাষ্ট্রের আনুগত্য করে চলেছে । এমন তো নয় যে, এরা পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশকে আনুগত্য করছে। এরা বাংলাদেশের মাটিতে জন্ম নিয়ে এদেশের আলো বাতাসে বড় হয়ে দেশকে গড়ার কাজে আত্ম নিয়োগ করে চলেছে।
কিন্তু যারা দেশের সেবক, দেশের জন্য দরদ উথলে পড়ে, স্বাধীনতা বিরোধী বলতে বলতে মুখে ফেঁনা তুলে ফেলেন, তাদেরকে নিচের চলমান ঘটনাসমুহে চুপ থাকতে দেখে বড় বিস্ময় লাগে ।
তাই একটু ভাবুন, আসলে কি তারা দেশের সেবক?
(১) সীমান্তে বি এস এফ কর্তৃক অহরহ বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা সংঘঠিত হচ্ছে, এ ব্যাপারে তারা নিরব।
(২) তারকাটায় ফেলানীর লাশ দেখে তাদের হৃদয়ে কান্না আসে না, এরাই নাকি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি নয় ।
(৩) ভারতের বি,এস,এফ কর্তৃক বাংলাদেশের ভূমি দখলের প্রতিবাদ যারা করতে পারে না, তারা কিভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হয় ?
(৪) ভারত কর্তৃক বাংলাদেশের নদীর উপর বাধ দিয়ে পানি আটকানোর প্রতিবাদ যারা করতে পারে না, তারা কিভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হয় ?
(৫) যে বাংলাদেশে জামায়াত কর্তৃক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় একজনও অন্য ধর্মের লোক মারা যায়নি, তারা কিভাবে জামায়াতকে সাম্প্রদায়িক শক্তি বলে ?
উপরোক্ত আলোচনা আলোকে জনাব শাহদীন মালিককে বলব, আপনার একটি গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে বলে জানি। বয়সও হয়েছে, আপনার একটি মন্তব্য অথবা পরামশের্র গুরত্ব রয়েছে। এমন কোন পরামর্শ কিংবা মন্তব্য করা ঠিক হবেনা, যার জন্য বাংলাদেশে নতুন করে আরো রক্ত ঝরে। ইদানিং জামায়াত শিবিরের আন্দোলন দেখে অনেক রাম-বাম নেতারাও স্বীকার করছেন , জামায়াত-শিবির তাদের নেতা এবং সংগঠনের জন্য যে আন্দোলন করেছে, অন্যদের দ্বারা তা সম্ভব হত না। এত হত্যা, এত খুন, হাজার হাজার নেতা কর্মী আটক করার পরও তাদের আন্দোলনের গতি থামানো যাচ্ছেনা বলে তাদের অভিমত। আমার কাছেও তাই মনে হয়েছে। সেদিন তাদের এক নেতার বক্তব্য শুনে আমি থমকে দাড়িয়েছিলাম । তিনি যা বলছিলেন তার লিং
তার বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে, হাজার হাজার কর্মী মৃত্যুবরন করতে প্রস্তুত আছে, তথাপি তাদের ইসলামী আন্দোলনকে তারা নস্যাৎ হতে দেবেন না। কারন ইসলামী আন্দোলন করা ফরজ।এই মুহুর্ত্বে জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করলেই এর কার্যক্রম বন্ধ হবেনা বরং তা আরো দিগুন গতিতে এগিয়ে চলবে।ইসলামী আন্দোলন হল প্রবহমান স্রোতের মত । একে বাঁধ দিয়ে আটকানো যায়না। ইতিহাস তাই বলে।
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন