রাজাকার খয়ের উদ্দিনের নাতী ইমরান সরকার ছাত্রলীগ হয়ে রাজনীতি করতে পারলে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে শিবির করতে পারবনা কেন ?
লিখেছেন লিখেছেন tritiomot ১৭ মার্চ, ২০১৩, ১১:৫৯:৫৮ রাত
ইমরানের সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ
শাহবাগিদের নেতা ব্লগার ইমরান এইচ সরকার রাজাকার খয়ের উদ্দিনের নাতি ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তর সালেই রাজাকার খয়ের উদ্দিনকে হত্যা করে বিএসএফের সহযোগিতায়।
ইমরানের বাবা মতিন সরকার স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে সিপিবি করতেন। পরে সুযোগমত ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগে আশ্রয় নেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২-৭৪ সালে খয়ের উদ্দিনের স্ত্রী তার চাচা তদানীন্তন গাইবান্ধা পুলিশের দারোগাকে দিয়ে ঢাকায় যোগাযোগ করে ভাতিজি জামাইকে মুক্তি বার্তা সাপ্তাহিক পত্রিকায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তার নাম তোলেন। শহীদ পরিবার হিসেবে খয়ের উদ্দিনের মেয়ে ডাক্তার মাধবীর নামে সরকারি বাসা বরাদ্দ নেয়া হয়। তবে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরোধিতার মুখে পরে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের যে তালিকা প্রণয়ন করা হয়, তাতে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তার নাম রাখেনি। খয়ের উদ্দিনের আরেক ভাই আহমদ হাজীও রাজাকার ছিলেন। তিনিও মুসলিম লীগ করতেন।
ওই রাজাকার দাদা আর বাবার সন্তান হলেন তথাকথিত দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার এ ব্লগার ইমরান। ১৯৯৯ সালে এসএসসি ও ২০০১ সালে এইচএসসি পাস করেন। স্থানীয় পর্যায়ে লেখাপড়া শেষে ২০০২ সালে রংপুর মেডিকেলে ৩১তম ব্যাচে ভর্তি হন তিনি। সেখানে তিনি প্রথমে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক, ও ইন্টার্ন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। কলেজে তিনি ইভটিজার, বেয়াড়া, বেয়াদব ও নেশাখোর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পাস করার পর ২০০৯ সালে চলে আসেন ঢাকায়। আওয়ামীপন্থী পেশাজীবী সংগঠন ‘স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ’-এর (স্বাচিপ) জোরে বিশেষ বিবেচনায় অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ পান কুড়িগ্রামের উলিপুরে। তবে সেখানে তিনি কোনোদিন দায়িত্ব পালন করেননি। এরপর ঢাকা মেডিকেলে ইমরান অ্যানসথেশিয়া বিভাগে যোগ দেন। কিন্তু সেখান কাজ ছাড়াই বেতন তুলে নিতেন। শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (এমএমইউ) ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হলেও তা শেষ করতে পারেননি তিনি। তিনি স্বাচিপ নেতা ইকবাল আর্সালানের লোক পরিচয় দিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা ঘুষ ও চাঁদাবাজি করে দুইটি মাইক্রোবাসের মালিক হন।
উপরোক্ত পরিচয়ে তিনি যদি শাহবাগের নেতা হয়ে সরকার কতৃর্ক সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারেন, পুলিশ প্রহরায় মার্সিডিজ গাড়ি হাকিয়ে চলতে পারেন, তার কথায় বিচার বিভাগের বিচারকরা রায় পরিবর্তন করতে পারেন, দেশে বিদ্যমান সার্বভৌম সরকার থাকার পরও শাহবাগকে তিনি সরকারের চেয়েও শক্তিশালী ঘোষনা করতে পারেন, সম্প্রতি ক্ষমতার আধার হয়ে কোটি কোটি টাকা কামাই করতে পারেন, তাহলে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে শিবির করতে পারবনা কেন?
কেন শিবিরকে নিষিদ্ধ করার জন্য নাগরিক সমাজ দাবী পেশ করবে ? কেন মহান সংসদে মুখ বাঁকা করে সুরণ্জিত সেন গুপ্ত শিবিরকে নিষিদ্ধ করার জন্য বিল উত্থাপনের প্রস্তাব রাখবে ? যে কোরআনের আইন সকল মতাদশের্র উপর প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ নিদের্শ দিয়েছেন, কেন সেটা নিষিদ্ধের জন্য মুসলমান নামধারী নাস্তিকরা উঠে পড়ে লাগবে ?
ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রদল, ছাত্রমৈত্রি করলে সমস্যা হয়না, শিবির করলে সমস্যা হবে কেন? এ সকল ছাত্র সংগঠন করে ইভটিজার, বেয়াড়া, বেয়াদব ও নেশাখোর, নারীখোর, ধর্ষক, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি করলে সমস্যা হয়না বরং প্রগতিশীল হিসাবে বাহবা পাওয়া যায়। শিবির করে আল্লাহর সেই র্নিদেশ পালন করলে কেন সমস্যা হবে?
আমার জীবন আমি গঠন করব। এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব আমার।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী Harbert Spencer বলেন,
‘Everyone is free to do whatever he wills provided he infringes not the equel freedom of any other man.’
Proff. Laski এর মতে ,
‘By liberty, I mean eager maintenance of that atmoshphere in which men have the opportionity to be their best selves.’
তাহলে আমার স্বাধীনতায় অন্য আরেকজন হস্তক্ষেপ করবে কেন?
আমি যদি কারো অধিকার পদদলিত না করে সুষ্ঠভাবে আমার জীবন অতিবাহিত করতে পারি, তবে অন্যের কী ?
আল্লাহর জমীনে বসবাস করে, তারই আলো বাতাস গ্রহণ করে, তার দেওয়া রিযিক খেয়ে, তারই মাটিতে পা রেখে, তারই দেওয়া সুন্দর হাত, পা, চোখ দিয়ে তারই বিরোদ্ধে কুৎসিত লেখা লেখে, মন্তব্য করে,গগণবিদারী শ্লোগান দিয়ে যারা নিজেদেরকে নাস্তিক বলে পরিচয় দিয়ে রাজনীতি করতে পারবে, অথচ আল্লাহর জমীনে তার নির্দেশিত দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কথা বলতে পারব না, এটা তো হতে পারে না।
মুল অপরাধ যেটিঃ
অপরাধ একটা আছে, আর তা হলো আল্লাহ আকবর শ্লোগান। এই শ্লোগান শুনলে শয়তান ভয় পায়, আর মুমিন ব্যক্তি ভরসা পায়। একটু টিন্তা করলেই তা বুঝা যায়। মুয়াজ্জিন যখন নামাযের আযান দেয়, তখন দুই শ্রেণীর মানুষের নড়াচড়া শুরু হয়ে যায়।এক শ্রেণীর মানুষ আযানের ডাকে ভয় পেয়ে সারেন্ডার করার জন্য মসজিদের দিকে ধাবিত হয়, আর আরেক শ্রেণীর মানুষ ‘আল্লাহ আকবার’ শব্দ শুনে ভয় পেয়ে কানে হাত দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
যারা দ্বিতীয় পর্যায়ের মানুষ তাদেরকে বলি , এখনও সময় আছে, নিজেদের কৃতকর্মের জন্য মহান আল্লাহর কাছে তওবা করে ক্ষমা চান, ফিরে আসুন কোরআনের কাছে নতুবা সেই দিনের জন্য প্রস্তুত হন , যেদিন আপনার পাশে আর কেউ থাকবেনা আর কৃতকর্মের জন্য ফেরেশতারা ধাক্কাতে ধাক্কাতে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে।
বিষয়: বিবিধ
২১৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন