হায় ! শাহদীন মালিক, জামায়াত–শিবিরকে ‘আত্মসমর্পণ’ করতে হবে ,এ লজ্জা রাখি কোথায় (পর্ব-2)

লিখেছেন লিখেছেন tritiomot ১৭ মার্চ, ২০১৩, ০৭:৩২:১৬ সন্ধ্যা



http://www.bdtomorrow.net/blog/bloggeruploadedimage/rais/1363516250.jpg

1) স্বাধীনতার পর থেকে এ যাবৎ বাংলাদেশে স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি বলে দাবীদার আওয়ামী লীগসহ এর অঙ্গসংগঠনগুলো যে পরিমান সন্ত্রাস, খুন, জখম, ধর্ষণ, লুটতরাজ, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করেছে, তার কতো শতাংশ স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি বলে পরিচিত জামায়াত-শিবির কর্মীরা করেছে ?

2) আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে এ যাবৎ উপরোক্ত কার্যক্রমের ফলে যতগুলো মামলা হয়েছে, তার কতো শতাংশ মামলা জামায়াত-শিবির কর্মীদের বিরুদ্ধে একই অপরাধে হয়েছে ?

4) এ যাবৎ যতগুলো মামলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রাষ্ট্রপতির ক্ষমার আওতায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা দন্ড থেকে মওকুফ নিয়েছে, এ বিষয়ে জামায়াত-শিবির কর্মীদের নিতে হয়েছে কয়টি ?

5) কতোজন জামায়াত-শিবির কর্মী এ যাবৎ সন্ত্রাস, খুন, জখম, ধর্ষণ, লুটতরাজ, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছে ?

6) স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি বলে দাবীদার আওয়ামী লীগসহ এর অঙ্গসংগঠনগুলো ধষণের যে সেঞ্চুরী করেছে, তার কতো শতাংশ জামায়াত-শিবির কর্মীরা করেছে ?

এবার আসি, যুদ্ধাপোরাধী প্রসঙ্গে ।

1970 সালের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী পুব পাকিস্তানে 300 টি আসনের মধ্যে কেবলমাত্র 1 টি আসন লাভ করে।3,00,04,065 টি ভোটের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী 6% ভোট পায় , যার পরিমান 1,98,243 টি।বাকী ভোটের মধ্যে আওয়ামীলীগ 74.9% হিসাবে 1,29,37,162 টি ভোট পায় । আওয়ামীলীগের ভোটের তুলনায় 1.53% মাত্র।

25 শে মার্চের রাত্রে জাতির আশার প্রতীক শেখ মুজিব নিজের আত্মরক্ষার জন্য পাকিস্তানী শাসকের নিকট আত্মসর্মপণ করে পাকিস্তানে চলে যান। যাওয়ার আগে তার প্রিয় সহকর্মীদের নিরাপদে থাকার জন্য ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে যান। আজকে আওয়ামীলীগের যেসব নেতা দেশের জন্য বড় বড় কথা বলে আস্ফালন করেন, তারা সেদিন প্রিয় নেতার পরামর্শ মোতাবেক ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং বহাল তবিয়তে হানাদার কর্তৃক বাংলার দামাল ছেলেদের হত্যাযজ্ঞ দশর্ন করছিলেন।

এই যুদ্ধে ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, বুদ্ধিজীবিসহ দেশের আপামর জনসাধারন পাকিস্তানী হানাদার কর্তৃক হত্যা, নির্যাতন সহ্য করে লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্রের বিনিময়ে দেশের জন্য একটি স্বাধীন পতাকা এনে দিয়েছিল। স্বাধীনতার পর প্রবাসী নেতারা এসে ক্ষমতার মসনদে চেপে বসলেন। আর এই ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য যে জনতা স্বাধীনতা এনে দিল, সেই জনতার উপর খড়গহস্ত ধারণ করলেন। শেখ মুজিবের মাথায় কী ভূঁত চেপে ছিল জানিনা, 99% মুজিব পাগল মানুষের মধ্যে পাগলের সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য তাদের উপর অত্যাচারের স্টীমরোলার চালিয়ে দিল। দাম্ভিকতা করে নিজেদের তল্পীবাহী 4 টি পত্রিকা ছাড়া সব পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হলো । মুজিব পাগল মানুষগুলোকে তিনি আর বিশ্বাস করতে পারলেন না। তাই নিজের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য প্রজ্ঞাপন করে রক্ষীবাহিনী গঠন করে দেশ প্রেমিক জনতার ইজ্জতহরণ, হত্যা, ও সম্পদ লুন্ঠন করে নিল। এমতাবস্থায়, স্বজনহারা, সম্পদহারা, ইজ্জতহারা মানুষগুলো সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে বিচার চেয়ে তার সাহায্য কামনা করল। নব্য শোষকের হাত থেকে বাচাঁর জন্য মজলুম মানুষের চোখের পানি আল্লাহ সহ্য করতে পারেনী।

তাই আকাশচুম্বী জনসমর্থন থাকার পরও ক্ষমতা আরোহনের মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে নিমর্মভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিহত হতে হল। সেদিন মানুষ তার মৃত্যুতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল ?

চলমান পব -3

বিষয়: রাজনীতি

১০৬৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File