“অন্ধব্যক্তিপুঁজা, ধর্মহীন রাজনীতি ও রাজনীতিই ধর্ম” এই তিনটিই প্রকৃত ইসলাম প্রতিষ্ঠায় বড় বাধা।(পর্ব-2)
লিখেছেন লিখেছেন tritiomot ১৬ মার্চ, ২০১৩, ১১:১৫:৫৮ সকাল
ক) ধর্মনিরপেক্ষতার কুফল রাষ্ট্রীয়ভাবে সুদভিত্তিক অর্থনীতি চালু হয়েছে, যা দেশবাসীকে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় হারামখোর বানাতে বাধ্য করছে।
খ) ধর্ম থেকে রাজনীতিকে আলাদা করার কারনে একজন ব্যক্তি তার দৈনন্দিন জীবনে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইচ্ছামত ঘুষ গ্রহণ করতে তার হাত কাঁপে না।
গ) মাল মওজুদ করে ইচ্ছাকৃতভাবে কৃত্তিম খাদ্যসংকট সৃষ্টি করতেও এরা জাহান্নামের ভয়ে ভীত হয়না।
ঘ) জুয়া, লটারী, স্মাগলিং এর হারাম পয়সা দিয়ে তার নিজের সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতেও তারা ভয়ে আতঁকে ওঠেনা।
ঙ) চাঁদাবাজী , ধর্ষণ, ছিনতাই, অপহরণ, গুম, মদ, আফিম ইত্যাদি এখন নিত্যকার ফ্যাশন হিসাবে দাড়িয়েছে।
এর একমাত্র কারন হল , তার বিশ্বাস অনুযায়ী এগুলো সবই হল বৈষয়িক ব্যাপার। ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী হওয়ার কারনে তার দ্বীন, তার দুনিয়ার উপর এগুলো কোন প্রভাব বিস্তার করবে না। ঐ ব্যক্তি হবে তখন পুরো দুনিয়ার। দুনিয়াবী লাভ লোকসানই হবে তার সকল কাজের নৈতিক মানদন্ড।
যারা দেশের রাজনৈতিক ও বৈষয়িক ব্যাপার নিয়ে মাথা ঘামান না বরং আলীশান খাঁনকায়ে বসে মারেফতের সবক দেন কিংবা বার্ষিক ওরস-ঈসালে ছওয়াব ও প্রাত্যহিক নজর-নেয়াজের দৈনিক ব্যালান্স হিসাব করায় সদা ব্যস্ত থাকেন , তারাই এদেশে দ্বীনদার বলে খ্যাত।
আমরা যারা আল্লাহর কোর আন ও রসূল(স) এর ছুন্নাহ অনুযায়ী জীবন গড়ার মানুষিকতা নিয়ে আল্লাহর সন্তোষ্টি হাসিল করতে চাই, তাদের কে উপরোক্ত জাহেলী মতবাদটি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে এবং নিজেকে, নিজের পরিবার ও সমাজকে এই ইসলাম ধ্বংসকারী খ্রীষ্টানী কুফুরী মতবাদ হতে এবং এ মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেদের জান, মাল, সময়, ও শ্রম দেওয়া হতে বিরত থাকতে হবে।
চলমান পাতা-৩
বিষয়: রাজনীতি
১০৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন