“অন্ধব্যক্তিপুঁজা, ধর্মহীন রাজনীতি ও রাজনীতিই ধর্ম” এই তিনটিই প্রকৃত ইসলাম প্রতিষ্ঠায় বড় বাধা।(পর্ব-1)
লিখেছেন লিখেছেন tritiomot ১৫ মার্চ, ২০১৩, ১০:৪৩:৩২ রাত
‘Secularism ’ বা ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দটি ব্রিটিশ বেনিয়াদের দর্শন।ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের শাসন ব্যবস্থাকে র্দীঘমেয়াদী করার লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতি থেকে ধর্মকে পৃথক করে মুসলমানদেরকে জোর করে শিখানো হলো রাজনীতি ও ধর্ম আলাদা বিষয়।
Religion should not be allowed to come into politics. It is merely matter between Men and God.
অর্থ্যাৎ রাজনীতিতে ধর্মের প্রবেশাধিকার দেওয়া উচিত নয়।এটা শুধুমাত্র মানুষ আর স্রষ্টার মধ্যকার একটি বিষয়মাত্র।
ধর্মনিরপেক্ষতার কুফল : ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র মুল কথা হলো, ইসলামকে মানুষের বৈষয়িক জীবন থেকে বিতাড়িত করে আধ্যাত্মিক জীবনে বন্দী করে ফেলা। অত:পর সেখান থেকেও ক্রমে ক্রমে বিদায় করে দিয়ে মানুষকে পুরো নাস্তিক ও বস্তবাদী করে তোলা।
যেদিন থেকে এই মতবাদ সৃষ্টি হয়েছে, তখন থেকেই মুসলমানরা ইসলামকে অপুর্ন ও বিকলাঙ্গ ভাবতে শুরু করেছে। তাই “চৌদ্দশ বছরের পুরোন ইসলাম এ যুগে অচল” এ কথা বলতে মুসলিম শিক্ষিত সন্তানের জিহবা আড়ষ্ট হয়না।
এই দর্শনের মারাত্বক কুফল হিসাবে মুসলমান তার আধ্যাত্মিক জীবনে আল্লাহর আইন ও বৈষয়িক জীবনে নিজের জ্ঞান বা প্রবৃত্তিকে ইলাহ এর আসনে বসিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন,
“আপনি কি তাকে দেখেন নি’ যে তারা প্রবৃত্তিকে উপাস্যরুপে গ্রহণ করে ? তবুও কি আপনি তাদের জিম্মাদার হবেন? আপনি মনে করেন যে, তাদের অধিকাংশ শোনে অথবা বোঝে ? তারা তো চতুষ্পদ জন্তুর মত বরং আরো অধম!”(ফুরকান-43-44)।
এই দর্শনের মারাত্বক কুফল হিসাবে আমাদের নেতারা রাজনীতির মঞ্চে সোচ্চার গলায় বলেন, “জনগনই সকল ক্ষমতার উৎস্।”
এই কারনে মসজিদে পাক্কা মছুল্লী এবং আলহাজ লকব নিয়ে জীবন কাটিয়ে দিলেও বৈষয়িক ব্যাপারে তার কোনই প্রভাব পড়বে না, যদি নাকি ঐ ব্যক্তি ধমনিরপেক্ষ মতবাদে বিশ্বাসী হয়।
চলমান পাতা-2
বিষয়: রাজনীতি
১৪৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন