“আসছে রমজান । আসুন এখন থেকেই মুক্তির জন্য প্রস্তুতি নিই।” (পর্ব-১)

লিখেছেন লিখেছেন tritiomot ০৩ মে, ২০১৫, ০২:৩৮:৩৬ দুপুর

‘‘যে ব্যক্তি রমাদান মাস

পেলো অথচ তার

গুনাহ মাফ করাতে পারল

না সে ধ্বংস হোক’’

[শারহুস সুন্নাহ : ৬৮৯]।

তাক্কওয়া সৃষ্টি করার জন্য রোযা, ক্কিয়ামুল লাইল এবং কুরআন মাজিদের তিলাওয়াতের চেয়ে অধিক কার্যকর কর্মসূচী তৈরী করা অসম্ভব, আর এই কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য পবিত্র রমাদ্বান মাসই সবচেয়ে মোক্ষম সময়। দিনে রোযা রাখা এবং রাতে দাঁড়িয়ে কুরআনের তিলাওয়াত শোনা, উভয় কাজকে রমাদ্বান মাসে একত্রিত করে আল্লাহ্ তা‘আলা প্রকৃতপক্ষে এই তাক্কওয়া অর্জনের পথ আমাদের জন্য খুলে দিয়েছেন।

আমরা রোযা রাখলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় দিনের বেলা ক্ষুধা-পিপাসাসহ শরীরের অপরাপর বৈধ চাহিদা থেকে বিরত থাকি। তাঁর কাছ থেকে বিনিময় ও পুরষ্কার পাবার জন্য নিজেদের বৈধ চাহিদাগুলোকে কুরবান করে দেই, রাত এলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাঁর কালাম শ্রবণ করি,আর সারা মাসে কমপক্ষে একবার পুরো কিতাবের তিলাওয়াত শুনে নেই। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, ভাষা না জানার কারণে এবং পরিশ্রম না করার কারণে আমাদের পাল্লায় কিছুই পড়েনা, কেননা আল্লাহ্ তা‘আলা আমাদেরকে কি বললেন আর আমরা কি শুনলাম, কিছুই বুঝা গেলনা। কিন্তু আল্লাহ্ তা‘আলার উদ্দেশ্য একেবারেই সুস্পষ্ট, তিনি চান এমাসের মধ্যে পুরো হেদায়েত গ্রন্থ থেকে আমরা যেন আলোকিত হই, যা তিনি পবিত্র কুরআন মজিদের মাধ্যমে আমাদেরকে দান করেছেন। যার উপর আমল করা এবং যার দিকে অন্যদেরকে আহ্বান করা আমাদের প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য। পবিত্র কুরআন মজিদের তিলাওয়াতের মাধ্যমে জ্ঞান ও ঈমান লাভ হয় এবং রোযার মাধ্যমে আমলের শক্তি আর্জিত হয়।

রোযার মধ্যে আল্লাহ্ তা‘আলার হুকুম হলে আমরা খাই, তাঁর হুকুমে আমরা খাওয়া থেকে বিরত হয়ে যাই। অথচ খাওয়াও হরাম নয়, পান করাও হারাম নয়, কিন্তু রোযার মধ্যে আমরা এই মৌলিক প্রয়োজনগুলোকেও আল্লাহ্ তা‘আলার আনুগত্যের কারণে আমাদের উপর হারাম বানিয়ে নেই, যা অন্য সময় পুরন করা শুধু বৈধই নয়, বরং অবশ্য কর্তব্যও বটে। এর মাধ্যমে আমরা এমন শক্তি অর্জন করি, যে শক্তির ফলে আমরা প্রয়োজন যতই কঠিন হোক না কেন এবং তা যতই সঠিক ও বৈধ মনে হোক না কেন, আল্লাহ্ তা‘আলা নিষেধ করেছেন, তাই আমরা সে সব কাজ থেতে বিরত হয়ে যাই।

বিষয়: বিবিধ

১৯৩৩ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

317891
০৩ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:০৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো
আল্লাহতায়ালা আমাদের রমজানের পুর্ন সদ্বব্যাবহার করার তেীফিক দিন।
317898
০৩ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৪
অনেক পথ বাকি লিখেছেন : সবার প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। আল্লাহ সবাইকে তৌফিক এনায়েত করুন আমিন
317924
০৩ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৮
শেখের পোলা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খাইরান
317927
০৩ মে ২০১৫ রাত ০৮:১০
আবু জান্নাত লিখেছেন : রমাদানের প্রতিটি মুহুর্ত হোক আমাদের নেক আমলের সোপান। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে রমাদানের হক্ব আদায় করার তাওফীক দান করুন। জাযাকাল্লাহ খাইর
317975
০৪ মে ২০১৫ রাত ১২:০৯
আফরা লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো
আল্লাহতায়ালা আমাদের রমজানের পুর্ন সদ্বব্যাবহার করার তৌফিক দিন। আমীন।

জাজাকাল্লাহ খাইরান ।
317980
০৪ মে ২০১৫ রাত ১২:২৬
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু শ্রদ্ধেয় ভাইয়া। মাহে রমযানের গুরুত্ব অনুধাবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু। আল্লাহ্‌ সুবহানুতা’য়ালা প্রত্যেক বান্দা বান্দিকে এই মাহে রমযানের পরিপূর্ণ হক পালনের তৌফিক দিন। আমীন।
317982
০৪ মে ২০১৫ রাত ১২:৩৪
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : জাজাকালাহু খায়ের Good Luck Good Luck
317990
০৪ মে ২০১৫ রাত ০২:০৩
আবু জারীর লিখেছেন : গুনাহ মাফের এই সুযোগকে কাজে লাগানোর তাওফিক আমানা করছি। হে রব! তুমি আমাদের সঠিক সরল পথ দেখাও।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File