একজন ইসলামী রাজনীতিকের এর বাড়ি। মানুষ সাধারনত সবচেয়ে ভাল বাসে সম্পদ ও টাকা পয়সা । যার উপর নির্ভর করে মান সম্মান, সামাজিক মর্যাদা , প্রভাব পতিপত্তি। কিন্তু ইসলামী আন্দোলনের নেতারা এটা কি করলেন?
লিখেছেন লিখেছেন tritiomot ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৯:১৫:৪৮ রাত
একজন ইসলামী রাজনীতিকের এর বাড়ি। মানুষ সাধারনত সবচেয়ে ভাল বাসে সম্পদ ও টাকা পয়সা । যার উপর নির্ভর করে মান সম্মান, সামাজিক মর্যাদা , প্রভাব পতিপত্তি। কিন্তু ইসলামী আন্দোলনের নেতারা এটা কি করলেন?
1971 সালে অন্যের বাড়িতে আগুন ধরিয়েছে বিনা পয়সায়। লক্ষ লক্ষ নারীকে ধর্ষণ করেছে ক্ষনিকের জৈবিক চাদিা পুরনের জন্য। এটা কোন কাজ হলো। তাই তো স্বাধীনতার 43 বছর পরে এসে দেখা যায় যে, তাদের বাড়ি এখন টিনের তৈরি ঘর।
সাংবাদিক ভাইদের বদৌলতে সেদিন দেখতে পেলাম নিজামীর বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা নেই। আব্দুল কাদের মোল্লার বাড়িতে টিনের ঘর রয়েছে। মুজাহিদের একই অবস্থা। তাহলে এরা এতোবড় অপরাধটি কি করলো ? সম্পদহীন ,সামাজিক প্রভাব প্রতিপত্তিহীন মানুষগুলো কিভাবে 1971 সালে পাক হানাদের নিকট থেকে নেতৃত্ব কেড়ে নিয়ে নিজেরাই এতো জগন্যতম কাজ সংঘঠিত করলো ?
অথচ 1971 সালের পর দেখা যায় যে, সর্বোত অভাব অনটনে লিপ্ত থাকা মানুষগুলো আজকে বড় বড় বিত্তশালী হয়ে ঢাকাসহ মফস্বল শহরের আনাচে কানাচে গাড়ি হাকিয়ে চলছে। প্রকাশ্য জনসম্মুখে টাকা-পয়সা বিকিয়ে এমন কোন হীন কাজ নেই যে, তারা করছে না। তারাই আজ দেশের একমাত্র দেশপ্রেমিক হিসাবে খ্যাত। তারা আজ অসংখ্য কুমারী মেয়ের ইজ্জত লুন্ঠন করে পয়সা দিয়ে মিমাংসা করছেন। ক্লাবে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাত্র জেগে মদ্যপান করে সকালে দেশের সৎচরিত্রবান বনে যাচছেন। দূনীতির টাকা দিয়ে হজ্জ পালন করে রাতারাতি হাজী খেতাব ধারন করছেন।
তাদের চরিত্রের ফসল হিসাবে আমরা সকাল বেলায় ডাষ্টবিনে কুমারী মেয়ের সদ্যজাত ভুমিষ্ট সন্তানের ছবি দেখতে পায়। তবুও তারা সহীহ মানুষ। তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। গত 10 বছরে ছাত্রলীগের ছেলেরা ধর্ষণের সেঞ্চুরীর ইতিহাসসৃষ্টি করেছেন, যা সবাই জানে। তাদের ফাঁসি হয়নি। প্রকাশ্য দিবালোকে বিশ্বজিৎকে খুন করেছেন শাকিল নামের ছাত্রলীগাররা । বিশ্ববাসী তা প্রত্যক্ষ করেছে। এখনও ফাঁসি হয়নি তাদের।
অথচ 1971 সালে ঘটে যাওয়া অন্যের কাজকে জোর করে জামায়াত নেতাদের ঘাড়ে চাঁপিয়ে বিচারিক হত্যার নামে এক এক করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিচ্ছেন। যাদের উপর এই নৃশংস হত্যাযঞ্জ ও নারী ধর্ষনের অভিযোগ আনা হয়েছে, 1971 সালের পর বাস্তবে তাদের কিংবা তাদের ঔরসজাত সন্তানদের মধ্যে এ সকল অপরাধের কোন নজির পাওয়া যায়নি।
আওয়ামী সরকারের ভাগ্য ভাল যে, যে এরা ইসলামী আন্দোলন করেন। চিরন্তনভাবে পারকালীন মুক্তির প্রতি বিশ্বাস থাকায় তাই এ বিচারিক হত্যাকে শাহাদত হিসাবে ধরে নিয়ে সবকিছু মেনে নিচ্ছেন।
মনে পড়ে গেল নিষিদ্ধ ঘোষিত আন্ডার গ্রাউন্ড পার্টির নেতাদের কথা। গ্রামীন এলাকায় দেখা যায় যে, কোন কারনে যদি দলের কোন নেতার ফাঁসি কিংবা কারাগারে আটক হন, তাহলে তিনি জেল থেকে মুক্ত হয়ে সেই যার কারনে জেল কিংবা ফাঁসি , তার পরিবার বা দলের চৌদ্দ গোষ্টি নিপাত না করে ক্ষান্ত হননা। আর যদি ফাঁসি হয়, তাহলে পাটির অন্য লোকগুলো কিংবা ভুক্তভোগী লোকের পরিবারের অন্য সদস্যরা এর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য জিঘাংসায় মত্ত থাকেন। তারা পরকালের ধার ধারেন না। সুযোগ পেলেই খেল খতম। । সেদিক দিয়ে সরকারের কোন ভয় নেই। কারন এরা যেদিন সংগঠনে প্রবেশ করেছেন, সেদিনই তারা তাদের জীবন ও সম্পদকে জান্নাতের বিনিময়ে আল্লাহর কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। তাই এ পথে যে কোন প্রকারের মৃত্যুকে তারা ‘ভি’ হিসাবে দেখাতে কুন্ঠাবোধ করেন না। এটাই তাদের একমাত্র চাওয়া।
বিষয়: বিবিধ
১৬২৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
মন্তব্য করতে লগইন করুন