তাবলীগ জামাত কি ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করে ?

লিখেছেন লিখেছেন tritiomot ২৫ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৩:০৫:৩৪ দুপুর



তাবলিগ জামাত ছয়টি মূলনীতির দ্বারা পরিচালিত হয়। যথাঃ- ১) কালিমা, ২) সালাহ্, ৩) ইল্ম ও জিক্র, ৪) ইকরাম-ই-মুসলিম, ৫) বিশুদ্ধ নিয়্যত, ৬) দাওয়াত ও তাবলীগ। (সূত্রঃ- উইকিপিডিয়া)

তাবলীগ জামাতের এই ছয় মূলনীতির ভিত্তি কি, আর কেনই বা এই ছয় মূলনীতি? ইসলামের মধ্যে এরকম আলাদা করে নীতি প্রতিষ্ঠার কোন সুযোগ রয়েছে কিনা ? কোন মানুষ ইসলামকে তার দীন হিসাবে নিতে চাইলে কালিমার সাক্ষ্য দিয়েই সে ইসলামের সীমায় প্রবেশ করে। সুতরাং যিনি নিজেকে মুসলিম হিসাবে পরিচয় দেন তিনি তো কালিমার সক্ষ্য দিয়েছেনই। তাদের অনান্য মূলনীতির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোয্য। এখানে তাবলীগের মূলনীতি হিসাবে যা বলা হয়েছে তা তো ইসলামেরই কথা। তবে তাদের কর্মকান্ডের সাথে এই মূলনীতিকে যাচাই করলে অবশ্য তাদের এই মূলনীতি কেন তা বুঝা যায়। আগেই বলেছি তারা ইসলাম শব্দটি খুব সযত্নে এড়িয়ে যান, পরিবর্তে তারা বলেন দীন। ইসলাম একটি ব্যাপক বিষয়, ইসলাম শুধু মাত্র কালিমা, সালাত, যাকাত, সাওম হজ্জের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আল্লাহ্তা’লার আনুষ্ঠানিক ইবাদত যেমন সালাত, যাকাত, সাওম, হজ্জ থেকে নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা পর্যন্ত সবকিছুই ইসলামের আওতাভুক্ত। এর কোন একটিকে ছেড়ে দিলে ইসলামের ওই অংশটুকু অপূর্ণই থেকে গেল। ওই অপূর্ণ থাকা অংশটুকু যদি ইসলামের আওতাভুক্ত না হয়, তাহলে অবশ্যই তা অইসলামী বিষয়াদি দিয়েই পূর্ণ হবে। কিন্তু ইসলামের মধ্যে অইসলামী বিষয় থাকার অবকাশ কোথায়। ইসলামে কোন ককটেল গ্রহনযোগ্য নয়। এই জন্যেই আল্লাহ্ সুবহানাহুতা’লা বলেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ করিও না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু”।……….. সূরা বাকারা ২:২০৮। এখন আমরা যদি আমাদের সমাজকে, রাষ্ট্রেকে ইসলামের আলোকে মূল্যায়ন করি, তাহলে আমরা কি বলতে পারি যে আমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে দাখিল আছি? যদি হিসাব করে দেখা হয় তাহলে দেখা যাবে আনুষ্ঠানিক ইবাদত ব্যতীত আর কিছুই ইসলামিক নয়। আল্লাহ্তা’লা যে বললেন শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না, এখন আমাদের যে সব অংশটুকু ইসলামের বাহিরে রয়েছে নিশ্চয়ই আমরা সেখানে শয়তানের পদাংক অনুসরণ করেই চলছি?

তাহলে আমাদের দাওয়াতে, তাবলীগে কি এই বিষয়গুলি উঠে আসার কথা নয় ? সম্পূর্ণ কুরআন কি আমাদের জন্য সিলেবাস নয়, নাকি আংশিক? এই জন্যেই মনে হয় তাবলীগ জামাতের ভাইয়েরা তারা যে ছয়টি মূলনীতি ঠিক করে নিয়েছেন এর বাইরে ইসলামের কোন কিছুর ব্যাপারে তারা আলাপ করেন না, কথা বলেন না এবং এই জন্যেই কি তারা ইসলাম শব্দটিকে সযত্নে এড়িয়ে চলেন?

ঈমানদারদেরকে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ্তালা বলেনঃ

“হে ঈমানদারগণ! আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বাণিজ্যের কথা বলে দিব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি থেকে রেহাই দিবে? তা এই যে, তোমরা ঈমান আন আল্লাহ্র প্রতি ও তাঁর রাসূলের প্রতি এবং জিহাদ করবে আল্লাহ্র পথে তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে, এটাই তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বুঝতে। আল্লাহ্ ক্ষমা দিবেন তোমাদের সমস্ত গুনাহ্ এবং দাখিল করবেন এমন জান্নাতে যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। ইহাই মহা সাফল্য”।……….সূরা আস্সফ, আয়াত ১০-১২।

উপরের আয়াত সমূহের মাধ্যমে আল্লাহ্তালা আমাদেরকে জানিয়ে দিলেন কিভাবে আযাব থেকে বাঁচা যাবে, কিভাবে ক্ষমা পাওয়া যাবে, কিভাবে জান্নাত লাভের মাধ্যমে মহাসাফল্য অর্জন করা যাবে। আমাদের তাবলীগ জামাতের ভাইয়েরা তো মানুষকে আল্লাহ্র দিকে ডাকেন জান্নাত অর্জন করার জন্যই। কিন্তু আল্লাহ্তা’লা জান্নাত পাওয়ার যে ফর্মুলার কথা এখানে বললেন তা কি তারা বয়ান করেন? করেন না।

হযরত আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি এরূপ অবস্থায় ইন্তিকাল করেছে যে, সে জিহাদে অংশ গ্রহন করেনি, আর জিহাদের চিন্তাও করেনি, না এর নিয়্যত করেছে তবে এক প্রকার মুনাফিকের অবস্থায় সে ইন্তিকাল করেছে। (মুসলিম)।

মুনাফিক অবস্থায় যদি কারো ইন্তিকাল হয় তাহলে তার পরিণতি কি হবে তা নিশ্চয়ই আমাদের সবারই জানা আছে? তাহলে এই জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ্র কথা কি তাবলীগ জামাতের ভাইয়েরা কখনো বলেন? বলেন না।

যেখানে জিহাদ নেই সেখানে ইসলাম নেই। সেটা হোক ব্যক্তিগত বা সামষ্টিক। ব্যক্তিগতভাবে কেউ যদি তার নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ না করেন, তাহলে তার পক্ষে ইসলামের হুকুম আহ্কাম মেনে চলা সম্ভব হবে না। যেমন সালাত, যাকাত, সাওম পালন, অন্যায় থেকে সমস্ত হারাম থেকে বেঁচে থাকা ইত্যাদি। তেমনি সামষ্টিকভাবে আমরা যদি আমরা জিহাদ না করি, তাহলে ইসলামের যে সমস্ত হুকুম আহ্কাম সামষ্টিকভাবে পালন করতে হয় তা পালন করা সম্ভব হবে না। যেমন সমাজ, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রীয় এই বিষয়গুলি সামষ্টিকভাবে পালন করতে হয়।

আমরা যদি লক্ষ্য করি তাহলে আমরা দেখতে পাই এ সৃষ্টির যেখানেই যা কিছু টিকে আছে তা জিহাদ করেই টিকে আছে। দেখুন একটি প্লেনকে উপরে টিকে থাকার ও চলার জন্য চেষ্টার প্রয়োজন, ইঞ্জিন সে চেষ্টাটি করে যায়, কিন্তু নীচে নামার জন্য কোনো চেষ্টার প্রয়োজন হয় না। প্লেন উপরে উঠে তার নিজস্ব চেষ্টায়, আর নীচে নামে প্রাকৃতিক শক্তি মধ্যাকর্ষনের টানে। এভাবে বিপরীত শক্তির সঙ্গে মুকাবিলা বা চরম শক্তি প্রয়োগ করে টিকে থাকার নামই জিহাদ। বলুন এই জিহাদ কোথায় নেই।

ঠিক তেমনিভাবে ইসলামকে সত্যিকার জীবিত ইসলাম হিসাবে টিকে থাকতে হলে তাকে জিহাদ করেই টিকে থাকতে হবে। এ জিহাদ হতে হবে সার্বক্ষনিক। যেমন উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় প্লেনের ইঞ্জিনের চেষ্টায় কোনো বিরতি দিলে ঠিক সেই মুহূর্তেই প্লেনকে মাধ্যাকর্ষনশক্তি টেনে মাটিয়ে নামিয়ে ফেলবে। ঠিক তেমনি মুসলমান যে মুহূর্তেই ইসলামের সার্বক্ষনিক জিহাদ বন্ধ করবে সেই মুহূর্তেই তার বিপরীত শক্তি অর্থাৎ তাগূত ইসলামকে টেনে নামাবে জাহিলিয়াতের অন্ধকারের মধ্যে। বাঁচার চেষ্টা বাদ দিলে যেমন মরণ অনিবার্য ঠিক তেমনি জিহাদ ত্যাগ করলেও জাহিলিয়াত অনিবার্য। আবার মনে রাখতে হবে জিহাদ মানে যুদ্ধ নয়, জিহাদ অর্থ চরম প্রচেষ্টা। এ জিহাদ ছেড়ে দেওয়াতেই আজ ইসলামকে পরাজিত অবস্থায় বা অন্যের অধীনে থাকতে হচ্ছে। অথচ ইসলাম এসেছে বিজয়ী শক্তি হিসাবে থাকার জন্যে। (দেখুন সূরা আস্ সফ ৬১:৯)

তাবলীগ জামাতের ভাইদেরকে যদি কুরআন থেকে বয়ান করতে বলা হয়, তখন তাদের উত্তর হয় মুরুব্বীদের মানা আছে। শুধু কুরআন নয় হাদীসের কোন কিতাবও তাদের পড়তে নিষেধ করা আছে, এর কারণ কি? অথচ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম আমাদেরকে বলে গিয়েছেন, “আমি তোমাদের কাছে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যারা এই দুটি জিনিস আকড়ে ধরে থাকবে তারা কখনো পথভ্রষ্ট হবে না”। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে দুটি জিনিস রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম আমাদেরকে আঁকড়ে ধরে থাকতে বলেছেন, সে দুটি জিনিসই তারা ছেড়ে দিয়েছেন। তার পরিবর্তে তারা পড়েন ফাযায়েলের আমল ।

যারা কুরআন থেকে জ্ঞান আরোহণ করেন না, হাদীস গ্রন্থ থেকে জ্ঞান আরোহন করেন না তাহলে তারা ইসলামের পরিপূর্ণ জ্ঞান কিভাবে লাভ করে থাকেন? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম বলেন, সর্বোত্তম কথা আল্লাহ্র কিতাব, সর্বোত্তম পথ রাসূলুল্লাহ্ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম-এর প্রদর্শিত পথ। আর নিকৃষ্টতম কাজ হচ্ছে, যা দীনে নতুন উদ্ভাবন করা হয়। প্রত্যেকটি নতুন উদ্ভাবনই বিদআত, প্রত্যেটি বিদআতই গোমরাহী বা পথভ্রষ্টতা এবং গোমরাহী বা পথভ্রষ্টার পরিণতি জাহান্নাম। (মুসলিম)। তাহলে সর্বোত্তম কথাকে ছেড়ে দিয়ে অর্থাৎ আল্লাহ্র কিতাব আল কুরআনকে বাদ দিয়ে, সর্বোত্তম পথ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম-এর পথ (সুন্নাহ্)-কে বাদ দিয়ে কেউ কি ইসলামের উপর টিকে থাকতে পারে, নিশ্চয়ই না। যারা তাবলীগ জামাতকে অনুসরণ করছেন এ বিরাট সংখ্যক মুসলিমকে যারা জিহাদের চেতনা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গেছেন আল্লাহ্র দরবারে তাদের কৈফিয়ত কি? এটা কি ইহুদী খৃষ্টানদের চক্রান্ত কিনা এ বিপুল সংখ্যক মুসলিমকে ইসলামের মূল জিহাদী চেতনা পরিপন্থী ডোজ গিলিয়ে দিয়ে ইসলামের শক্তিকে দূর্বল করে ফায়দা নিচ্ছে কিনা তাও গভীর ভাবে দেখা উচিত। ইসলামে বৈরাগ্যের কোন স্থান নেই। নিজের ইচ্ছামত আল্লাহ্র রাস্তায় চলা যায় না। আল্লাহ্র রাস্তায় চলতে হয়, আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম-এর দেখানো পথে। এখানে কোন ওলী, বুজুর্গ, মুরুব্বী, মুর্শীদে কামেলের কথার দুই পয়সার দাম নেই যদি না তা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম-এর দেখানো পথে না হয়।

হযরত আলী মুর্তাযা(রা) বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি কুরআনের বাইরে হিদায়াত অন্বেষন করবে, আল্লাহ্র পক্ষ থেকে তার জন্য আসবে কেবল গুমরাহী। (তিরমিযী)

যারা ইসলাম শব্দটি উচ্চারণ করতে লজ্জাবোধ করেন, সযত্নে এড়িয়ে যান তাদের সঙ্গে ইসলামের সম্পর্ক আছে কি ?

যারা আল্লাহ্র কিতাব আল-কুরআনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন না, তাদের সঙ্গে আল্লাহ্তা’লার সম্পর্ক আছে কি?

যারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম –এর হাদীস বা সুন্নাহ্র সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন না, তাদের সঙ্গে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম-এর সম্পর্ক থাকে কি ?

বিষয়: বিবিধ

২৫৫১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

167317
২৫ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৩১
বড়মামা লিখেছেন : তাবলিগ ওয়ালারা রাসুল[সাঃ]এর মক্কী যুগের একেবারে প্রথম দিকের দাওয়াতী সময় কোন রকম অনুসণ করে।মাধানী যুগে কবে আসবে আল্লাহই ভালো যানে।
167410
২৫ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৭
প্রিন্সিপাল লিখেছেন : সুন্দর লেখা।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
167437
২৫ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:২৩
শিক্ষানবিস লিখেছেন : তাবলীগের প্রয়োজন কী?
ইসলাম সম্পর্কে অগভীর জ্ঞান আর নিজস্ব পরিমন্ডলের আবেগতারিত সংকীর্নতাবোধ থেকে একটি ইসলামী প্রতিষ্ঠান অন্য আরেকটি ইসলামী প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করে। একজন অন্য জনের কোন কৃতিত্ব স্বীকার করতে চায় না। এটা একটা নেতিবাচক বিষয়।
আমরা যদি ইসলা্মকে একটি রাষ্ট্রের সাথে তুলনা করি- যদিও রাষ্ট্রের চেয়ে ইসলাম অনেক বড় প্রতিষ্ঠান- তাহলে দেখব একটি রাষ্ট্র পরিচালনা করতে এমন অনেক সংস্থার প্রয়োজন হয়, যাদের কর্মসূচীগুলো বাহ্যিক দৃষ্টিতে পরস্পর বিরোধী মনে হয়। পুলিশ আসামী ধরে আটকে রাখতে চায় আর আদালত জামিন দেয়। পুলিশ পেটায় আর সরকারী ডাক্তার পেটানো ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেয়।
ইসলামে একদল থাকবে যারা জিহাদ ছাড়া অন্য কিছু বুঝতে চাবে না। আরেক দল রাজনীতি করবে। আরেকদল ইসলামী শিক্ষা প্রসারে নিবেদিত থাকবে। আরেকদল মানুষকে হাত-পা ধরে মসজিদমুখী করবে। আরেকদল শুধু জিকির-আজকার করবে। এভাবে সকলকে নিয়ে ইসলাম তার প্রতিষ্ঠানিক কাঠামোকে পূর্নতা দেবে। সবাই জিহাদ করবে না। সবাই রাজনীতি করবে না। সবাই মাদরাসায় পড়বে না। সবাই দাওয়াত দেবে না। প্রতিটি মানুষ তার স্বভাবের চাহিদা ও যোগ্যতানুযায়ী একটি পথ অুনসরণ করবে
কিন্তু এরা যদি পরস্পরকে স্বীকৃতি না দেয় তাহলে হবে সমস্যা। ইসলামী উম্মাহ হবে ক্ষতিগ্রস্ত। ইসলাম তার সবগুলো অপশন নিয়ে এগুতে পারবে না।
ইসলাম অনুসারীদের এই কর্ম-বৈচিত্র আল কুরআন ও সুন্নাহ দিয়ে প্রমাণিত ও অনুসারিত।
কেহ বলেন, এটা আরামের আর ওটা কষ্টের। আসলে সবটাই কষ্টের। কষ্টকর বলে আমি তাবলীগে যেতে পারছি না। কষ্টকর বলে আমার তাবলীগি ভাইয়েরা রাজনীতি করছে না। আর রাজনীতির ভাইয়েরা অস্ত্র নিয়ে জিহাদ করছে না। আমি নিজে তাবলীগে গিয়ে পালিয়ে এসেছি কষ্ট দেখে।
ইদানীং অনেক ভাই তাবলীগ সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। তাদের খেদমতে বিষয়টি শেয়ার করলাম।
২৫ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:১০
121398
tritiomot লিখেছেন : সুন্দর বলেছেন। তবে এই বোধদয় যত আগে মুসলমানদের মধ্যে আসবে , ততই মঙ্গল।
২৫ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:১০
121399
tritiomot লিখেছেন : সুন্দর বলেছেন। তবে এই বোধদয় যত আগে মুসলমানদের মধ্যে আসবে , ততই মঙ্গল।
167666
২৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:০১

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File