জিহাদী বই বনাম পবিত্র কোরআন-হাদিস পার্থক্য কোথায় ? ????

লিখেছেন লিখেছেন tritiomot ১৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:২৫:০৬ রাত









বাংলাদেশের রাজনীতিবীদ ব্যতিত সকল মানুষ ভুদায়। নাকি রাজনীতিবীদ, পুলিশসহ বুদ্ধিজীবি মহল ভুদায়, তা ঠাওর করা বড় মুসকিল হয়ে যাচ্ছে।

র্দীর্ঘ পৌনে পাচঁ বছর যাবৎ জামায়াত-শিবিরের উপর নির্মম , হামলা , নিযার্তণ, হত্যাসহ হেনু কোন অত্যাচার বাকী রাখেনী ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার। আটক করার ক্ষেত্রে পুলিশ তার কোড অফ কন্ডাক্ট মানেনা। যেখানে যখন সন্দেহ হয়েছে যে এরা জামায়াত-শিবিরের কর্মী কিংবা সমথর্ক, সেখানেই তাদের বিনা ওয়ারেন্টে আটক করে সাথে পিস্তল, আগ্নীয় অস্ত্র এবং ইসলামী সাহিত্যের কোন বই ধরিয়ে দিয়ে ক্যামেরার সামনে দুষ্কৃতিকারী, জঙ্গী হিসাবে প্রমান করার ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছে। রাজনৈতিকভাবে দলটির সাথে মোকাবেলা করার দূঃসাহস না থাকায় এমন কুচক্রি চিন্তার আশ্রয় নিয়েছে।

পুলিশ ও র্যা বকে অবশ্য এদিক দিয়ে ধন্যবাদ জানানো দরকার যে, তারা ইসলামী সংগঠনের কর্মীদের হাতে “মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল, হিরোইন, ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে” এমন তথ্য এখনও প্রকাশ করেনী।

কোন ইসলামী সংগঠনের কর্মীদের হাতে কোরআন-হাদিস , ইসলামী বই থাকবে এটাই স্বাভাবিক। প্রশ্ন হচ্ছে , কোরআন-হাদিস ও ইসলামী বইগুলোকে কেন পুলিশ ও র্যা ব জিহাদী বই হিসাবে প্রকাশ করছে। এটা করে তারা ন জাতিকে কি বুঝাতে চা্য়।

জাতি কি এ্তই বেকুব যে, জিহাদী শব্দটি উচ্চারণ করলে বাংলাদেশের মানুষ জঙ্গী হিসাবে বিবেচনা করে জামায়াত-শিবিরকে জঙ্গলে পাঠিয়ে দেবে।

জিহাদ আরবী শব্দ, যা পবিত্র কোরআনে অসংখ্য জায়গায় আল্লাহ এর তাৎপর্য বণর্না করেছেন। বাংলাদেশের হাজার হাজার মাদ্রাসায় ছাত্রদেরকে কোরআন-হাদিস , ফিকাহ , তাফসির পড়ানো হয়। সেই ছাত্ররা 68 হাজার গ্রামের আনাচে-কানাচে জিহাদ শব্দের অর্থ কি, কত প্রকার জিহাদ রয়েছে, তা সবিস্তারে আলোচনা করেন। এটা সাধারন মানুষের এখন আর অজানা নয়। খোদাপ্রেমিক বান্দার হাতে ইসলামী বই দেখে তাদেরকে আটক করে জিহাদী বই হিসাবে জঙ্গী প্রমান করার যে স্কীম হাতে নেয়া হয়েছে , তাতে এটাই প্রমান করে যে ইসলাম সম্পর্কে তাদের ধারনা শুন্যের কোঠায়।

আজ পযর্ন্ত জিহাদী বইয়ের নামে যে সকল বই আটক করা হয়েছে , তা কোরআন-হাদিসের কোথাও নেই -এটা তারা প্রমান করতে পারেনী। এমনকি সেগুলি জঙ্ঘী তৈরির করার জন্য মানুষের তৈরি কোন আয়াত বা কথা - এটাও প্রমান করতে পারেনী। তাহলে “জিহাদী বইসহ জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী আটক” এই শ্লোগান দিয়ে কি তারা বড় রকমের পাগলামীর কাজ করছে না?

মনে রাখা দরকার যে, ‘সত্য’ হলো ‘চাঁদের’ মতো। চাঁদকে মেঘ কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে রাখতে পারে, কিন্তু একটা সময় পর মেঘ কেটে গেলে চাঁদ তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। ঠিক তেমনি, মিথ্যার দাপটে সত্য কিছুক্ষণের জন্য হয়তো চুপ করে থাকে। কিন্তু সত্যের শক্তি এতো বড় যে , তাকে র্দীর্ঘ সময় আটকে রাখা যায়না। সেও তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত দিয়ে মিথ্যাকে সড়িয়ে সত্য প্রতিষ্ঠিত করে।

আজ না হোক কাল সেই সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে, যেটি রঙ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। বৃষ্টি হোক অথবা সাইক্লোন হোক , দুর্নিবার আঘাত হেনে ঢাকা রঙকে ফিকে করে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটিত হবে ইনশআল্লাহ্।

বিষয়: বিবিধ

২৩৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File