জামায়াত-শিবির কোথায় যাবে ?
লিখেছেন লিখেছেন tritiomot ২০ এপ্রিল, ২০১৩, ০৫:১০:৪৬ বিকাল
আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আরোহণের পর কোন ধরনের বাস্তবতা, পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা না করে, শুধুমাত্র মোহগ্রস্তবসে 1972 সালের সংবিধান ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সংবিধানের মুলনীতি থেকে আল্লাহর উপর পুর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস লাইনটি তুলে দিয়ে তদস্থলে ধর্মনিরপেক্ষ মুলনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন। এরপর থেকে 18 দলীয় জোট ভেঙ্গে ফেলার জন্য বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি বিশেষ করে জামায়াত-শিবিরকে দমন করার উদ্দেশ্যে তথাকথিত যুদ্ধাপোরাধীর বিচারের নামে তাদেরকে আটক করা শুরূ হয়।
যতটুকু জানি, কোরআন-হাদিসের জ্ঞানলাভ ও বাস্তবজীবনে তার প্রতিফলন ঘটানোর এক মহৎ ব্রত নিয়ে সাধারন শিক্ষার পাশাপাশি ঘরোয়া পরিবেশে, কখনোও স্কুল-কলেজ, ভার্সিটি আবার কখনোওবা বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা সেমিনার, সভা , মিটিং মিছিল করে থাকে। এদের রয়েছে কোরআন হাদিসসহ বিশাল ইসলামী সাহিত্য ভান্ডার। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি কোরআন, হাদিস, ইসলামী সাহিত্য নিয়মিত পাঠ করা এদের নিত্যদিনের কাজ।
সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপঃ
ক) উচচ পর্যায়ের সকল নেতাকর্মীকে আটক করে কারাগারে বন্দী কিরা হয়েছে।
খ) মাঠ পর্যায়ের সকল নেতাকর্মীকে আটক করে অমানুষিক নির্যাতণ করা হচ্ছে ।
গ) যে সকল অফিসে বসে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালিত হত, তা সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ঘ) রাস্তায় বেরুলে পুলিশ দিয়ে আটক করে অমানুষিক নির্যাতণ করা হচ্ছে।
ঙ) কোন বাসায় কোরআন –হাদিস কিংবা সাংগঠনিক কার্যক্রমের কোন কর্মসূচী নিলে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অযুহাতে তাদেরকে আটক করা হচ্ছে।
চ) স্কুল কলেজ, ভাসির্টি, রাস্তা-ঘাটে শিবির সন্দেহে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা চোর-বাটপারের মত ধরে পিটিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করছেন।
ছ) মসজিদে নামাযে গেলে পুলিশ নামাযরত অবস্থায় তাদের কে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে।
জ) জামায়াত-শিবির রাস্তায় এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে সেখানে কোন কারন ছাড়াই গুলি চালিয়ে তাদেরকে মারা হচ্ছে।
ঝ) রাতের বেলায় বাসায় ঘুমিয়ে থাকলে পুলিশ হানা দিয়ে তাদের কে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে।
এভাবে, সাংগঠনিক অফিস বন্ধ করে দিলে, তাদেরকে বাসায় ঘুমানোর সুযোগ না দিলে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বিগ্নে যাতায়াতের সুযোগ না দিলে, রাস্তাঘাটে বেড়োনের সুযোগ বন্ধ করে দিলে, কোন বাসায় বা কোন জায়গায় কর্মসূচী পালনকালে আটক করলে, মসজিদে নামাযে গেলে পুলিশ আটক করলে, জামায়াত-শিবির কোথায় যাবে এবং কী করবে?
একটি দলের সুসংগঠিত কর্মবাহিনীর উপর এভাবে নিযার্তন করলে তার ধর্য্যের বাধ ভেঙ্গে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। তদুপরি আমরা লক্ষ্য করেছি , পুলিশ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর মোকাবেলায় তারা এখনও নিরস্ত্রভাবে ইট পাটকেল দিয়ে রাস্তায় বিদ্যমান রয়েছে।
কামরুল সাহেব বলেছেন, বি এন পি ও জামায়াত-শিবিরের বাকী লোকগুলোকে আটক করতে পারলে দেশ ঠান্ডা হয়ে যাবে। কারাগারে আর জায়গা নেই মর্মে পত্রিকা থেকে জানতে পারলাম । আটক করে আর কোখায় রাখবেন। মদীনা সনদে বিশ্বাসী সরকারের একচি কাজই বাকী আছে , তাহল আল্লাহর কাছে এই বলে দোয়া করা যে, আল্লাহ যেন বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে একেবারে গায়েব করে দেয়, যাতে করে নির্বিগ্নে দেশের ক্ষমতায় আজিবন টিকে থাকা যায়।
বিষয়: বিবিধ
১৮২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন