বাংলাদেশের 90% ভাগ মহিলা তথাকথিত নারী প্রগতির বিপক্ষে

লিখেছেন লিখেছেন tritiomot ১৯ এপ্রিল, ২০১৩, ০৯:৫৪:৪৮ রাত



সমঅধিকারের দাবী নিয়ে যেসব নারী সংগঠনগুলো রাজপথে চিৎকার করে তারা প্রকৃতপক্ষে নারীদের কল্যাণের জন্য জন্য নয়। তারা নিজেদের সুবিধা চরিতার্থ করার জন্য শ্লোগান দেয়, চিৎকার করে । সমঅধিকার বলতে যা বুঝায়, তাহল পুরুষেরা যে সুযোগ-সুবিধা পায়, তা নারীদেরকেও দিতে হবে।

যোগ্যতার মাপকাঠিতে নারীরা এসকল সুবিধা পাবেনা, এমন কথা সংবিধানের কোন জায়গায় লেখা নেই। যোগ্যতা না থাকা সত্বেও রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে তাদের অংশগ্রহণ অর্থ্যাৎ কাজ পাওয়ার যে অধিকার দাবী করা হয়, তা কতটা যুক্তিসঙ্গত সেটাই বিবেচনার বিষয়। যথাযথ পরিবেশে শিক্ষা অর্জন করে যোগ্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রের যে কোন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করার অধিকার সংবিধান নিশ্চিত করেছে।

মহাজ্ঞানী আল্লাহ মানুষ সৃস্টি করে তাদের কর্মক্ষেত্রও সৃষ্টি করে দিয়েছেন। পুরুষ এবং নারী যে পরিবেশে মানানসই সেই পরিবেশ অক্ষুন্ন রেখে তাদের চলার পথ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সৃষ্টি হয়ে স্রষ্ট্রার সেই পথ লঙঘন করে জোর করে শান্তি খুজঁতে গেলে শান্তি আসবে কোথা থেকে ? নারী-পুরুষের দৈহিক গঠনসহ এমন কিছু বৈশিষ্ট্য আল্লাহ তায়ালা তৈরি করেছেন, ইচ্ছা করলেই কিছু কাজ নারীরা করতে পারবেনা আবার কিছু কাজ পুরুষেরা করতে পারবেনা। সে ক্ষেত্রে একে অপরের উপর নির্ভরশীল হয়ে প্রতিপালন করতে হয়।

সমঅধিকার বাস্তবায়ন করতে হলে প্রকৃতসিদ্ধ উক্ত অপরির্হায কাজগুলো সম্পাদন হবেনা। আল্লাহর পরিকল্পনা বাদ দিয়ে নিজেদের সীমিত জ্ঞাণের পরিকল্পনা সমাজে কখনোও শান্তি আনতে পারেনা।

আল্লাহর বলেছেন,

“ পুরুষ নারীর কর্তা ৷ এ জন্য যে, আল্লাহ তাদের একজনকে অন্য জনের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ জন্য যে, পুরুষ নিজের ধন-সম্পদ ব্যয় করে৷ কাজেই সতী-সাধ্বী স্ত্রীরা আনুগত্য পরায়ণ হয় এবং পুরুষদের অনুপস্থিতিতে আল্লাহর হেফাজত ও তত্বাবধানে তাদের অধিকার সংরক্ষণ করে থাকে ” (সূরা-নিসা-34)

আল্লাহ অন্যত্র বলেছেন,

“আর হে নবী! মু’মিন মহিলাদের বলে দাও তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানগুলোর হেফাজত করে আর তাদের সাজসজ্জা না দেখায়, যা নিজে নিজে প্রকাশ হয়ে যায় তা ছাড়া ৷ আর তারা যেন তাদের ওড়নার আঁচল দিয়ে তাদের বুক ঢেকে রাখে৷ তারা যেন তাদের সাজসজ্জা প্রকাশ না করে, ”(সুরা নূর-31)

আল্লাহর এই সিদ্ধান্ত যে সব নারী সংগঠন মানেনা, প্রকারন্তরে তারা আল্লাহর সাথে বিদ্রোহ ঘোষনা করেছে।

ঘরের বেড়া ভেঙ্গে যারা স্বাধীনমত চলতে চায়, নারী নারী নারী বলে যারা সবকিছু পারার অধিকার দাবী করে, তারা মহান আল্লাহর পরিকল্পনাকে তুচ্ছজ্ঞান করে সমাজে অনাসৃষ্টি করতে চায়। তারা নিজেদের শান্তি ও অধিকার প্রতিষ্ঠিার জন্য জন্য যে ফরমুলাই দিক না কেন, তা তাদের জন্য আরো অশান্তি বয়ে আনবে। নিজেদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে সত্বা বিকিয়ে দিয়ে পথের ভিখারীর ন্যায় অনুকম্পার পাত্র হয়ে থাকতে হবে। পৃথিবীতে যারা এটা করতে চেয়েছে, তাদের দিকে তাকালে আমরা তাই দেখতে পাই। তাদের মধ্যে আত্বার ক্রন্দন পরিলক্ষিত হয়।

অথচ যারা আল্লাহর পরিকল্পনার কাছে সারেন্ডার করে তার বিধি বিধান মেনে নিজেদের কর্মক্ষেত্র মেনে নিয়েছেন এবং শালীন পরিবেশে সকল কার্য সম্পাদন করছেন, তাদের সবাই আল্লাহর কৃপায় ইহকালীন শান্তি ও পারকালীন মুক্তির পথে রয়েছেন।

বাংলাদেশের নারীরা অনেকে ঘরোয়া পরিবেশে, আবার অনেকে বিভিন্ন অফিস আদালতে কর্মরত রয়েছেন। তাদের অধিকাংশই তাদের মর্যাদা নিয়েই কাজ করছেন । আর যারা প্রগতির কথা বলে অবাধ স্বাধীনতায় ভেসে যেতে চান, তারা মুলতঃ নারী অধিকারের পরিবর্তে বেহায়াপনা, বেলেল্লাপনা, যৌণতার সুরসূরী পছন্দ করেন । এটা কখনোও তাদের জন্য কল্যাণ হতে পারেনা।

বিষয়: বিবিধ

১৫৪২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File