শেখ মজিবুর রহমান কে ‘বঙ্গবন্ধু’ ও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ‘শহীদ’ উপাধি প্রসঙ্গে

লিখেছেন লিখেছেন tritiomot ১৮ এপ্রিল, ২০১৩, ০৯:৩৭:০৭ রাত





দেশ ও দেশের জনগনের জন্য রাজনীতি করে ভুমিকা রেখেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান । আগড়তলা ষড়যন্ত্রের আসামী হয়েছিলেন তিনি । জনগনের আন্দোলনে পাকিস্তান সরকার তার মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। তৎকালীন ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ তাকে বঙ্গবন্ধু খেতাব দিয়েছিলেন। কিন্তু 15 আগষ্ট 1975 সালে সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য কর্তৃক তিনি নির্মমভাবে নিহত হন অথচ তাকে শহীদ হিসাবে ডাকা হয়না।

অপরদিকে, একইভাবে দেশ ও দেশের জনগনের পাশে থেকে তাদের র্আথ-সামাজিক উন্নয়নে ভুমিকা রেখেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান । তিনিও 1981 সালে সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য কর্তৃক নির্মমভাবে নিহত হন । দেশের মানুষ তাকে শহীদ জিয়া বলে সম্বোধন করেন।

এই দুইজন মানুষের মধ্যে পাথক্যটা কী ?

ক) শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাপুব দেশ ও দেশের জনগনের জন্য রাজনীতি করে ভুমিকা রাখায় সবার প্রিয়পাত্র হন।

খ) রাজনীতিতে হোসেন শহীদ সোরওয়াদীর উত্তরসূরী হিসাবে তার ভুমিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রগণ্য।

গ) স্বাধীনতানোত্তর রাষ্ট্রপতি হিসাবে তিনি ব্যথ একজন রাস্ট্রনায়ক। যে মানুষটি জনগনের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বারবার কারাবরণ করেছেন, সেই মানুষটিই রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর জনগনের অধিকার দলিত মথিত করেছেন। জনগনের ভালবাসাকে দুরে ঠেলে দিয়েছেন। তাইতো অনেকে বলে থাকেন শেখ মুজিবুর রহমান রাজপথে মানুষের অধিকার আদায়ে ফিট ছিলেন, শাসক হিসাবে নয়।

ঘ) অর্থনৈতিক বৈষম্য ও রাজনৈতিক নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছিল, তাদের সাথে ধর্মীয় বিষয়ে কোন মতবিরোধ ছিলনা। অথচ শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে নিরংকুশ মুসলমানের সেন্টিমেন্ট বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ মুলনীতি প্রতিষ্টিত করেছিলেন।

ঙ) গনতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিলেন ।

চ) কেবলমাত্র নিজেদের পছন্দমত চারটি পত্রিকা রেখে সবগুলো বন্ধ করা হয়েছিল।

ছ) সামরিক বাহিনী ও দেশের স্বাভাবিক শৃংখলা বজায় রাখার জন্য পুলিশ বাহিনী থাকা সত্বেও আলাদা রক্ষীবাহিনী গঠন করে দেশপ্রেমিক জনতাকে হত্যা করা হয়ছিল।

জ) যুদ্ধোত্তর একটি দেশে যতটুকু সম্পদ ছিল , সেটাও তার প্রিয়ভাজন লোকগুলি লুটতরাজ করেছিল, অথচ তিনি তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থা নেননি।

ঞ) তার এই নিমম মৃত্যুতে দেশের অধিকাংশ মানুষ স্বস্তি ফিরে পেয়েছিল।

অপরপক্ষে,

ক) প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতাপুব দেশের সেনাবাহিনীতে একজন যোগ্য অফিসার ছিলেন।

খ) 27 শে মার্চে 1971 এ চট্টগ্রামের কালুরহাটে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে যুদ্ধে একটি সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন।

গ) সেনা অভ্যুত্থানের ভিতর দিয়ে বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণ করেন।

ঘ) একদলীয় বাকশাল বাতিল করে বহুদলীয় গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেন। ইহাতে স্বাভাবিকভাবেই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরে আসে। শুরু হয় অবাধ গনতন্ত্র র্চচা।

ঙ) গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচীতে দেশের সাধারন মানুষের অন্তভুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে খাল খনন কমসূচী গ্রহণ করেন। ফলে তার জন্য জনগনের দোর গোড়ায় পৌছানো সহজ হয়।

চ) সংবিধানে নিরংকুশ মুসলমানের সেন্টিমেন্ট বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ মুলনীতি তুলে দিয়ে তদস্থলে “আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত করেন, যা ধর্মপ্রাণ মানুষে নিকট খুবই প্রশংসিত হয়। পাশাপাশি বিশ্বের মুসলীম দেশসমূহের সাথে ভাতৃপ্রতিম সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ফলে এদেশের জনশক্তি ঐসব দেশ গুলিতে গিয়ে কাজ করার সুযোগ পায়।

ছ) আঞ্চলিক বৈষম্য দুরিকরণে র্সাক গঠন করেন।

জ) তার এই নিমম মৃত্যুতে দেশের অধিকাংশ মানুষ দুঃখ পেয়েছিল এবং চোখে পানি এসেছিল ।

বিষয়: বিবিধ

৩৭৫৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File