একজন মাহমুদুর রহমান কেন এত জনপ্রিয় হবেন ?

লিখেছেন লিখেছেন tritiomot ১২ এপ্রিল, ২০১৩, ০৮:২৫:৩৮ রাত



মানুষের ভালবাসা পাওয়া সহজ কথা নয়। ব্যক্তিগতভাবে কোনো ব্যক্তি যদি কারো নিকট থেকে উপকৃত হয়, তাহলে উপকৃত ব্যক্তি তার নিকট কৃতজ্ঞ থাকেন এবং নিজের কাছে তাকে মহৎ ব্যক্তি হিসাবে মনে করে তার প্রশংসা করেন। এমনকি উপকার পাওয়ায় ক্ষেত্রবিশেষে তার জন্য স্রষ্টার কাছে দোয়াও করে থাকেন। কিন্তু একজন ব্যক্তিকে উপকার করে অধিকাংশ ব্যক্তির নিকট থেকে দোয়া পাওয়া সম্ভব নয়।

এই মহৎ হওয়া এবং প্রশংসা পাওয়ার আরেকটি জায়গা হল সাবভৌম ক্ষমতা হাতে থাকা। এই ক্ষমতা হাতে থকেলে আইনসঙ্গত সব কিছু করা তার দ্বারা সম্ভব হয় । প্রশংসা বা সম্মান পাওয়া তার জন্য সহজ হয়। মন থেকে না হলেও সামনা সামনি ক্ষমতাশীন শাসককে খুশি করার জন্য তার ভূয়সী প্রশংসা করা, তোষামোদী করা, তাকে মহৎ বলা এবং ক্ষেত্রবিশেষে তার জন্য দোয়া করার হিরিক পড়ে যায়।

মাহমুদুর রহমান এমন কোন ব্যক্তি নয়, যিনি অধিকাংশ মানুষের প্রিয়পত্র হবেন। ব্যক্তি জীবনে বুয়েট থেকে পাশ করে চাকুরী করেছেন । এরপর বি এন পি সরকারের আমলে কিছু সময়ের জন্য জালানী উপদৃষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন। বতমানে একটি সংবাদপত্রের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। এটাই তার পরিচয়।

বতমানে এই মানুষটি এমন কী করেছেন যে, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ তার মুক্তির জন্য সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছেন । দেশের ইসলামপ্রিয় মানুষ তার জন্য দোয়া করছেন। যে দোয়ার মধ্যে লোক দেখানো কিছু নেই । তিনি তো এ সকল মানুষকে টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করেননি। তাহলে কেন তার প্রতি এই ভালবাসা ?

তিনি মাত্র একটি কাজ করেছেন । আল্লাহ মানুষকে যে উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন, তিনি সেই উদ্দেশ্যের সাথে ঐকমত্য পোষন করে নিজেকে একজন মুসলমান হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন । ইসলামের সুমহান বানীকে পছন্দ করে এর বিপক্ষে যারা কুৎসা রটনা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াকে তিনি ঈমানের দাবী মনে করেছেন।

হয়ত আল্লাহ এই জন্যই ইসলামপ্রিয় মানুষগুলোকে তার জন্য হৃদয়ে ভালবাসা সৃষ্টি করে দিয়েছেন । এই ভালবাসা তাকে টাকা দিয়ে কিনতে হয়নি। জনগনের সত্যিকার ভালবাসা ও দোয়া পাওয়া সহজ কথা নয়। এটা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি নিয়ামত।

অপরদিকে, বিশাল ক্ষমতার অধিকারী হয়েও অনেকে আল্লাহর না শোকর করার কারনে জনগনের নিকট থেকে ধিক্কার পাচ্ছে।

এই ব্যাপারে আল্লাহ বলেন,

“বলোঃ হে আল্লাহ ! বিশ্ব –জাহানের মালিক! তুমি যাকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করো এবং যার থেকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নাও৷ যাকে চাও মর্যাদা ও ইজ্জত দান করো এবং যাকে চাও লাঞ্জিত ও হেয় করো৷ কল্যাণ তোমরা হাতেই নিহিত ৷ নিসন্দেহে তুমি সবকিছুর ওপর শক্তিশালী” (সূরা আল ইমরান 26)

আল্লাহ অন্যত্র বলেছেন,

“মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী , এরা সবাই পরষ্পরের বন্ধু ও সহযোগী৷ এরা ভাল কাজের হুকুম দেয় এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে, নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্র করে৷ এরা এমন লোক যাদের ওপর আল্লাহর রহমত নাযিল হবেই৷ অবশ্যি আল্লাহ সবার ওপর পরাক্রমশালি এবং জ্ঞানী ও বিজ্ঞ৷ ”

(সূরা তওবা-71)

তাই আসুন, আল্লাহর ইসলামকে ভালবাসি , ভাল মুসলমান হয়, আর আল্লাহর জান্নাতে প্রবেশ করি, যেখানে চিরস্থায়ী শান্তির ব্যবস্থা রয়েছে ।

বিষয়: রাজনীতি

১২৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File