একজনের জন্য নিবেদিত যে জীবন তা শতজনের মনে ঢেউ তুলবে কেন ??

লিখেছেন লিখেছেন tritiomot ১১ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:৫৫:১৯ সকাল



Harbert Spencer এর মতে স্বাধীনতা হল,

“ Everyone is free to do whatever he wills provided he infringes not the equel freedom of any other man.”

অর্থ্যাৎ স্বাধীনতা বলতে খুশিমত কাজ করাকে বুঝায়, যদি উক্ত কাজের দ্বারা অন্যের অনুরুপ স্বাধীনতা উপভোগে বাধার সৃষ্টি না হয়।

অধ্যাপক Laski মানুষের অধিকারের সংঙ্গা দিতে গিয়ে বলেছেন,

In facts, Right are those conditions of social life without which no man seek, is general, to be himself at his best.

অর্থ্যাৎ অধিকার হল সমাজ জীবনের সেই সকল অবস্থা যেগুলি ব্যতিরেকে কোন মানুষ সাধারনভাবে তার ব্যক্তিত্বের প্রকৃত বিকাশ লাভ করতে পারেনা।

বিশ্বের সকল দেশেই সামাজিক মুল্যবোধ একইরকম নয়। ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক ও আথ-সামাজিক পেক্ষাপটে এই মুলবোধ গড়ে ওঠে। প্রতিটি দেশের সামাজিক মুল্যবোধের আলোকেই স্বাধীনতা এবং অধিকার ভোগ করা হয়ে থাকে। যেমনঃ উন্নত বিশ্বে বিশেষ করে ইহুদী-খ্রীষ্টান দেশ গুলোতে নারী-পুরুষের যে Free Mixing culture রয়েছে , সেটা তাদের মূল্যবোধ । সেই আলোকে নারী-পুরুষের অবাধ স্বাধীনতায় তাদের সামাজিক তেমন কোন সমস্যা হয়না।





কিন্তু অনুন্নোত ও উন্নয়নশীল দেশ, বিশেষ করে মুসলিম দেশ গুলোতে মুসলমানদের আলাদা ধর্মীয় মূল্যবোধ থাকায় ইচ্ছা করলেই নারী-পুরুষের অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করা যায়না। এখানে স্বাধীনতা ও অধিকারের সংগা অনুযায়ী খুশিমত কাজ করার স্বাধীনতা ও ব্যক্তিত্বের বিকাশ সাধনের অধিকার এদেশের সামাজিক মুল্যবোধের আলোকে করতে হবে। হয় ইসলামী মুল্যবোধ মানতে হবে নতুবা মুসলীম পরিচয় ত্যাগ করতে হবে। নিজেকে মুসলমান দাবী করা হবে অথচ তার কৃষ্টি কালচার মানা হবেনা , এমন সুযোগ ইসলামে নেই । এই বিষয়টি ভাল করে বুঝে নেয়া দরকার যে, মুসলমান পরিচয়ে বসবাস করতে হলে আল্লাহর রসূল (স) কে মডেল হিসাবে নিতে হবে।





আমার এই দৃষ্টিভঙ্গীকে অনেকে হয়ত বলবেন, মধ্যযুগের ধর্মীয় বিশ্বাস এ যুগে অচল । যদি কেউ এ কথা বলে থাকেন, তাহলে বুঝতে হবে , ইসলাম সম্পর্কে তার জানা নেই । আর জেনে যদি বলে থাকেন, তাহলে তার ঈমানের ঘাতটি রয়েছে । কারন ইসলাম একটি পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান হিসাবে সবকালে সকল জায়গায় সব সমস্যার সমাধানের একমাত্র ব্যবস্থাপত্র।

বর্তমান এই আধুনিক বিশ্বে ইসলামের বিধিবিধান মেনে রাষ্ট্রের সকল জায়গায় দায়িত্ব পালন করা সম্ভব, তা প্রমানিত হয়েছে।

এখানে যে, “ইসলাম নারী স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে” এই মর্মে যারা অবাধ স্বাধীনতা ও অধিকারের ধুয়া তুলে মাঠ গরম করছেন তাদের জেনে রাখা উচিত , অবাধ নারী স্বাধীনতা মানে বেহায়াপনা নয়, অবাধ যৌণতা নয়।



অবাধ নারী স্বাধীনতার কথা বলে রাস্তায় পুরুষের সাথে যৌণতার সুরসুরি খেলবে, রং দিয়ে হলি খেলবে, পুরুষের সাথে পাশাপাশি বসে মদ্য পান করে মাতাল থাকবে, প্রকাশ্যে নারীর হাত ধরে নাচানাচি করবে আর বলবে,

নারী নারী নারী, সবই করতে পারি,

ঘরের বেড়া ভাঙ্গবো , স্বাধীনমত চলবো,



এই শ্লোগানের নাম নারী স্বাধীনতা নয় । এটা নারীর জন্য অপমান, অসম্মান। এটা নারীর জন্য আত্মহত্যার শামিল।

বাস্তবতার নিরীখে একটি উদাহরণ দিতে বাধ্য হচ্ছি, তাহল যৌণ বিজ্ঞানী ফ্রয়েডীর মতে,

“ নারী দেহের প্রতিটি অঙ্গ যৌণ ক্ষুধার প্রতীক ”



নারী-পুরুষের শারীরিক অবয়ব আল্লাহ এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন যে, নারী-পুরুষ এক অপরের মধ্যে ইলেক্ট্রন-প্রটোন এর মতো আর্কষণ অনুভব করেন। এক্ষেত্রে অবাধ মেলামেশার সুযোগ পেলে তা আরো মহীরুহ রুপ ধারন করতে বাধ্য।



তাই নিরাপত্তার জন্য ইসলাম হিজাবের ব্যবস্থা করে মাঝখানে একটি পর্দা তৈরি করেছে। এটার যদি প্রয়োজন না থাকতো , তাহলে মহাবিজ্ঞানী আল্লাহ তায়ালা পর্দার বিধান দিতেন না।

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে, যে পুরুষগুলো নারীদেরকে স্বাধীনতার কথা বলে অবাধ যৌণচার করছে , তাদেরকে অমর্যাদা করেছে, সেই পুরুষকে যদি তার সহধর্মীনী হিসাবে ঐ নারীকে বিয়ে করতে বলা হয় , তাহলে তিনি তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন । কারন তিনি তাকে বিশ্বাস করেন না। আর তিনি চান যে, তার স্ত্রী যেন সতী-সাধ্বী হয়। এমন উদাহরন অসংখ্য রয়েছে। তাই নারী স্বাধীনতার নামে বেহায়াপনা, অবাধ যৌণচার ইসলাম সর্মথন করেনা।

কাজেই নিজেদের মান-মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ইসলামের আলোকে জীবন গড়ে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায় । এর মধ্যেই আছে প্রকৃত কল্যাণ।

বিষয়: বিবিধ

৩০৬৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File