ফ্যাসিজমঃ বাংলাদেশে কি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে?
লিখেছেন লিখেছেন নাবিল ০৮ মার্চ, ২০১৩, ০৩:০৩:৪৭ দুপুর
বাংলাদেশে এখন কোন ঘটনাই বড় ঘটনা না, সব অসম্ভব সম্ভবের এ দেশে এখন কোন কিছু দেখেই যেন অবাক হওয়ার নয়। লগি বৈঠা দিয়ে পশুর মতো মেরে লাশের উপর উঠে নৃত্য করার ছবি দেখেছি, প্রকাশ্য দিবালোকে চাপাতি রামদা দিয়ে তরতাজা যুবককে খুন করার ছবি দেখেছি। ফেলানীর ঝুলন্ত লাশ, পিলখানার নর্দমায় ভেসে আসা লাশের উপর কান্না, ধর্ষিতা নারীর টুকরো টুকরো লাশের ছবি এসব দেখতে দেখতে ভেবেছিলাম এদেশে আর কোন ছবি দেখেই হয়তোবা মন আর কখনো সংবেদনশীল হবে না।
কিন্তু এ কয়দিনে কয়েকটা ছবি দেখে বুঝলাম, হতাশ হলেও এখনো দুঃখবোধ পুরোপুরি হারিয়ে ফেলতে পারিনি। দেখলাম শাহবাগে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় আন্দোলন করতে জমায়েতকারীরা আনন্দ উল্লাসের সাথে নয়া দিগন্ত আর আমার দেশ পত্রিকায় আগুন দিচ্ছে। ছবিতে দেখলাম চট্টগ্রামে সাংবাদিকরা পর্যন্ত দলবদ্ধ হয়ে সর্বশক্তিতে দাঁত মুখ খিঁচিয়ে পত্রিকাগুলো ছিড়ে টুকরো টুকরো করছেন। তারা সম্ভবত মনে করছেন, এভাবে পত্রিকা ছিড়ে আর আগুনে জ্বালিয়ে দেশপ্রেমের মহান দায়িত্ব পালন করা হয়। হতেও পারে, যেদেশে সরকারীভাবে দেশপ্রেমের সার্টিফিকেট পাওয়াটা জরুরী হয়ে পড়ে সেদেশে হয়তো এভাবেই দেশপ্রেমের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। বাকরুদ্ধ অবাক হয়ে ভাবি, এসব ছাত্র শিক্ষক বুদ্ধিজীবি; তথাকথিত শিক্ষিত মানুষগুলো কি ইতিহাসের একদম মৌলিক পাঠটুকুও পাননি?
চলমান আন্দোলনে অনেকে মিলে বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, হাসপাতাল, পত্রিকা, টিভি চ্যানেল ইত্যাদি বয়কট করার শপথ নিচ্ছেন। তাদের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে হয়, এইসব ঘৃণার চাষ, এমন উগ্র জাতীয়তাবাদ এবং সবশেষে কোন আদর্শ বা চিন্তার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে তাকে নির্মুল করার চেষ্টা নতুন কিছু না। আশংকার বিষয় হলো, এসব কাজের মধ্য দিয়ে যুগে যুগে একটা ঘটনাই ঘটে, আর তা হলো ফ্যাসিবাদের সাময়িক প্রতিষ্ঠা। ফ্যাসিবাদ হলো “কোন রাজনৈতিক দর্শন, আন্দোলন অথবা শাসন, যেখানে জাতিগত গৌরব এবং প্রায়শই কোন জনগোষ্ঠীকে ব্যাক্তির উর্ধ্বে তুলে ধরা হয়, যা একজন স্বৈরশাসকের নেতৃত্বে কেন্দ্রীভুত ক্ষমতাশালী সরকার প্রতিষ্ঠা করে, কঠোর অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিয়ম আরোপ করে এবং বিরোধী মতকে শক্তিমত্তা দিয়ে দমন করে (মিরিয়াম-ওয়েবষ্টার ডিকশনারী)।
ফ্যাসিজমের এ সংজ্ঞার প্রতিটি ধারণা যেন আজকের বাংলাদেশে বাস্তব হয়ে দাড়িয়েছে। আধুনিক পৃথিবীর ইতিহাসে মস্তবড় একজন ফ্যাসিষ্ট নেতা হলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধচলাকালীন জার্মানীর চ্যান্সেলর ও নাৎসি (ন্যাশনাল সোশ্যালিষ্ট জার্মান ওয়ার্কাস পার্টি) দলের নেতা এডলফ হিটলার (১৮৮৯-১৯৪৫)। উনিশশো তেত্রিশ সালে হিটলার জার্মানীতে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তার ক্ষমতারোহণের পরপরই এপ্রিল মাসে নাৎসি পার্টির ছাত্র অঙ্গসংগঠন সারাদেশে ‘অ-জার্মান সূলভ ধ্যান-ধারণার বিরুদ্ধে কর্মসূচি’ গ্রহণ করে। এসময় তারা জার্মানী এবং অষ্ট্রিয়া জুড়ে ‘ক্লাসিকাল উদারপন্থী, নৈরাজ্যবাদী, সমাজবাদী, যুদ্ধবিরোধী, বামপন্থী এবং ইহুদি লেখকদের বই পুড়িয়ে ফেলার কর্মসূচী গ্রহণ করে (উইকিপিডিয়া)।
বাংলাদেশে পত্রিকা পোড়ানোর দৃশ্যের সাথে ইতিহাসের এই ‘নাৎসি বুক বার্ণিং’ এর কুখ্যাত ঘটনা এবং বয়কট করার শপথের সাথে ইহুদিদেরকে বয়কট করার নাৎসি শপথ ও কর্মসূচীর সাযুজ্য দেখে আশ্চর্য হতে হয়। সেসময় জার্মানীতে যে সব লেখকের চিন্তাধারা নাৎসি পার্টির চিন্তাধারার সাথে সাংঘর্ষিক এবং সরকারবিরোধী ছিলো, তাদের সব বই খুঁজে খুঁজে পোড়ানো হয়। উনিশশো তেত্রিশ সালের মে মাসের দশ তারিখে তারা একসাথে পঁচিশ হাজার ‘অ-জার্মান’ বই আগুনে জ্বালিয়ে দেয়। সারা জার্মানী জুড়ে এ রাতে আনন্দমুখর পরিবেশে ব্যান্ডপার্টির বাজনার সাথে নেচে গেয়ে মিছিল করে ‘জার্মান জাতীয়তাবাদ বিরোধী ধ্যান ধারণা নির্মুল’ উদযাপন করা হয়। বার্লিনে চল্লিশ হাজারেরও বেশি উৎফুল্ল জনতার সামনে মিথ্যা প্রপাগান্ডার জন্য কুখ্যাত জোসেফ গোয়েবলস এ কর্মসূচিকে আখ্যা দেন ‘সকল অবক্ষয় আর নৈতিক দূষণের পরিসমাপ্তি’ হিসেবে। হিটলারি ফ্যাসিজমের শৈশবকালে উগ্র জাতীয়তাবাদের এ কর্মসূচী চলাকালে তখনকার জার্মান সরকার সমস্ত বইয়ের দোকান, পাঠাগার আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘বিশুদ্ধি অভিযান’ চালায়। বিরোধী মত পোষণ করেন অথবা নাৎসি আদর্শকে সমর্থন করেন না এমন অসংখ্য লেখকের তালিকা বানিয়ে সারাদেশে তাদেরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, ‘অনৈতিক’ আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় ১২,৪০০ বই (জীন-ডেনিস লীপাজ, হিটলার ইয়থ, ১৯২২-১৯৪৫: এন ইলাষ্ট্রেটেড হিষ্টরী, ম্যাকফার্ল্যান্ড এন্ড কোম্পানী, নর্থ ক্যারোলিনা: ২০০৯)।
এ ঘটনাগুলো জানার পর বাংলাদেশে পত্রিকা পুড়ানো এবং বিপক্ষমতের মানুষদেরকে গ্রেফতার করার অজুহাত হিসেবে ‘জিহাদী বই’ কাহিনী পয়দা করা সম্পর্কে কিছু বলার প্রয়োজন আছে কি? ভবিষ্যতের ইতিহাসে কিভাবে লেখা থাকবে বর্তমানের ঘটনাগুলো? তালিকা করে নিষিদ্ধ করা, বয়কট করার আহবান, সহিংসতার ডাক দেয়া, আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার উসকানি, সামাজিক বন্ধন ও স্বাভাবিক সম্পর্ককে ধ্বংস করার বিভিন্ন রকম প্রচেষ্টা, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ-অপমান করে স্বাভাবিক সম্মানের হানি করা; এসব আজকের বাংলাদেশে কিভাবে এতো স্বাভাবিক ও গ্রহণযোগ্য বিষয় হয়ে দাড়ালো?
তবে শুধু বই পোড়ানোর ঘটনাই না, ফ্যাসিজম সম্পর্কে বুঝতে হিটলারের আরো কিছু ঘটনা জানা প্রয়োজন। তার ক্ষমতায় আরোহণের একটা বড় সিড়ি ছিলো ‘এসএ’ বাহিনী। ‘ষ্টুর্মাবটাইলোগ’ (জার্মান: ঝড়োয়া আক্রমণের বাহিনী) ছিলো হিটলারের নাৎসি পার্টির সহিংস যুবদল সংগঠন। অনেকটা বর্তমান ছাত্রলীগ যুবলীগের মতো। নির্দিষ্ট পোষাকের কারণে এরা ‘ব্রাউনশার্ট’ বাহিনী নামেও পরিচিত ছিলো। পুরো বিশের দশক জুড়ে এরা প্রতিপক্ষ সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির অঙ্গসংগঠন ‘রাইখব্যানার’ এবং কমিউনিষ্ট পার্টির অঙ্গসংগঠন ‘রেড ফ্রন্ট’ এর সদস্যদের সাথে যে কোন সুযোগ পাওয়া মাত্রই সংঘর্ষে লিপ্ত হতো। ঠিক এখন যেমন শোনা যায়, ‘একটা লাশের বদলে দশটা লাশ চাই’, আজ থেকে আশি বছর আগে জার্মান ‘এসএ’ বাহিনীর স্লোগান ছিলো: ‘ভয়কে ভয় দিয়ে ভাংতে হবে’ (র্যা নডাল ডি. ল, টেররিজম: এ হিষ্টরী, পলিটি প্রেস, কেমব্রীজ: ২০০৯)। এই বাহিনীর দুবৃত্তপনা সেসময় দিনের পর দিন ক্রমাগত বেড়েই চলতে থাকে। ভঙ্গুর অর্থনীতি, অর্থনৈতিক মহামন্দা, বেকারত্ব, দুর্বল আইন শৃংখলা পরিস্থিতি আর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যেতে থাকা বিরক্ত ও হতাশ জার্মান জাতি হিটলারের এ শক্তিমদমত্তার প্রদর্শনীতে আস্থা রেখে তাকেই পরবর্তীতে নেতা হিসেবে গ্রহণ করে নেয়।
উনিশশো তেত্রিশ এর নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া হিটলারের ফ্যাসিষ্ট ক্ষমতা একত্রিশ সালের পর থেকেই সংহত হতে শুরু হয়। এসময় তার অন্যতম কৌশল ছিলো রাস্তায় সহিংসতা, এবং এ কাজে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি ছিলো এই ‘এসএ’ বাহিনী। উনিশশো বত্রিশ সালের জুনের এক থেকে বিশ তারিখের মধ্যে কেবলমাত্র প্রুশিয়া প্রদেশেই ৪৬১ টি ষ্ট্রিট ফাইটিং এর ঘটনা পুলিশ রেকর্ড করে, যাতে বিরাশি জন মারা যায় এবং চারশ আহত হয় (উইলিয়াম লরেন্স শিরার, দ্য রাইজ এন্ড ফল অভ দ্য থার্ড রাইখ, র্যা নডম হাউস ইউকে, ২০০২)। র্যা নডাল ল’ এর মতে, এইসব ষ্ট্রিট ফাইটিং থেকে নাজি দলের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো তারা প্রতিপক্ষ কমিউনিষ্ট পার্টির যুবসংগঠনকে আত্মরক্ষার জন্য সহিংসতায় জড়িয়ে পড়তে বাধ্য করে। এতে করে তাদেরকে পুলিশ এবং তৎকালীন সরকারের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাড় করানো সম্ভব হয়, এবং সবশেষে জনমতকেও নাজি পার্টির অনুকূলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। তিনি লিখেছেন “নাজি নীতিনির্ধারকরা জনগণের মানসিকতা বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিলো যে তারা শেষপর্যন্ত জাতীয়তাবাদী নাজিদের উসকানীকে উপেক্ষা করবে বরং কমিউনিষ্টদের সহিংসতায় অংশগ্রহণ করাটাকে আইন বিরোধিতা হিসেবে ব্যাখ্যা করতে থাকবে”। (টেররিজম: এ হিষ্টরী, পৃ: ১৭১)। বর্তমান বাংলাদেশের সাথে কি অদ্ভুত সামঞ্জস্য!
হিটলারের ফ্যাসিষ্ট নেতা হয়ে উঠার পথে আরেকটি অন্যতম মাধ্যম ছিলো নাৎসি প্রপাগান্ডা। হিটলারের প্রচারমন্ত্রী গোয়েবলসের নাম তো চিরকালের ইতিহাসে মিথ্যাচারের উপমা হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। পত্র পত্রিকা রেডিও লিফলেট এবং সম্ভাব্য সকল উপায়ে প্রচার চালানোতে প্রথম বিশ্বযদ্ধোত্তর জার্মান জনসাধারণ বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলো, তাদের সকল দুর্ভোগ আর অর্থনৈতিক সমস্যার জন্য ইহুদিরাই মূলত দায়ী। কারশ লিখেছেন, “সেসময় সত্যিকার অর্থে খুব অল্প সংখ্যক জার্মান লোকেরই কোন ইহুদির সাথে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কোন ধরণের যোগাযোগ ছিলো এবং ইহুদিদের বাস্তব অবস্থা ও কাজ সম্পর্কে সত্যিকার বিষয়গুলো জানতো। অথচ সাধারণ জার্মানরা অব্যাহত এন্টি-সেমেটিক প্রচারণার ফলে বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলো যে জার্মান জাতির অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণ হলো ইহুদিরা”। এভাবে তারা ইহুদি ধর্মাবলম্বী মানুষদেরকে না জেনে ও না চিনে সাধারণীকরণ করে শত্রু হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছিলো (ইয়ান কারশ, হাউ ইফেকটিভ ওয়াজ নাজি প্রপাগান্ডা, বই: নাজি প্রপাগান্ডা: দ্য পাওয়ার এন্ড দ্য লিমিটেশন্স, সম্পাদক: ডেভিড ওয়েলশ, বার্ণস এন্ড নোবল বুকস, নিউ জার্সি: ১৯৮৩)।
হতাশা ও অপ্রাপ্তির বোধ মানুষকে প্রায়শ ধ্বংস এবং সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যায়। সমাজবিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, যুগে যুগে বিভিন্ন দেশে সুযোগসন্ধানী রাজনীতিবিদরা জনগণের এ মানসিকতার সুযোগ নেয়। জার্মানীর জন্য অপমানকর ভার্সাই চুক্তির মাধ্যমে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর বেকারত্ব আর মুদ্রাস্ফীতিতে দেশটার অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলো। এসময় ইহুদি আর কমিউনিষ্টদেরকে এসবকিছুর জন্য দায়ী করে জার্মানদের উদ্দীপ্ত করে তুলেছিলেন হিটলার। অতীত কলঙ্কমোচন আর দেশপ্রেমের বলিষ্ঠ স্লোগান দিয়ে, আভ্যন্তরীণ শত্রুদেরকে নির্মুল করে কিংবা সরিয়ে দিয়ে, ধীরে ধীরে হিটলার হয়ে উঠেন নাৎসি পার্টির অবিসংবাদিত স্বৈরাচারী নেতা। পরবর্তীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হত্যাযজ্ঞ এবং ধ্বংসের ইতিহাস তো পুরো পৃথিবী জানে।
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে চার দশকেরও বেশি সময় হলো। বিপুল সম্ভাবনা থাকার পরও আমাদের দেশ পৃথিবীতে আজ দরিদ্র ও দুর্নীতিপরায়ণ পশ্চাতপদ দেশ হিসেবে পরিচিত। সারা দুনিয়াতে আমাদের পাসপোর্ট দেখাতে হয় মাথা নিচু করে, পৃথিবীর বহু দেশের বিমানবন্দরে অপমান মুখ বুজে সহ্য করতে হয়। দেশের ভেতরেও নেই কোন নিরাপত্তা, সম্ভাবনা অথবা শান্তি। এসব কষ্টে প্রতিটি সচেতন বাংলাদেশীরই বুকের ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়। কিন্তু আমাদের কষ্ট আর ক্ষোভকে পুঁজি করে কোন মানুষ বা গোষ্ঠী যদি উগ্র জাতীয়তাবাদনির্ভর ও মানবাধিকারবিরোধী ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ পেয়ে যায়, তবে তা নিশ্চিতভাবে আমাদের প্রাণপ্রিয় দেশটাকে বহুবছর পিছিয়ে দেবে, ঠেলে দেবে অবনতির অন্ধকার গুহার দিকে। তাই এ ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে গণমানুষকে সচেতন করতে এখন প্রতিটি বিবেকসম্পন্ন মানুষকেই সক্রিয় হতে হবে।
আগে এখানে প্রকাশিত
বিষয়: রাজনীতি
১৬১১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন