প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে আমাদের করণীয়

লিখেছেন লিখেছেন অনুক্ত ০৩ এপ্রিল, ২০১৩, ০৪:৩৭:২৯ বিকাল





প্রতিষ্ঠানের বা সংগঠনের জন্য শুধু জনবল সংগ্রহ করাই যথেষ্ট নয় তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দাঁড় করে তোলাই সবচেয়ে বড় কাজ। ১৫ কোটি মানুষের ৩০ কোটি হাত আছে কিন্তু দক্ষ হাতের সংখ্যা খুবই কম। তাই প্রশিক্ষণ একটি গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয় যার মাধ্যমে অদক্ষ হাতকে দক্ষ করে গড়ে তোলা যায়।

প্রশিক্ষণ : নিজ নিজ পেশায় দক্ষতা অর্জনের জন্য যে শিক্ষাদান করা হয় তাকে প্রতিক্ষণ বলে। অন্যভাবে বলা যায়, হাতে কলমে শিখানোর একটি প্রক্রিয়া হলো প্রশিক্ষণ।

প্রামাণ্য সংজ্ঞা : মাইকেল আর্মষ্টং বলেন, নির্দিষ্ট কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য একজন ব্যক্তির প্রয়োজনীয় জ্ঞান, দক্ষতা ও মনোভাব উন্নয়নের রীতিবদ্ধ পদ্ধতিই হলো প্রশিক্ষণ।

Ricky W Griffin এর মতে, কর্মীদের যে কাজের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে সে কাজটি কিভাবে করতে হবে তা শিক্ষাদান করাকে প্রশিক্ষণ বলে।

Gary Dessler এর মতে, নতুন ও পুরাতন কর্মীদের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধির পদ্ধতিকে প্রশিক্ষণ বলে।

অর্থাৎ প্রশিক্ষণে কর্মীর তাত্ত্বিক জ্ঞানকে বাসত্মবে প্রণয়নের দক্ষতা অর্জনের মৌলিক শিক্ষা দেয়া হয়।

প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য:

প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের মৌলিক উদ্দেশ্যগুলো নিচে তুলে ধরা হলো-

1. পারস্পরিক পরিচিতি

2. সম্পর্ক উন্নয়ন

3. দÿতা বৃদ্ধি

4. মনোভাবের অবিবর্তন

5. নিষ্ক্রিয়তা দূরীকরণ

6. প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা প্রদান

7. বুদ্ধিবৃত্তির উৎকর্ষ সাধন

8. উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি

9. বহুমূখী শিক্ষাদান

10. আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি

প্রশিক্ষণের গুরুত্ব :

প্রশিক্ষণ ভালো ব্যস্থাপনার ভিত্তি প্রস্তর স্বরূপ। এটি কর্মীদেরকে অধিক কার্যকর ও উৎপাদনশীল করে গড়ে তোলে। নিম্নে এর গুরুত্ব তুলে ধরা হলো-

1. মানসিক পরিবর্তন সাধন

2. উৎপাদন বৃদ্ধি

3. সময় ও কাঁচামালের সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ

4. মনোবল বৃদ্ধি

5. আচরণের পরিবর্তন

6. দূর্ঘটনা হ্রাস

7. অপচয় রোধ

8. শ্রম অসমেত্মাষ হ্রাস

9. সাংগঠনিক স্থিতিশীলতা

10. তথ্য সরবরাহ

প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের পরিকল্পনা :

একটি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম বাসত্মবায়ন করার জন্য কমপক্ষে ৩ মাস পূর্বে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিৎ। তাহলে তা সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে বাসত্মবায়ন করা সম্ভব হবে এবং কিছু বিষয় আগে থেকেই ঠিক করে রাখতে হবে যেমন-

1. শিক্ষার্থী বাছাই করা: একটি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদের লোক কর্মরত থাকে, এদের মধ্য থেকে কোন শ্রেণীর কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে তা পূবেই নির্ধারণ করতে হবে। একই সাথে বিভিন্ন পদবীর জনবলকে একত্রে প্রশিক্ষণ দিলে তা ফলপ্রসূ হয় না।

2. প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ঠিক করা: প্রতিটি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ঠিক করা একটি গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয়। উদ্দেশ্য ছাড়া কোনো প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম বাসত্মবায়ন করে কোনো লাভ হয় না। কেন আমরা প্রশিক্ষণ দিবো এই প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম থেকে আমরা কি অর্জন করতে চাচ্ছি তা স্পষ্ট থাকতে হবে।

3. প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের কার্যসূচি তৈরি করা : প্রশিক্ষণের সূচি পূর্বেই ঠিক করা দরকার। এতে করে শিক্ষার্থী ও প্রশিক্ষকগণ নিজেদেরকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত করতে পারে এবং সময়ের অপচয় রোধ করে নিয়মতান্ত্রিকভাবে যথাসময়ে কার্যসম্পাদন করা যায়, সময়ের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।

4. প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্তে অটল থাকা : সিদ্ধান্তে অটল থাকতে হবে। ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরির্বতন করা যাবে না।

5. প্রশিক্ষক ঠিক করা : নির্ধারিত বিষয়ের উপর আলোচনার জন্য আগেই প্রশিক্ষক বা আলোচক ঠিক করা। বিষয়ভিত্তিক আলোচনার ক্ষেত্রে সংশিস্নষ্ট বিষয়ের আলোচক হওয়া বাঞ্ছনীয়। কমপক্ষে ১৫ দিন পূর্বে আলোচককে তার আলোচনার বিষয় ও সময় জানানো দরকার যাতে করে তিনি উক্ত বিষয়ের উপর আলোচনার পূর্বপ্রস্ত্ততি নেয়া ও শীট তৈরি করতে পারেন।

6. প্রশিক্ষণের তারিখ ও স্থান নির্ধারণ করা : প্রোগ্রামের পূর্বেই সময় ও স্থান নির্ধারণ করা দরকার।

7. আয় ও ব্যয়ের বাজেট তৈরি করা : প্রোগ্রাম বাসত্মবায়নের জন্য আয় ও ব্যয়ের বাজেট করা দরকার। এ ক্ষেত্রে ডেলিগেট সংখ্যা, ডেলিগেট ফি, মেহমান সংখ্যা, খাবার ও নাস্তার মেন্যুর পূর্ণ বিবরণ বাজেটে উল্লেখ থাকা দরকার।

8. বাস্তবায়ন কমিটি গঠন : একটি অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে বাসত্মবায়ন করার জন্য বাসত্মবায়ন কমিটি করা খুবই জরম্নরি। কমিটি নিম্নরুপ হতে পারে-

পরিচালক

ব্যবস্থাপক

অফিস বিভাগ

খাদ্য বিভাগ

ডেকোরেশন বিভাগ

পানি ও সেনিটেশন

শৃঙ্খলা ও চিকিৎসা বিভাগ

সাংস্কৃতিক বিভাগ

মেহমান বিভাগ

প্রোগ্রামের পরিধির উপর নির্ভর করে বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা দরকার।

9.দায়িত্ব বণ্টনঃ বাসত্মবায়ন কমিটির আলোকে প্রতিটি বিভাগে একজন করে দক্ষ ও যোগ্য জনবলকে দায়িত্ব প্রদান করা। প্রোগ্রামের পরিধির উপর নির্ভর করে প্রতিটি বিভাগে সহকারী হিসাবে একাধিক জনবলকে দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। তবে খাদ্য ও শৃংখলা বিভাগে পর্যাপ্ত লোক দেয়া প্রয়োজন। কমিটির পরিচালক প্রতিটি বিভাগের দায়িত্ব নির্ধারণ করে দিবেন।

বাস্তবায়ন কমিটির কাজ : বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণত যে কাজগুলো থাকে তা হলো-

পরিচালকের দায়িত্ব : একটা প্রোগ্রাম সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে বাসত্মবায়ন করার জন্য পরিচালকের দায়িত্বই হচ্ছে প্রধান। তিনি সকল বিভাগীয় প্রধানকে সংশিস্নষ্ট বিষয়ের কাজ এবং কাজের দিক নির্দেশনা ও যাবতীয় সমস্যার সমাধান দিবেন। সকল বিভাগীয় প্রধানের কাজ বুঝিয়ে দেয়ার পর অর্পিত কাজের রিপোর্ট নিবেন ও মাঝে মাঝে সমন্বয় মিটিং আহবান করে কাজের তদারকি করবেন। প্রোগ্রাম শুরুর আগের দিন অবশ্যই বিভাগীয় মিটিং করে সকল বিভাগের প্রস্ত্ততি সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রোগ্রামের দিকনির্দেশনা মূলক উদ্বোধনী বক্তব্য ও শেষে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করবেন।

ব্যবস্থাপকের কাজ : ব্যবস্থাপক মূলতঃ পরিচালকের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। প্রোগ্রামের সকল ব্যবস্থাপনা করাটাই আসলে ব্যবস্থাপকের কাজ। বিভাগীয় প্রধানদের দিয়ে কাজ সুষ্ঠুভাবে ও সময় মত করানো হলো ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব। মেহমান ও ডেলিগেটদের যথাসময়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। প্রোগ্রাম পরিচালনার দায়িত্ব ব্যবস্থাপকের উপরই ন্যস্ত, তবে অনুষ্ঠান পরিচালনায় যদি কোন দক্ষ লোক থাকে তবে তিনি পরিচালনা করতে পারে। তবে পরিচালককে অবশ্যই শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে হবে এবং শ্রোতাদের আকৃষ্ট করার ক্ষমতা থাকতে হবে।

অফিস বিভাগ : অফিস বিভাগের কাজের সৌন্দর্য্যের উপর সম্পর্ণ প্রোগ্রামের সৌন্দর্য্য নির্ভর করে। অফিস বিভাগের অনেক কাজ রয়েছে যেমন:

1. প্রোগ্রামের চিঠি তৈরি করা।

2. চিঠি টার্গেটকৃত জনবলের কাছে পাঠানো।

3. হল রুম ভাড়া করা।

4. হাজিরা শীট তৈরি করা ।

5. ডেলিগেট ফি সংগ্রহ। (যদি থাকে)

6. ডেলিগেট কার্ড তৈরি।

7. সাদা কাগজ ও কলম সরবরাহ।

8. প্রোগ্রামের ছবি ও আলোচনা সংগ্রহ করা।

9. আলোচনা ফটোকপি করা ও তা সকলকে সরবরাহ।

10. প্রোগ্রাম চলাকালীন সময়ে একজনকে স্টেজের কাছাকাছি রাখা যেন কোন প্রয়োজন হলে পরিচালক তাকে বলতে পারে।

হল রুমে যা নিয়ে যেতে হবে : প্রোগ্রাম স্থলে যা যা লাগবে তার একটি তালিকা তৈরি ও প্রোগ্রাম শেষে ঐ তালিকা দেখে তা ফেরত নিয়ে আসা। নিম্নে তালিকা তুলে ধরা হলো:

ক. ব্যানার

খ. দাওয়াতি চিঠি

গ. হল রুম ব্যবহারের অনুমতি পত্র

ঘ. কর্মসূচি

ঙ. ফাইল

চ. কলম ও কাগজ

ছ. ষ্টাপ্লার মেশিন ও পাঞ্চ মেশিন

জ. কলমদানী ও ওয়েট পেপার

ঝ. হোয়াইট বোর্ড ও মার্কার পেন

ঞ. প্রজেক্টর ও স্কিন

ট. ল্যাপটপ ও চার্জার।

ঠ. ক্যামেরা

ডেকোরেশন বিভাগ : পর্যাপ্ত আলো বাতাস পাওয়া যায় এমন একটি জায়গায় প্রোগ্রাম স্থল নির্ধারণ করা উচিত। দীর্ঘ সময় বসে থাকা তখনই সম্ভব যখন হল রুমটি হয় সুন্দর ও মনোরম হয়। তাই ডেকোরেশন বিভাগকে হল রুমের পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়। নিম্নে এ বিভাগের কাজ তুলে ধরা হলো:

1. হল রুম সুন্দর করে সাজানো।

2. আধুনিক ব্যানার তৈরি।

3. কাচা ফুলের ফ্লাড ঝুড়ি স্টেজে রাখা।

4. রুম পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।

5. কিছুক্ষণ পর পর এয়ার ফ্রেশার ব্যবহার করা।

6. বিরতির সময় হল রুম পরিস্কার করা।

7. হল রুমে ময়লা ফেলার ঝুড়ি রাখা।

8. স্টেজে খাবার পানির ব্যবস্থা করা।

9. নামাজের বিছানা রাখা।

10. জায়নামাজ এর ব্যবস্থা রাখা।

খাদ্য বিভাগ : খাদ্য বিভাগ সফল হলে একটি প্রোগ্রাম সফল হয়। তাই এই বিভাগের কাজ খুবই যত্মের সাথে করতে হয় । খাদ্য বিভাগের কাজ নিম্নে তুলে ধরা হলো:

1. মেহমানসহ মোট ডেলিগেট সংখ্যা হিসাব করা।

2. সকাল, দুপুর ও রাতের আলাদা খাবার মেন্যু তৈরি করা।

3. মেন্যু অনুযায়ী বাজেট তৈরি করা।

4. খাবার প্লেট ও গ্লাসের ব্যবস্থা করা।

5. প্রোগ্রাম সূচি দেখে সময়মত খাবার সরবরাহ।

6. সম্ভব হলে চায়ের ব্যবস্থা করা।

7. সকলে খাবার পেয়েছে কিনা নিশ্চিত হওয়া।

8. নাস্তার ক্ষেত্রে মৌসুম অনুযায়ী ফলের ব্যবস্থা করা।

পানি, সেনিটেশন ও চিকিৎসা বিভাগ : পানি সেনিটেশন বিভাগের কাজ নিম্নে তুলে ধরা হলো:

1. প্রয়োজনীয় খাবার পানির ব্যবস্থা করা।

2. বাথ রুমে সাবান ও টিস্যুর ব্যবস্থা করা।

3. ঘন ঘন টয়লেট পরিস্কার করা।

4. টয়লেট র্দুগন্ধমুক্ত রাখা।

5. কেউ অসুস্থবোধ করলে তার সেবা করা।

6. খাবার স্যালাইনসহ প্রাথামিক ঔষধ পত্র সংগ্রহে রাখা।

অভ্যর্থনা ও শৃঙ্খলা বিভাগ : এ বিভাগের কাজ নিম্নরুপ:

1. হাসিমুখে সবাইকে অভ্যর্থনা জানানো।

2. সকল ডেলিগেটদের বসার ব্যবস্থা করা।

3. হলরুমের প্রতিটি গেটে শৃঙ্খলা বিভাগের লোক রাখা।

4. বিশৃঙ্খলা এড়াতে সব সময় সর্তক থাকা ।

5. হল রুমে কে প্রবেশ করছে ও বাহিরে যাচ্ছে তা নজরে রাখা।

6. অপরিচিত কাউকে হল রুমে প্রবেশ করতে না দেয়া।

7. নামাজ ও খাবার বিরতির পর সবাইকে হল রুমে বসতে সহযোগিতা করা।

8. সকলের সাথে সুন্দর ব্যবহার করা। কোন ক্রমেই রাগ করা যাবে না।

মেহমান বিভাগ : এ বিভাগের কাজ নিম্নরুপ-

1. মেহমানদের প্রোগ্রামের একদিন পূর্বে পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেয়া।

2. মেহমানদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা।

3. আত্মরিকতার সাথে মেহমানদের গ্রহণ করা।

4. মেহমানদের নাস্তা ও খাবার ব্যবস্থা করা। (এ ক্ষেত্রে কোন মেহমান কি খাবার পছন্দ করে তা পূর্বেই জেনে নেয়া)

5. মেহমানদের চায়ের ব্যবস্থা করা। (এর জন্য কাপ পিরিজ সংগ্রহে রাখা)

6. আলোচনা শেষে মেহমানকে ধন্যবাদ জানানো।

7. বিদায় বেলায় তার প্রাপ্য সম্মানী অবশ্যই প্রদান করা। (খামের ভিতরে)

সাংস্কৃতিক বিভাগ : প্রোগ্রামের একমুখী ভাব দূর করার জন্য এবং মানসিক প্রশান্তির জন্য বিনোদন প্রয়োজন। এই জন্য সাংস্কৃতিক বিভাগ থাকা দরকার। নিম্নে এ বিভাগের কাজ তুলে ধরা হলো-

1. সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারণ করা।

2. সাংস্কৃতি গোষ্ঠির সাথে পূর্বেই যোগাযোগ করা।

3. সাংস্কৃতিক পরিবেশনার একটা সূচি তৈরি করা।

4. ডেলিগেটদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা।

যে কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রশিক্ষণ একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সঠিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই দক্ষ জনবল তৈরি করা সম্ভব। একটি প্রতিষ্ঠানের উন্নতি ও অগ্রগতি নির্ভর করে তার জনবলের উপর, জনবল যদি দক্ষ হয় তবে প্রতিষ্ঠান ক্রমেই উন্নতির সোপানে আরোহন করবে আর যদি দক্ষ জনবল তৈরি করতে ব্যর্থ হয় তাহলে প্রতিষ্ঠানের উন্নতির চিন্তা করা যায় না। উপরোক্ত বিষয়গুলোকে সামনে রেখে যদি একটি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে তা সফল ও সুন্দর হবে ইনশাআল্লাহ।

বিষয়: বিবিধ

২০২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File