স্যরি টু সে... মারা গেলেই সাত খুন মাফ হয়ে যায় না।
লিখেছেন লিখেছেন হিফজুর রহমান ২২ মার্চ, ২০১৩, ১০:২০:২৮ সকাল
বাংলাদেশের বর্তমান সংসদীয় ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি একজন পুতুল মাত্র। যেমনে নাচাও তেমনি নাচি টাইপ। জাতীয় কিছু ইস্যুতে মাঝে মাঝে কিছু ভাষণ শিখিয়ে দেয়া তোতাপাখির মত যদিও পাঠ করা লাগে যার দাঁড়ী-কমা-শব্দ-ভাব-ব্যঞ্জনা সবই প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃক লিখিত- অনুমোদিত- নির্দেশিত।কেবল ফাতেহা পাঠের ক্ষমতা নিয়া তাঁরা নিজেরাই সব সময় থাকেন সন্ত্রস্ত- সংকোচিত। সাত চড়ে রা নেই এমন। শামুকের ভিতর গুটানো নরম তুলতুলে মাংস পিণ্ড। নড়াচড়ায়ও তাঁদের প্রচণ্ড অনিহা। কি জানি কখন কি বলতে কি বলে বসেন আর প্রধানমন্ত্রীর বিরাগভাজন হয়ে বি চৌধুরীর মত কিক-আউট হইতে হয়। আর মুখে মহামান্য বললেও সামান্য এদিক সেদিক মাথা নাড়ানোতেও আমাদের প্রধানমন্ত্রীরা প্রচণ্ড মাইন্ড করেন। কারণ ১০০% আনুগত্যের সার্টিফিকেট দিয়েই এই পদে রাষ্ট্রপতিদের বসতে হয়। আর এজন্য মোটা চামড়ার ইয়েস উদ্দিন সাহেবরাই সব সময় আওয়ামী লীগ-বি এন পি দু' দলের পছন্দের তালিকায় থাকেন।
সদ্য মরহুম, মহামান্য রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানও তেমনি একজন ছিলেন। দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উটে তাকে কখনই কোন ব্যাপারে দেশের স্বার্থে কথা বলতে দেখা যায়নি। জাতির-দেশের- আপামর জনসাধারণের অবিভাবকের বলিস্ট ভুমিকায়ও তাঁকে পাওয়া যায়নি। বরং বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে কোরাস গাইতেই তাঁর যত উৎসাহ ছিল। লক্ষ্মীপুরের কুখ্যাত মেয়রের গুণধর দুর্ধর্ষ খুনি পুত্রের মত আরো অনেক চিহ্নিত খুনিকে বিশেষ ক্ষমতার বলে মাফ করে দিয়ে আরও খুন করার লাইসেন্স দিতে তার বিবেকে বাধেনি।
জানি। প্রতিটি মৃত্যুই অপূরণীয়। সবারই ভালো-খারাপ দুই দিক আছে। এবং আমি মনে প্রানে তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
বাট স্যরি টু সে... মারা গেলেই সাত খুন মাফ হয়ে যায় না।
বিষয়: বিবিধ
১১৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন