সাঈদীর ক্যাসেট পদদলিত করে বোবা হয়ে গেলেন কুড়িগ্রামের ফজলু!
লিখেছেন লিখেছেন প্রজাপতি ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৯:২৭:০৮ রাত
মহা-পবিত্র আল-কোরআনের তাফসিরের ওয়াজ বাজানোর কারণে এক ফেরি ওয়ালাকে বে-ধড়ক পিটিয়ে ওয়াজের ক্যাসেটটি ভেঙে পদদলিত করেছে কোরআন বিরোধী এক আওয়ামী লীগ নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মধ্য কুমোরপুর বাজার এলাকায়। এই ঘটনায় কুড়িগ্রাম জেলার সর্বত্রই আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠেছে। মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ওয়াজ মাহফিলের ক্যাসেট কেড়ে নিয়ে পা দিয়ে পদদলিত ও ছিঁড়ে ফেলার মাত্র একদিন পর সে বর্তমানে স্ট্রোক করে চিকিৎসাসাধীন রয়েছে। ধর্মপ্রাণ গণমানুষের মন্তব্য পবিত্র কোরআন অবমাননা করার অপরাধে তার এমনটি হওয়া স্বাভাবিক। বিষয়টি নিয়ে মতামত জানেতে চাইলে চন্ডীপুর হাফেজিয়া মাদরাসার মুহতামিমসহ অনেক আলেম ওলামা মাশায়েখ মন্তব্য করেছেন আল্লাহর পবিত্র কোরআনের ক্যাসেট পা দিয়ে ছিঁড়ে ফেলায় তার ওপর আল্লাহর গজব পড়েছে।
ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে সরেজমিনে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং মধ্যকুমোরপুর এমএল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীর চর্চাশিক্ষক আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হক গত ৩১ জানুয়ারি সাঈদীর ক্যাসেট বাজানোর শব্দ শুনতে পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে ছুটে গিয়ে ফেরিওয়ালাকে থামিয়ে ওয়াজ মাহফিলের ক্যাসেটটি নিয়ে লাথি মেরে ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফিতাটি ছিড়ে ফেলে। পরদিন ১ ফেব্রুয়ারি রাতে তার কথা বন্ধ হয়ে যায় এবং এক হাত এক পা অবস হয়ে পড়ে। মাত্র ১ দিনের ব্যবধানে তার অহংকারী তাজা শরীরের এ করুণ পরিণতির বিষয়টি অত্র এলাকাসহ জেলার সর্বই ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, জরবড়াইবাড়ী এলাকার জমিদার আলীর পুত্র মোঃ মানিক মিয়া ভাংড়ি ফেরিওয়ালা প্রতিদিনের মত ৩১ জানুয়ারি নিজস্ব ভ্যান গাড়িতে মাইকযোগে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কিত ওয়াজের ক্যাসেট মাইকে বাজিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় আওয়ামী লীগের ওই নেতা ফজলুল হকের কানে পড়লে সে মোটরসাইকেলে দ্রুত ঘটনা স্থলে গিয়ে ভ্যানগাড়িটি থামিয়ে অকথ্য-আপত্তিকর ভাষায় গালি দেয় এবং ভ্যানটিসহ সাঈদীর ওয়াজের ক্যাসেটটি ভাংচুর করে এ সময় ফেরিওয়ালা মানিক মিয়া বাধা দিলে তাকেও সে কিল ঘুষি মারে। কিল ঘুষির শিকার ফেরিওয়ালা বলে, মুই গরীব মানুষ। শরীর ভাল না। কোন রকমে ভ্যানগাড়িদিয়ে ভাংড়ির ব্যবসা করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে সংসার চালাং। মুই কি দোষ করনুক। মোর কি দোষ! গ্রামের ব্যাটি ছাওয়াগুলো সাইদীর ক্যাসেট শুনবার চায়। সে জন্যই মুই সাঈদীর ক্যাসেট বাজাও। এটাকি মোর দোষ! ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ শাহ্ আলম বলেন, ফজলু ওরফে ফজু ও মানিকের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কি দেখে আমি সেখানে গিয়ে ক্যাসেট ছিঁড়তে নিষেধ করি। কিন্তু সে আমার কথা রাখেনাই।
ভোগডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইদুর রহমান বলেন সাঈদীর সাথে ফজলুর এমন কি হয়েছে যে তার ওয়াজের ক্যাসেট ভাংতে হবে। ও জ্যামন কাজ করছে তেমন ফল পেয়েছে। এছাড়াও এলাকার আরো অনেক লোকজন জানান, সে গত ঈদুল ফিতরে ঈদ-গা মাঠে সাঈদীর জন্য দোয়া করায় ইমামকে নিষেধ করায় বিক্ষুব্ধ মুসল্লিগণ তাকে লাঞ্ছিত করে। তার পরও সে ওই ক্ষুব্ধতার জের ধরে ঘটনার দিন ফেরিওয়ালাকে মারধর করে সাঈদীর ওয়াজের ক্যাসেট ভ্যান ভাংচুর করে ও ফেরিওয়ালাকে বেধড়ক মারপিট করে। সে এলাকায় দুর্দান্ত প্রকৃতির বলে জানা গেছে।
তার বড় ভাই মোঃ রুহুল আমিন বলেন, ফজলু বর্তমানে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিচিৎসাধীন রয়েছে। তার ভুলের জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
খবরটি রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রথম খবর পত্রিকায় ২৪ ফেরুয়ারি গুরুত্বের সাথে প্রকাশ হয়েছে।
- See more at: http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=110365#sthash.TwDNKsdZ.dpu
http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=110365
বিষয়: বিবিধ
১৭৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন