খোলা চিঠি

লিখেছেন লিখেছেন প্রজাপতি ০৯ এপ্রিল, ২০১৩, ০৯:৫৬:২০ রাত

লক্ষ লক্ষ পাঠকের প্রাণের পত্রিকা । যেই পত্রিকা মিডিয়ার আসল রূপ উন্মোচন করেছে। হলুদ সাংবাদিকতা কাকে বলে মানুষকে জানিয়ে দিয়েছে। বাংলার ঘুমন্ত মানুষকে জাগ্রত করেছে। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে দায়িত্বের খাতিরে । সৎ ও ন্যায়ের পথে কিভাবে থাকতে হয় তা শিখিয়ে দিয়েছে হলুদ মিদিয়াগুলোকে । আস্তিক আর নাস্তিকের মধ্যে পার্থক্য কি তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। একেই বলে সাহসী সাংবাদিকতার প্রতীক। ঐ পত্রিকাটি আমার দেশ

হিসেবে আমাদের কাছে পরিচিত। আপনাদের কাছেও তাই। মূলত আমার দেশ পরিবারের নিকট এই খোলা চিঠি

তাং-০৯-০৪-১৩

বরাবর,

ভারপাপ্ত সম্পাদক,

দৈনিক আমার দেশ।

বিএসসি ভবন, ১০২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ধাকা-১২১৫

বিষয় : আমার দেশ নিয়ে পাঠকের প্রত্যাশা।

আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ ।

জনাব,

আমার দেশ পরিবারের সবাইকে আমার সালাম। আশাকরি আল্লাহর বিশেষ রহমতে ও দোয়ায় আপনারা সবাই ভাল আছেন। ভাল থাকাটাই আমার একমাত্র কাম্য। বর্তমানে আমার দেশের দুর্দিন যাচ্ছে না সুদিন যাচ্ছে তা বলব না । এই সময়টাতে আমার দেশের সঙ্গে থাকতে পেরে নিজেকে খুব ধন্য মনে করছি। অনাদি অনন্তকাল পর্যন্ত আমার দেশের সঙ্গে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।

আমাদের সমাজে বর্তমানে অসংখ্য পত্র পত্রিকা রয়েছে। তার মধ্যে আমার দেশের অবস্থান অনেক উপরে । যদি বলি সবার উপরে । তা মোটেই অমূলক হবে না। কারণ যেখানে প্রায় সব পত্রিকা একদিকে । আমার দেশ নীতি আদর্শের কারণে বিপরীত দিকে অর্থাৎ স্রোতের বিপরীতে । যার ফলশ্রুতিতে আমার দেশের উপর নেমে আসে অসংখ্য ঝড় । যা টর্নেডোর চেয়েও ভয়াবহ। তবুও আমার দেশ একটুও তার নীতি থেকে বিচ্যুত হয় নি। তাই এই পত্রিকাকে যদি সবার উপরে স্থান দিই ; তাহলে কোনো অপরাধ হবে বলে মনে করি না।

জীবনে অনেক বীর দেখেছি । মাহমুদুর রাহমানের মতো বীর খুব কম দেখেছি । যিনি সত্যের পথ থেকে এক বিন্দু পরিমাণ পিচপা হন নি । তাকে গ্রেপ্তারের হুমকি দেওয়া হয়েছে । মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে । শুধু তাই নয় তার ব্যক্তিগত চরিত্র নিয়ে বিভিন্ন কুৎসা রটানো হয়েছে। তাতেও তিনি ধমে যান নি। তাঁর পথচলা কেউই রোধ করতে পারে নি। সম্প্রতি মাতাল হানিফ বলল, মাহমুদুর রহমান নাকি হেফাজাত ইসলাম থেকে ৪ কোটি টাকা নিয়েছে। সত্যি অবাক লাগে! একটা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যদি হয় নির্লজ্জ, বেহায়া, নির্বোধ ও বাকপটু। তাহলে সেই দলের কর্মীরা কেমন হবে তা সহজেই অনুমেয়।

আমার দেশের বিরুদ্ধে সরকার, বিভিন্ন মিডিয়া ও খোদ প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত বিষেদাগার করতে কুণ্ঠিত হন নি। সেখানে আমার দেশ অগণিত পাঠকের কথা চিন্তা করে নিয়ে আসছে ই-আমার দেশ । আমার দেশের এই উদ্যোগ পাঠককুলের মাঝে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। সবার মাঝে বসন্তের আবেশ বইতে লাগলো। এইভাবে নতুন নতুন বিভাগ ও নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবে আমার দেশ। এটাই পাঠকের একান্ত আশা।

ই-আমার দেশ আশার পর পাঠকের মাঝে চিন্তার খোরাক বেড়ে যায়। আমার দেশের অন লাইন সংস্করণ নিয়ে নতুন কিছু ভাবতে শুরু করে । তা একেবারে অমূলক নয় । সবার ধারনা ছিল প্রতিটি মিনিট , প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি মুহূর্তে আমার দেশের খবর থাকবে তাজা, ঝরঝরে । আসলে কিন্তু তা নয় । এখনও সেই আগের মতোই রয়ে গেছে। মাঝে মাঝে মনে হয় আমাদের চাওয়াটা একটু বেশি। পরক্ষণে ভাবি তা কিন্তু নয়। একজন পাঠক হিসেবে আমরা তো তা কামনা করতেই পারি। এখন হচ্ছে অন লাইন জগত। প্রতি মুহূর্তের খবর থাকবে পাঠকের নখদর্পণে । তাই আমার দেশ নিয়ে আমাদের পাঠক মহলে এতো চিন্তা। আমাদের এই ভাবনাটুকু আমার দেশ পরিবারকে কতটুকু ভাবিয়ে তোলে তা জানি না। তবে না ভাবার কথা নয়। আশাকরি সব ভাবনার অবসান হবে নতুন আশা জাগিয়ে। আগামীর ভবিষ্যৎ হবে সত্য ও ন্যায়ের সংবাদ প্রচারের ভিত্তিতে । সেই কাতারে আমার দেশ সবার আগে । এমনকি সবার উপরে। এই প্রত্যাশা রেখে আজকের মতো বিদায়।

আপনার লক্ষ লক্ষ পাঠকের একজন

বিষয়: বিবিধ

১৫০২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File