দিল্লিতে চলন্ত বাসে ধর্ষণ VS বাংলাদেশে চলন্ত বাসে ধর্ষণ: মিডিয়া ও জনগণ
লিখেছেন লিখেছেন দুরন্ত ঈগল ১৪ মার্চ, ২০১৩, ০৪:০৯:৪৩ বিকাল
দিল্লীতে চলন্ত বাস থেকে ধর্ষণের পরে ফেলে দিয়ে একজন প্যারামেডিক ছাত্রীকে হত্যা করার পর সারা বিশ্বে নিন্দার ঝড় উঠলো,বাংলাদেশের মিডিয়াও বাদ গেলো না।,লিখতে লিখতে পেপারের কাগজ শেষ।খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
ভারতের জনগণ ফুঁসে উঠলো।তাদের দমাতে শেষ পর্যন্ত পুলিশকে নিতে হলো কঠোর পদক্ষেপ।সরকারী দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও অংশ নিলেন প্রতিবাদ মিছিলে। অপরদিকে বাংলাদেশে একটি মানবাধিকার সংস্থা প্রেস ক্লাবের সামনে মানব বন্ধন করে "বিশাল দায়িত্ব পালন করা হইয়াছে মনে করিয়া বাড়ি চলিয়া গেলেন,আর কাহারও খবর মিলিলো না । " কিন্তু দুখের কথা কি আর বলিবো আমদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী হইযাও নারীদের দু:খে ব্যথিত হওয়ার কথাও ভুলিয়া গেলেন।
কিন্তু বাংলাদেশের মিডিয়া ও জনগণের প্রশংসা আরও বেশি করে করতাম যদি দেখতাম গত ২২শে ফেব্রুয়ারি দিল্লী ষ্টাইলে সাভারে ধর্ষণের পর গৃহবধূকে(চাঁদনী খাতুন) চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে হত্যা করার পর সেটা নিয়ে কাগজের কাগজের পর কাগজ লেখা হচ্ছে।এরকম বৈষম্যের কারণ কি?,আমরা বাংলাদেশীদের জীবনের,মান-ইজ্জতের মূল্য কম বলে?নাকি ঐ গৃহবধূ সুশীল সমাজের অন্তর্ভূক্ত নয় বলে?
ওহহ!! ভুলেই গেছিলাম,দেশের মিডিয়া তো শাহবাগী নাটক ও বিরোধী দলের কার্যালয়ে পাওয়া ককটেল নাটক নিয়ে এবং জামাতের তেলেগু একশন মুভি নিয়েই বেশি ব্যস্ত।আমাদের মত আবার জনতাদের দিকে তাকানোর তাদের সময় কোথায়।
তবে এর মধ্যে একটি ভালো সংবাদ ঐ ধর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
আবার মেধাবী ডা. সাজিয়ার হত্যাকারীকে ধরার পরেও এখন শুনতেছি তাকে নাকি জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।শাবাশ বাংলাদেশ,শাবাশ বাংলাদেশের মিডিয়া,তুমি ধন্য করেছো মোরে।
আশা করবো ফাঁসি ছাড়া এই সকল কুলাঙ্গারদের ভাগ্যে যেনো আর কিছু না জোটে।
ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার বিকল্প এখন ব্লগ-ফেসবুক।আসুন এই মিডিয়ার মাধ্যমেই আমরা চাঁদনী খাতুনের মর্মান্তিক পরিণতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠি,দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানায়।
বিষয়: বিবিধ
১২২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন