এক রাকায়াত নামাযের ফজিলত

লিখেছেন লিখেছেন কুরআনের সৈনিক ০৯ এপ্রিল, ২০১৩, ০৮:০৬:০৪ সকাল



1) নামাযী ব্যক্তি যখন নামাযের নিয়াত করতঃ আল্লাহ আকবার উচ্চরণ করিয়া থাকে, সঙ্গে সঙ্গে তাহার গুনাগসমূহ (সগীরাহ গুনাহ) এমনিভাবে ক্ষমা প্রাপ্ত হইয়া যায় যে, সে যেন এইমাত্র মায়ের উদর হইতে জন্মলাভ করিয়াছে । অর্থ্যাৎ নিষ্পাপ হইয়া যাই ।

2) যখন নামাযী ব্যক্তি সানা পাঠ করিয়া আঊযুবিল্লাহ পড়া শেষ করিয়া থাকে, তখন তাহার প্রত্যেকটি পশমের বদলে একটি করিয়া নেকী আল্লাহ প্রদান করেন ।

3) যখন সূরা ফাতিহা পড়িয়া শেষ করিয়া থাকে, তখন তাহারআমলনামায় একটি হজ্ঝ ও একটি ওমরাহর সাওয়াব লিপিদ্ধ হইয়া থাকে ।

4) রুকুর তাসবী, পড়িবার সঙ্গে সঙ্গে সমত্ম আসমানী কিতাব তেলাওয়াতের সওয়াবের তুল্য সওয়াব লাভ করিয়া থাক ।

5) তাহমীদ পড়িবার সাথে সাথে তাহার প্রতি আল্লাহ তা’আলা রহমতের দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন ।

6) নামাযী ব্যক্তি যখন সিজদাবনত হইয়া থাকে, তখন দুনিয়ার জিন ও ইনসানের নেকীর তুল্য নেকী আমলনামায় লিপিবদ্ধ হইয়া যায় ।

7) সিজদার তাসবীহ শেষ করিবার সঙ্গে সঙ্গে সে একটি গোলাম মুক্তির সওয়াবের তুল্য সওয়াব লাভ করিয়া থাকে ।

8) নামাযী ব্যক্তি যখন নামায শেষ করতঃ সালাম ফিরাইয়া থাকে তখন তাহার জন্য নির্দিষ্ট দুইটি বেহেশতের দরজাও খুলিয়া দেওয়া হয়, যাহাতে নামাযী ব্যক্তি আছানীর সঙ্গে ইচ্ছানুযায়ী তথায় প্রবেশ করিতে পারে । (উৎসঃ- মাজালিসে ছানিয়া শরহে আরবাঈন )

নামায সম্পর্কে রাসুল (স.) এর হাদীস

হযরত আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, তোমরা বলোঃ যদি তোমাদের মধ্যে কারো দরজায় সম্মুখ দিয়ে নহর প্রবাহিত হয় এবং সে তাতে দৈনিক পাঁচবার গোসল করে তাহলে তার দেহে কি কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে । সাহাবাগণ নিবেদন করলেন, কোনো ময়লাই অবশিষ্ট থাকবে না । রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সুতরা্ং পাঁচ বার নামাযের দৃষ্টামত্ম হলো এই যে, আল্লাহ এগুলোর মাধ্যমে গুনাহসমূহকে নিশ্চিহ্ন । (বুখারী ও মুসলিম)

হযরত ওসমান বিন আফফান (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ যে মুসলমানেরই ফরয নামাযের সময় হয়ে যায়, তারপর সে ভালোভাবে অযূ করে এবং খুশূ-খুজুর সাথে (নিবিষ্টচিত্তে) রুকু-সিজদা করে । তার জন্যে সে নামায পূর্বেকার গুনাহসমুহের জন্যে কাফফারা হয়ে যায়, অবশ্য সে যদি আর কবীরা গুনাহে লিপ্ত না হয় এবং এই ধারাই পরবর্তিতে অব্যাহত থাকে । (মুসলিম)

হযরত আবু মূসা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিই দুই ঠান্ডা সময়ের নামায (সঠিকভাবে) আদায় করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে ।

উল্লেখিত আল-বারদানে হচ্ছে ফরজ ও আসরের নামাজ ( বুখারী ও মুসলিম)

বিষয়: বিবিধ

১১৩৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File