আওয়ামী সরকার এখন মেডিয়া-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালের ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে। তাকে সেখানে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছে।
লিখেছেন লিখেছেন ইরমায়া ২৪ মার্চ, ২০১৩, ০৬:৪৯:০৬ সন্ধ্যা
ভুমিধস জয় (ভারতীয় বস্তা ভর্তি টাকায়) নিয়ে পাঁচ বছর আগে যে দলটি ক্ষমতায় এসেছিল সে দলটির আজকের অবস্থা খুবই সঙ্গীন।বিরোধীদল ও বিরোদ্ধমতকে দানবীয় ভাবে দমন করার পৈতৃক(বাকশালীয়) স্টাইলকে ও হার মানিয়েছে তারা। সাথে সাথে ইসলাম ও ইসলামের সাথে সম্পর্কিত সমস্থ দিক ও বিভাগকে সংকোচিত করা হয়েছে, বিকৃত করা হয়েছে। অন্যদিক ধর্মহীন নীতি নৈতিকতাহীন বাম রামদের সমস্ত অপকর্মের দায়মুক্তি দিয়ে নাস্তিকদের শহীদ কিংবা মহান বীর খেতাব দেওয়া হচ্ছে। নাস্তিকদের কর্মকান্ডে সংসদীয় নেত্রী সংসদে দাড়িয়ে হৃদয় ব্যাকুল করা ভাবাবেগে একত্মতা প্রকাশ করতে দ্বিধা করেননি। ধর্মপ্রাণ মানুষ তাই ঘৃনা ভরে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তাদের থেকে।
শেয়ার বাজার লুটেরা এ সরকার দেশের পুজিবাজার ধবংশ করে সমস্থ উন্নয়ন কর্মকান্ড পাঠিয়েছে চিতায়। ক্ষুদ্র ও মাঝারী পুজি বিনিয়োগ কারীদের কোন কষ্ট সরকারকে স্পর্ষ করেনি।
ডেসটিনির ফাদে পড়া আবেগী যুবকদের রাতারাতি বড় হওয়ার স্বপ্ন দু:স্বপ্ন করে দিয়ে সর্বশান্ত করে দিয়েছে সরকার।আজ তারা আদালত ও গ্রাহকদের শাখের করাতে গাছের মত ফালি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
পদ্মাসেতু পুরোটা গিলে খেয়েছে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের নিকটাত্মীয়রা। কুইকরেন্টাল বিদ্যুত কেন্দ্র গুলো আমাদের রক্ত চুষে ও বিদ্যুত দিতে পারছেনা। হলমার্ক এর নায়করা ব্যাংকপাড়া লুটেপুটে খেয়েছে সরকারী যোগ সাজসে।
পাঁচ বছরের শাসন পুরোটা জুড়ে কেবল প্রতিহিংসা চরিতার্থ হয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক, সেক্টর কমান্ডার সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়ার স্মৃতির বাড়ীটি থেকে তাঁর বিধবা স্ত্রীকে জোর করে বের করে দিয়েছে এক কাপড়ে। জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে জিয়াকে ঝাটিয়ে বের করে দিয়েছে।
ইসলামী আন্দোলনের গতি আদর্শিক ভাবে মোকাবেলা করার কোন নৈতিক ক্ষমতা না থাকার কারণে ট্রাইবুনাল নামক এক মেলোড্রামার জন্ম দিয়েছে। মারাত্বক ইসলাম বিদ্বেষী একটি চক্র কলাকুশিলব হয়ে ইসলামী ব্যাক্তিত্বদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে যে এ নাটক তা সাঈদী সাহেবের রায় এবং রায় পরবর্তি সাঈদী সাহেবকে জাবি ভিসি আনোয়ার, মুনতাসির মামুনের জঘন্য গালি ও মারতে যাওয়ার ঘটনা স্পষ্ট করে দিয়েছে। প্রমান করেছে সাঈদী সাহেবদের প্রতি তাদের প্রতিহিংসাটা কোন আদর্শের দ্বন্দ থেকে সেটি।
ফাসিঁর রায় ঘোষনার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়া সর্বদলীয় মানুষের উপর লীগ ও পুলিশের নির্বিচার গণহত্যায় দেশবাসী শোকে স্তব্দ হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক মেডিয়া আর গোষ্ঠি তাদেখে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছে। মানবাধিকার সংগঠন গুলো কড়া সমালোচনা করেছে। জাতিসংঘ পেরেশান হয়েছে। ভেংগে পড়েছে দেশের ন্যায়বোধ আর সাধারণ বিবেক। সামাজিক অস্থিরতার যে আগুনে আমার প্রিয়দেশ জ্বলছে তা দাবানল সৃষ্টি করেছে মহা আশংকার। ক্ষমতার অহমিকা মানুষকে যে দানবে রুপান্তরিত করে এই সরকার তার প্রকৃষ্ট প্রমান।
জনগন আজ আওয়ামী সরকারকে লালকার্ড দেখানোর জন্য জেগে আছে। অনলাইন সহ সাধারণ জনমত আজ ৮০ থেকে ৯০ ভাগ মানুষ তাদের বিরোদ্ধে চলে গেছে। চট্রগ্রামে শোচনীয় পরাজয়ের পরে আর কোন সিটি কর্পরেশন ভোট দিতে সাহস পাচ্ছেনা। উপ নির্বাচন সহ কোন নির্বাচনে আর আওয়ামী প্রার্থী জিততে পাছেনা। সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশন এর নির্বাচনে ভুমিধস হারা হেরেছে।
একটু একটু করে মরতে বসা এ সরকার তাই যাতা আকড়ে ধরে বাচার চেষ্টা করছে। নাস্তিক মুরতাদ ইসলাম বিদ্বেষী কতিপয় ব্লগার শাহবাগে আস্তানা গাড়ল। আহ... যেন প্রান আসল ধড়ে বলে প্রায় নি:শেষ হয়ে আসা আওয়ামী সমস্ত শক্তি নিয়ে সেখানে ঝাপিয়ে পড়ল। থাবাবাবা মরেই প্রমান করল কতটা ইসলাম বিদ্বেষী তারা ছিল। পালের গোদা হয়ে উঠল এইচ সরকার, রাজাকারের নাতি। তবু ও তাকে কাজে লাগাতে দ্বিধা নেই মুমূর্ষ সরকারের।
ফরিদ উদ্দিন মাসুদ, জি এম বির সদস্য, ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক তাকে ও কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হলো।উনি শোলাকিয়ার ইমাম হয়েও নৃত্যু রত ঢল ঢল বেপর্দা ছেলে-মেয়েদের মধ্যে শাহবাগে যেয়ে সংহতি প্রকাশ করলন। আহ্হারে বেচারা...বড় ঈমানী জোশ নিয়ে পাচ লক্ষ লোক দেখাবে সমাবেশে বলে যে পাচ কোটি টাকা নিয়েছেন সেটা হালাল করতে পাচ শতাধিক লোকের সমাগমকে তাকে মিথ্যে মিথ্যে লক্ষ লক্ষ বানাতে হলো।
আসলে ওদের আকাল শুরু হয়েছে ওদের ফিরাউনী দু:শাসনে। সেই আকাল তাদের মর্মান্তিক মূমুষ করে তুলেছে। তবু বাচিয়ে রাখার জন্য প্রানন্তকর চেষ্টা করছে ইন্ডিয়া (পরকীয়া প্রেমিক)। সাথে আছে আমাদের চরম একচোখা উচ্ছিষ্টভূগী মেডিয়া গুলো। এই মেডিয়া-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশীপ হসপিটালে এখন আওয়ামী-সরকারকে তারাই লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে।
বিষয়: বিবিধ
১৩০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন