রাজাকারে বিচার চাইলেই কি নাস্তিক হয়ে যাব??
লিখেছেন লিখেছেন বিদ্রোহী আত্মার আর্তচিৎকার ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১২:৪২:৩৯ রাত
বলতে গেলে এই মুহুর্তে দেশের মানুষ দুই চেতনায় বিভক্ত।
১। ইসলামী চেতনা
২। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
দুই চেতনার অবস্থান পরস্পর বিরোধী। না আদর্শিকভাবে বিরোধী নয়, মতামতের ভিত্তিতে আমরা দুই চেতনাকে একে অপরের বিরোধী করেছি। তবে এক্ষেত্রে নাস্তিকেরও হাত অবশ্যই আছে।
রাজাকার শব্দের অর্থ সহায়তাকারী, সে জন্য যুদ্ধাপরাধীর ক্ষেত্রে রাজাকার শব্দটি ব্যবহারের কোন যৌক্তিকতা আমি খুঁজে পায় না। যেমন সবাই বলে ৭১ এর রাজাকার মানে কি দাড়াল ৭১ এর সহায়তাকারী। যারা স্বভাবতই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবে। তবে ৭১ এর পাকিস্তানী রাজাকার বললে ঠিক আছে।
এইদিক থেকে রাজাকারের ফাঁসি চাইলে আপনি নাস্তিক নয় দেশদ্রোহী হবেন জানি টোটাল ফানি
আপনি যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাইলে নাস্তিক হবেন না। তবে শাহবাগীদের সাথে একাত্ব ঘোষণা করে যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাইলে পরোক্ষভাবে নাস্তিক হয়ে যাচ্ছেন। কেন?? জেনে নিন, জানার কোন বয়স নাই।
শাহবাগ আন্দোলনের উদ্যোক্তা ও নেতৃত্ব দিচ্ছে BOAN. যে সংগঠনের ৮৫% ভাগ হচ্ছে স্বঘোষিত নাস্তিক। বিভিন্ন ব্লগে যার প্রমাণ আছে, এমনকি তাদের ফেসবুক প্রোফাইলেও ধর্ম হিসেবে নাস্তিক দেওয়া আছে। ওদের নেতৃত্ব মেনে নেওয়া, ওদের নীতিমালা অনুযায়ী চলা ও ওদের দাবী মেনে নেওয়াটা কি ওদের সাথে এক হয়ে যাওয়া নয়??
এক্ষেত্রে আমরা মসজিদের ইমামের উদাহরন দেই - মসজিদের ইমাম যদি নাস্তিক হয় তাহলে জেনে শুনে তার পেছনে নামাজ পড়লে কি আপনিও কি নাস্তিকের অন্তর্ভুক্ত হবেন না??
ওদের নীতিমালা অনুযায়ী আযান ও নামাজের সময় নামাজ পড়ার বিরতি তো দূরে থাকুক সামান্য মাইকটা বন্ধ করেন নাই সে আপনি কতটুকু মুসলিম নিজেই বিচার করেন।
এক্ষেত্রে আপনার মুসলিম মায়ের উদাহরণ নিন - আযানের সময় আপনি উচ্চস্বরে গান শুনলে আপনার মুসলিম মা যতই কাজ থাকুক না কেন দৌড়ায় এসে আপনাকে গান বন্ধ করতে বলবে সাথে নামাজ পড়তেও যেতে বলবে।
কিন্তু মুসলিম মা বা একজন মুসলিম হিসেবে আপনারা আযানের সময় মাইক বন্ধ করে নামাজ বিরিতির কোন আওয়াজ না তুলে ওদের সাথে তাল মিলিয়ে স্লোগান দিয়েছেন।
নিজেই বিচার করুন ইমান কতটুকু বিদ্যমান আছে।
শেষ পর্যন্ত ইসলামী দল গুলো যখন আল্লাহ,ইসলাম, পবিত্র কোরান ও মহানবী (সাঃ) কে গালিগালাজ করার কারণে আন্দোলন শুরু করল তখন আপনারা বলতে শুরু করলেন জামায়াত-শিবিরের আন্দোলন। যে আন্দোলন আজ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে সে আন্দোলন আপনাদের কাছে হয়ে গেছে জঙ্গি আন্দোলন। আপনাদের কথা সুর ধরেই আমাকে বলতে হচ্ছে - "ইনোসেন্স অব মুসলিম" মুভিটিতে মহানবীকে ব্যঙ্গ করায় সারা বিশ্বে যে আন্দোলন হয়েছিল সেটাও জামায়াত-শিবিরের জঙ্গি আন্দোলন।
ইসলাম ও মহানবীকে কটুক্তি করায় আপনার যদি একটুও খারাপ না লাগে তাহলে আপনি টোটাল নাস্তিক। কোন যুক্তি তর্কের দরকার নাই।
যার ইমান আছে সে কোন ভাবে ইসলাম ও মহানবীর অপমান সহ্য করতে পারবে না সে যত বড় দেশপ্রেমিক বা মুক্তিযোদ্ধা হউক, যত বড় বাংলাদেশী হউক, যত বড় আওয়ামীলীগ হউক, যত বড় বিএনপি হউক।
আমার কথা বুঝলে ভালো, না বুঝলে আরো ভালো, তবে দয়া করে ভুল বুঝবেন না।
বিষয়: বিবিধ
১২৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন