ধর্ম যার যার উৎসবও তার তার !!
লিখেছেন লিখেছেন এ কিউ এম ইব্রাহীম ১৯ মার্চ, ২০১৭, ১২:১৪:৪৬ দুপুর
মানুষের স্বভাবজাত অভ্যাস হলো আনন্দদায়ক কিছু খোঁজা।
এই আনন্দ অনুসন্ধানী দলে তারুন্যের সংখ্যা একটু বেশী, এটা সত্য।
আমাদের তরুনরা জানে এটা তাদের নয়, তবুও ওরা যায়।
কারন, ওরা মনে করে এটা স্রেফ আনন্দ উৎসব ছাড়া আর কিছুই নয়!
দু/চারজন মুসলিম তরুন ছেলে যেখানে যায় বন্ধু-বান্ধবের চাপে।
গিয়ে সেখানে হয়ত হোলি খেলায় অংশগ্রহনও করে তারা।
কিন্তু অধিকাংশরাই যায় কেবল আনন্দ দেখতে!
কেউ কেউ আবার তামাশা দেখতে!!
আনন্দ দেখাও একপ্রকার আনন্দ!
এরা থাকে শুধু নিরব দর্শকের ভূমিকায়,
অন্যের মজা দেখে নিজেরাও মজা পায়!
সত্যিই, যেমন বই মেলা। বই মেলা একটি মোক্ষম উদাহরন হতে পারে!
বইমেলায় কত দর্শকইতো যায়! কিন্তু বই কেনে কয়জনে?
বই মেলায় ঘুরতে গিয়ে খেয়েদেয়ে প্রায় একহাজার টাকা উড়িয়ে এসেছে,
অথচ একশো টাকার বইও কিনেনি এমন অগনিত দর্শক রয়েছে।
আমার মতে হোলি খেলাও তেমন একটি মেলা!
বই মেলায় গেলে যেমন কেউ কাউকে জোর করে বই ধরিয়ে দেয়না।
তেমনি হোলি দেখতে গেলেও কাউকে জোরপূর্বক ইনভলভড করানো মোটেই নৈতিক কাজ হয়না! এটা অবশ্যই অন্যায়।
এবার আসি আমাদের ব্যর্থতা কোথায়, সে প্রসঙ্গে।
আমরা জায়েজ না জায়েজের দোহাই দিয়ে বহু পিছিয়ে আছি।
আমাদের ইসলাম আছে কেবল মসজিদে!!
নাজায়েজ বলে বলে আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গন অন্যদের ছেড়ে দিয়েছি।
যারা কতিপয় সংখ্যালঘু!! রাজত্ব করে যাচ্ছে আমাদেরই নাকের ডগায়!!
আমাদের কতিপয় আলেম এখনো দ্বীধা-দ্বন্ধে আছে পেপার পড়া যায়েজ কিনা সেটা নিয়ে!
ভীনদেশীয় কালচার কেন স্বদেশে স্থান পায়?
এর মূল কারন হলো আমাদের অসচেতনতা।
অামরাও ব্যর্থ্য হয়েছি আমাদের সন্তানদেরকে এবিষয়ে সচেতন করতে।
আমরা না পেরেছি সংশয়মুক্ত কোন সংস্কৃতি তাদের হাতে তুলে দিতে।
না পেরেছি তাদেরকে অপসংস্কৃতির কুফল বুঝাতে।
ধর্ম যার যার উৎসব সবার!! এসব কথা কেবল ভন্ড-মূর্খ্যদের মুখেই মানায়!
ধর্ম যার যার হওয়ার জন্য উৎসব সবার হওয়ার কোন প্রয়োজন এদেশে কখনো ছিলনা, এখনো নেই, এমনকি ভবিষ্যতেও হবেনা।
এখানে হাজার বছর ধরে হিন্দু-মুসলিম মৈত্রী ছিল, আছে এবং থাকবে।
তাই বলে “লাকুম দ্বী-নুকুম ওয়ালইয়া দ্বীন” এই আয়াতটিকে অস্বীকার করার বিন্দুমাত্র অধিকার কোন মুসলমান সন্তানের নেই।
ধর্ম যার যার উৎসবও তার তার হলেই ভালো হবে,
কোন কনফ্লিক্ট তৈরী হবেনা।
বিষয়: বিবিধ
৯৫০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এটা কি ধরনের ধর্মীয় উৎসব যা বেলেল্লাপনার সুযোগ করে দেয় ?
আমরা মুসলমানেরা কি একটা বারের জন্যও মনে করব না যে এটা বিধর্মীদের আনুষ্ঠান এবং এটা অশ্লীল ও নোংরা কাজ ?
এসব কাজে অনেক নামধারী মুসলমান নাকি বেশরিয়তী কিছু পান না !!
যেখানে ইব্রাহীম (আঃ) এসব শিরকীয় কাজ নিজ হাতে প্রতিরোধ করেছেন বিরুদ্ধ পরিবেশে থেকেও সেখানে আমরা তার উত্তর সূরীরা দূর্বলতম ঈমান পর্যন্ত না দেখিয়ে বরং এটাতে অংশগ্রহনকে ধর্মীয় সম্প্রীতি হিসেবে দেখি !! এমনও বলতে শোনা যায় যে - এসব করেও সে তার ঈমান সাচ্চা রাখছে !!
ধর্ম যার যার উৎসব সবার - এই স্লগান দেয় যে সেক্যুলাররা তারা কিন্তু হিন্দুদেরকে বলে না যে ''মুসলমানদের অন্যতম উৎসব কুরবানী তোমাদেরও উৎসব । তোমরাও যাও মুসলমানদের সাথে গরুর গোস্ত খাওয়া উপভোগ কর ''
মন্তব্য করতে লগইন করুন