একজন নাস্তিককে ঘৃনা নয় বরং দোয়া করা উচিৎ।

লিখেছেন লিখেছেন এ কিউ এম ইব্রাহীম ২১ নভেম্বর, ২০১৪, ০৫:০১:২৯ বিকাল



একটি শিশুর হাতে প্লাস্টিকের তৈরী কোন খেলনা তুলে দিলে যেভাবে ব্যবহার করবে স্বর্নের তৈরী কোন খেলনা তুলে দিলেও একইভাবে ব্যবহার করবে সে। অবুঝ শিশু স্বর্নের তৈরী খেলনাটার গুরুত্ব বুঝবেনা কারন তার সে জ্ঞান নেই। সুস্থ সবল শিশু হয়েও স্বর্নের সঙ্গে প্লাস্টিকের তফাৎ না বুঝার কারনে দামী স্বর্নকে সে হেলা করবে। আবার স্বর্নের মূল্য বুঝার মত জ্ঞান যার রয়েছে সেকি স্বর্নের তৈরী খেলনাটাকে প্লাসিকের খেলনার মত যততত্র ফেলে রাখবে? না, সে তখন স্বর্নের তৈরী খেলনাটাকে খেলনা হিসেবেই ব্যবহার করবেনা, বরং ওটাকে সে যত্ন করে আলমারীতে তালাবদ্ধ করে রাখবে। এটা হচ্ছে জ্ঞানের তফাৎ।

সুস্থ সবল একজন বয়স্ক মানুষের ধর্ম সম্পর্কে কোন ধ্যান-ধারনা না থাকলে কিংবা থাকলেও যদি সেটা বিভ্রান্তিকর হয় তবে ধর্মীয় ব্যাপারে তাকে শিশু বলা চলে। এখন এই শিশুটি কিভাবে আল্লাহর নাম সম্মানের সহিত উচ্চারন করা বুঝবে?

আমরা মুসলমানরাই কতজন আল্লাহর পবিত্র নামটি শ্রদ্ধাভরে স্মরন করার স্বামর্থ অর্জন করেছি?

সাধারনত কেউ সজ্ঞানে কালিমা শাহাদাত “আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসুলুহ”পাঠ করলে তাকে আমরা মুসলিম বলি। তবে এটাকে ইসলামে প্রবেশ করার প্রথম স্টেপ কিংবা ক্লাস ওয়ানের এ্যডমিশন হিসেবে বলা যায়। এরপর ভাল মুসলমান হওয়ার জন্য তাকে ব্যাপক জানতে হয় এবং সে অনুসারে মানতেও হয়। জানার মধ্যে রয়েছে যেমন অর্থসহ কুরআন অধ্যায়ন, হাদীস অধ্যায়ন এবং ফিকহ শাস্ত্র ইত্যাদি। এছাড়া ইসলামের ইতিহাস জানাও অপরিহার্য।

আমরা মনে করি, কেবল মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করলেই যে কেউ মুসলিম হয়ে গেল। আসলে এটা ভূল ধারনা।

মুসলিম নাম হলেই কিংবা বাবা-মা মুসলিম হলেই যে কেউ মুসলিম হয়ে গেল এবং তার জন্য বেহেস্তের নাজ-নিয়ামত প্রস্তুত এমনটি ভাবা বোকামী।

তবে এটা সত্য, কেউ যদি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করে এটা তার জন্য মহাসৌভাগ্যের ব্যাপার। জন্মের পরেই সে এক এবং অদ্বিতীয় আল্লাহ সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানতে এবং বুঝতে পারে। মুখে কথা ফুটলেই কালেমা শাহাদাত পাঠ করার চেষ্টা করে। অর্থাৎ পারিবারীকভাবে ইসলামে দাখিল হওয়ার সুযোগ পায় বলে মুসলিম দাবী করা যায়। কিন্তু কেবল কালিমা পাঠ করেই দায়িত্ব শেষ মনে করা চরম বোকামী।

আমরা যারা মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেছি তাদের আল্লাহর কাছে হাজার শোকরীয়া আদায় করা উচিৎ।

যারা ভীনধর্মী কিংবা নাস্তিক তাদের বিষয়টা বুঝা উচিৎ। তারা আমাদের মতো পারিবারীকভাবে ইসলামী শিক্ষা পায়নি বলে আজ কেউ নাস্তিক। আমাদের উচিৎ তাদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করা। যেহেতু আমরা বিশ্বাস করি, সর্বশক্তিমান এক আল্লাহকে বাদ দিয়ে যারা দুনিয়ায় মত্ত আছে কিংবা অন্য কিছুর উপাসনা করে তাদের জন্য জাহান্নামের অাগুন প্রস্তুত। আমরা জান্নাতে যেতে চাই কিন্তু আমাদের কোন হিন্দু কিংবা নাস্তিক বন্ধু জাহান্নামে যাবে এটা কি আমরা কামনা করতে পারি? কখনোই নয়। আমরা যুক্তি দিয়ে তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করবো।

অনেকের প্রশ্ন, পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে বহু বছর আগে কিন্তু ইসলাম ধর্ম এতো পরে আসলো কেন? আসলে এটা ভূল ধারনা। ইসলাম আগেও ছিল এখনো আছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে। মানব সৃষ্টির শুরু থেকেই মহামনীবের প্রতি অনুগত কিছু লোক ছিল যারা মুসলিম। আল্লাহর বিধি-নিষেধ তারা মানত। আবার কিছু লোক শয়তানের অন্তর্ভূক্ত হয়ে এক অাল্লাহর অবাধ্য হয়ে মূর্তিপূজায় মনোনিবেশ করেছিল।

মুসা অাঃ এর উত্তরসূরীদের মধ্যে যারা বাইবেলের ভবিষ্যদ্বানী মেনে নিয়েছিল তারা পরবর্তীতে শেষ নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) কে নবী বলে মেনে নিয়েছে। তারা হযরত ঈশা আঃ কে নবী বলেই মেনেছেন এবং কখনোই আল্লাহর সঙ্গে হঠকারী করে ঈশা আঃ কে আল্লাহর পুত্র হিসেবে অখ্যায়িত করেনি। বর্তমানেও বহু খৃষ্টান কুরআন পাঠ করার পর ইসলাম ধর্ম গ্রহন করছে।

বিজ্ঞানের সাথে বাইবেলের বিভিন্ন অসঙ্গতির কারনে বেশিরভাগ খৃষ্ট্রানরা ধর্ম সম্পর্কে উদাসীন হয়ে পরে নিজকে নাস্তিক হিসেবে পরিচয় দেয়। হিন্দুদেরও একই অবস্থা। তাদের ধর্ম গ্রন্থও যুক্তি এবং বিজ্ঞানের সাথে সঙ্গতীপূর্ণ নয় বলে অনেকে নিজকে নাস্তিক বলে পরিচয় দেয়।

আমি সর্বশেষে একটি কথাই বলবো সেটা হলো চ্যালেঞ্জ। আপনি কি সত্যিই সর্বশক্তিমান এক আল্লাহর সত্য ধর্মের সন্ধান পেতে চান? আপনি কুরআনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন। গবেষনা করুন আর পারলে খুঁজে বের করুন এর যে কোন একটি মাত্র ত্রুটি।

সমগ্র বিশ্বের সকল বিজ্ঞানী এক হয়েও পবিত্র কুরআনের বিন্দুমাত্র ভূল প্রমাণ করতে পারেনি এমনকি ভবিষ্যতেও পারবেনা।

বিষয়: বিবিধ

১৪৫৬ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

286539
২১ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:২৭
আফরা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ ! অনেক সুন্দর লেখা ভাল লাগল ।
286550
২১ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৮
এ কিউ এম ইব্রাহীম লিখেছেন : আপনিতো ফার্ষ্ট হয়ে গেলেন...অভিনন্দনস..!
আপনাকেও জাজাকাল্লাহ!
286564
২১ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২০
হতভাগা লিখেছেন : ''এদেরকে আপনি নসিহত করেন আর নাই করেন - এরা কখনও ঈমান আনবে না । আর আল্লাহ যাদেরকে মোহর মেরে দিয়েছেন কখনও তাদেরকে আপনি সঠিক পথে আনতে পারবেন না ।''

এ রকম কথা আল্লাহ তায়াল পবিত্র ক্বুরআনে বেশ কয়েক বার বলেছেন ।
২২ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
230253
এ কিউ এম ইব্রাহীম লিখেছেন : হেদায়াত একমাত্র আল্লাহর হাতে এটা কুরআনে বর্নিত আছে। তা নাহলে মুসলমানের ঘরে জন্মেও কেউ নাস্তিক হতনা কিংবা হিন্দু বা খৃষ্টান হয়ে জন্মগ্রহন করেও পরে ইসলাম ধর্মে ফিরে যাওয়ার ঘটনা ঘটতনা। আপনাকেও ধন্যবাদ
286570
২১ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:০২

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : অন্য সবাই ভাল আছে, কেউই মুস্লিমদের দোয়ার কাঙ্গাল না। চীন-জাপানের মত যোগ্যতা আর্জন করে তারপর অন্যকে লেকচার দিন। নিজেরা মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেন। নামাজ-কালাম আর জান্নাতের ৭২ বেশ্যার লোভ দেখিয়ে এই সভ্য যুগে ইসলাম বিক্রি হবে না। ধন্যবাদ।


২১ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:২৬
230116
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন : @মুক্তিযুদ্ধের কন্যা ওরফে মালু কইন্যা। তুমি মালুর জায়গায় মুক্তযুদ্ধ নাম লাগাইচ কিল্লা?
২২ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:০০
230255
এ কিউ এম ইব্রাহীম লিখেছেন : ধরনীতে একশ্বেরবাদী মানুষ আছে এবং থাকবেই। আল্লাহর ইসলাম আল্লাহই কাউকে না কাউকে দিয়ে টিকিয়ে রাখবেন। আর তাঁর অনুগত বান্দারাও তাঁরই গোলামী করে যাবে শুধু, অন্য কোন দেবদেবীর নয়।
একশ্বেরবাদী এই মানুষগুলো আছে বলেই পৃথিবীর সকল প্রানীর রিজিক নাজিল হয়।
নাস্তিকরা খাদ্য পায় একমাত্র আস্তীকদের উছিলায়। জগত জুড়ে যতকোটি মানুষ রয়েছে সবাই না খেয়ে মরত যদি আল্লাহকে কেউ না ডাকত। ধন্যবাদ
২২ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৫৪
230259

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : ইহুদী-নাসারা-নাস্তিক আমেরিকা, চীন, জাপান.......এর দান ক্ষয়রাত, রিলিফ খেয়ে আপনার মত আল্লাপূজারী বাংলাদেশী মুমিনরা বেঁচে আছে।
২২ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:২১
230262
এ কিউ এম ইব্রাহীম লিখেছেন : আপনাকে বুঝতে হবে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক না হলে তারাও চলেনা। বাংলাদেশে থেকেও মাছ-তরকারী ইউরোপে রপ্তানী হয়। মুসলিম প্রধান দেশের তৈল আর স্বর্ন দিয়ে সারা দুনিয়া চলে। কেউ কাউকে খয়রাত দেয়না। ওটার বিনিময়ে তারা অন্য দিক দিয়ে নেয়।
২২ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪০
230267
ছালসাবিল লিখেছেন : আপু, আপনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলাম, কৈ গ্রহন করলেন কি না তা তো জানান দিলেন না Love Struck
286802
২২ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪১
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়া, এই জন্যই আমি মুক্তিযোদ্ধা আপুকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছি। Love Struck Day Dreaming
২৩ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:২৭
230592
এ কিউ এম ইব্রাহীম লিখেছেন : প্রস্তাব কিভাবে নেবে?উনি যে নাস্তিক!
নাস্কিকরা তো বিয়েতে বিশ্বাসী না।
বিয়েতে বিশ্বাস করলেতো ধর্মকে মেনে নেওয়া হল, তখন তার নাস্তিকতা মিথ্যা হয়ে যাবে যে...। বিয়ের বিধান এসেছে ধর্ম থেকে।
আসল কথা হল নাস্তিকরা সমাজে ধর্মীয় সকল সুযোগ সুবিধাই গ্রহন করে কিন্তু নিজকে পরিচয় দেয় নাস্তিক হিসেবে। ধর্ম যদি উনি না ই মানতেন তবে পোষাক না পড়ে বনে চলে যেতেন। কারন পশুর সঙ্গে মানুষের তফাৎ আছে এটার ধারনা কে দিল?
ধর্মই দিয়েছে। ধন্যবাদ
২৩ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩৬
230604
ছালসাবিল লিখেছেন : Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File