মানুষ সৃষ্টির রহস্য !
লিখেছেন লিখেছেন এ কিউ এম ইব্রাহীম ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৮:২৩:৩৭ রাত
“যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন- কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ঠ?” (সুরা-মুলক)
পবিত্র কুরআনের উপরোক্ত এই একটি মাত্র অায়াত বিশ্লেষন করলেই মানষ সৃষ্টির রহস্য সম্পর্কে ব্যাপক ধারনা লাভ করা সম্ভব।
তবে প্রশ্ন জাগে মনে, মানুষতো সৃষ্টিগতভাবেই সর্বশ্রেষ্ঠ জাতী তবে কেন কর্মেও শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ রাখতে হবে তাকে?
আসলেই মূল রহস্য এখানেই।
ফেরেশতাগণ সর্বাবস্থায় আল্লাহর গুনগানে মশগুল থাকে।
তাদের রিপুর চাহিদা নেই এমনকি তাদের মধ্যে লোভ লালসাও নেই। আল্লাহর বাধ্যতা থেকে বিন্দুমাত্র পদচ্যুত হওয়ার সুযোগ পায়না তারা ।
একসময় মনিবের ইচ্ছা হলো এমন এক জাতী তৈরী করবে
যাদের ক্ষুধা, অভাব, লোভ, রিপুর চাহিদা ইত্যাদি সবই থাকবে।
কিন্তু এর মধ্য দিয়েই কারা কারা স্বীয় প্রভূকে স্মরন করে,
প্রভূর বিধি-বিধান মেনে চলতে বাধ্য হয় তা তিনি পরীক্ষা করে দেখবেন।
যেহেতু মানুষ কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন এবং ভাল কর্মের মাধ্যমে ফেরেশতাদের চেয়েও শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ তাকে দিতে হবে তাই আল্লাহ মানুষকে অগ্রিম শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষনা দিলেন, মানুষকে সম্মান করলেন।
আবার এও বলে দিলেন এই শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ তাকে উত্তম কাজ দিয়ে করতে হবে নয়তো তাকেই হতে হবে “বাল হুম আদাল” অর্থাৎ পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট।
এই একটি মাত্র পরীক্ষার জন্যই মানব জাতীর সৃষ্টি এবং ক্ষুদ্র এই পৃথিবী গ্রহের সৃষ্টি।
স্বীয় মনিবের ভীরুতা অর্জন করলে না পারলে যে কারো দ্বারা যে কোন সময় এমন কাজ করা হয়ে যেতে পারে যা পশুপাখীও করতে ভয় পায়।
এজন্য অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ ।
কয়েকদিনের দুনিয়াবী জশ-খ্যাতীর জন্য অথবা আরাম আয়েশের জন্য অন্যায় করা কিংবা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারেনা।
যারা সত্যিকার জ্ঞানী তারা কয়েকদিনের সুখের পেছনে ছোটেনা বরং মৃত্যুর পর যে অনন্তকাল অপেক্ষমান তার সন্ধানে তারা সময় ব্যায় করে।
যদি মহাসত্যই হয়ে যায় কবরের আজাব, সত্যিই যদি কেয়ামতের ময়দানে হাজীর হতে হয় তখন কি হবে?
বিষয়: বিবিধ
১১৪৭ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে ধন্যবাদ।
যখন কোরান হাদীস পড়ি তখন মনটা খুব নরম হয় ।কিন্ত আবার একটু পড়েই দুনিয়াদারীতে মত্ত হয়ে যাই কেন !!
অনেক ধন্যবাদ ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন