নামাজের গুরুত্ব!

লিখেছেন লিখেছেন এ কিউ এম ইব্রাহীম ০২ জুলাই, ২০১৪, ১২:৪৭:১১ দুপুর

সর্বশক্তিমান এক এবং অদ্বিতীয় আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের পর একজন মুমিনের উপর কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ন্যস্ত হয়। যে সকল মৌলিক দর্শনের উপর ভিত্তি করে কোন লোক জীবনের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহকে একমাত্র রব হিসেবে মেনে নেয়, সে সকল ভিত্তি সমূহকে দৃড় ও সমুন্নত রাখার উদ্দেশ্যেই মূলত ইসলামের অন্যন্য সকল ইবাদাত।

মানব জাতীর চিরশক্র ইবলিশ শয়তান মুমিন বান্দাকে ধোকা দেওয়ার জন্য সর্বাবস্থায় ওৎ পেতে থাকে। মুমিন বান্দার মনে এক আল্লাহর ব্যাপারে সন্দেহ সৃষ্টি কিংবা কোন প্রকার শিরকী ধ্যান-ধারনা বদ্ধমূল করাই তার মূল উদ্দেশ্য। ইবলিশ শয়তান মানব জাতীকে দলে দলে জাহান্নামে নেওয়ার যে চ্যালেঞ্জ করেছিল সে অনুসারে সে তার কর্মসূচী সফলভাবে বাস্তবায়ন করে চলেছে কিন্তু আমরা মানবজাতী সে ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে উদাসীন! মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে মানব জাতীকে বহুবার সতর্ক করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর হাদীসেও এ ব্যাপারে বিশদ বর্ণনা আছে।

একজন মুমিন যখন মৌলিক ইবাদত থেকে দূরে থাকে তখন শয়তান তাকে সহজেই বশ করতে পারে। শয়তান যখন কাউকে বশ করে ফেলে তখন সে ব্যক্তি যে কোন সময় যে কোন পাপ কর্মে লিপ্ত হতে পারে, কারন পাপ কর্ম থেকে বিরত থাকার ঈমানী শক্তি সে হারিয়ে ফেলে। দিনে দিনে তার মনে এক আল্ল­াহ সম্পর্কেও সন্দেহের দানা বাঁধতে পারে। তার মনে সন্দেহ হতে পারে পবিত্র কুরআন-হাদীছ, পরকাল কিংবা জান্নাত-জাহান্নামের ব্যাপারেও।

ঈমানের সহিত জীবন-যাপন এবং সর্বাবস্থায় ঈমানের সহিত মৃত্যুর প্রস্তুতি গ্রহন করা একজন বুদ্ধিমান মুমিনের জীবনের প্রধান লক্ষ্য হওয়া বাঞ্ছনীয়। সে উদ্দেশ্যে সকল পাপ থেকে বেঁচে থাকার জন্য আল্লাহর কাছে তাওবাহ করতে হবে এবং আল্লাহ নির্দেশিত বিধি-নিষেধ সমূহ পরিপূর্ণভাবে পালন করার দৃড় সংকল্প গ্রহন করতে হবে। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু। আজ নয় কাল করে সময় ক্ষেপন করার কোন সুযোগ নেই, কারন মৃত্যু কখন আগমন করবে তার আগাম খবর কেউ জানে না।

যে মহান মহিয়ানকে আমরা আমাদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে একমাত্র রব হিসেবে মেনে নিয়েছি তাঁর প্রেরিত হেদায়াতের মহাগ্রন্থ আল-কুরআন জীবনে কেউ একবারের জন্যও পড়ে দেখিনি এমন অনেকেই আছেন। অথচ এই কুরআনই সমগ্র মানবজাতীর একমাত্র মুক্তির সনদ। আর অন্যান্য ধর্মের ন্যায় ইসলাম নিছক কোন ধর্মই নয় কেবল, বরং ইহা পরিপূর্ণ এক জীবন ব্যবস্থা যার সম্পর্কে ব্যাপক জানার জন্য পূরো কুরআন অর্থসহ বুঝে জীবনে অন্তত একবারও পাঠ করা অতিআবশ্যক।

কোন এক লোক কাউকে জিজ্ঞেস করলো নামাজ না পড়লে কি শাস্তী? এখন প্রতিউত্তরে যদি প্রশ্নকর্তাকে কেবল নামাজ না পড়ার শাস্তী সম্পর্কে বলা হয় প্রশ্নকর্তা হতাশ হতে পারেন এই ভেবে যে, তার জন্য তো জাহান্নামের আগুন নিশ্চিতভাবে প্রস্তুত, তাই যেমনি আছি এমনি চলুক মরলে যা হবার হোক! অথচ উত্তরটিকে এভাবে দেওয়া যায়, পেছনের দিনে যা করেছেন আল্লাহর কাছে এখুনি তওবা করুন আর বলুন, হে আল্লাহ জীবনে আর নামাজ ছেড়ে দেব না।

সামনের দিনগুলিতে নামাজ সঠিকভাবে আদায় করুন আর অনুমান করে পেছনের ক্বাযাগুলো আদায় করুন। আল্লাহ তওবাহ কবুলকারী, ক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু

এবার কিছু সুন্দর গান শুনুন।




http://www.youtube.com/watch?v=kuaELIbrHd8

আরো আসছে..।

বিষয়: বিবিধ

১১৯২ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

240874
০২ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:২৬
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ খুব ভালো লাগলো
240892
০২ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০২:৩৫
এ কিউ এম ইব্রাহীম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ Rose Rose Rose Rose Rose
240917
০২ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৩
আফরা লিখেছেন : হাসরের ময়দানে সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নেয়া হবে যে নামাজের হিসাবে পার পাবে তার অন্য হিসাব সহজকরা হবে ।

নামাজ বেহেস্তের চাবি ।
240922
০২ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৯
এ কিউ এম ইব্রাহীম লিখেছেন : নামাজ বেহেস্তের চাবি ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
Rose Rose Rose Rose Rose Rose
241072
০২ জুলাই ২০১৪ রাত ০৯:৪১
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আল্লাহ আমাদেরকে নামাজি হওয়ার তাওফিক দান করুন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File