ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ।
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ১৬ মে, ২০১৭, ০৯:০৬:২৬ রাত
আজ ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। বিদেশী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের পূর্ব পুরুষরাও ছিলেন তীব্র প্রতিবাদী। ভারতের ফারাক্কা বাঁধ বা পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও ছিলেন শক্ত অবস্থানে। ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে আজ থেকে ৩৬ বছর আগের এই দিনে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ‘মরণ ফাঁদ ফারাক্কা বাঁধ’ অভিমুখে হাজার হাজার মানুষের লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়।
৩৬ বছর পূর্বের লংমার্চ আজ নতুন করে আবার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে দলমত নির্বিশেষে দেশ রক্ষার জন্য আন্দোলনে না নামলে ৩৬ বছর কেন ৩৬ হাজার বছর চলে গেলেও ভারতের পাননি আগ্রাসন থেকে বাঁচা যাবে না।
টিপাই মুখে বাঁধ হলে সিলেট সহ বাংলাদেশের অনেক জেলা পানির জন্য হাহাকার করতে হবে । আবার সেই বাঁধ যদি নির্মান হয় আর কোনো দিন ফাটল ধরে তখন সিলেট সহ আশেপাশের অনেক জেলা পানিতে তলিয়ে যাবে।
ভারত শুধু ফারাক্কা বাঁধই নয়, বাংলাদেশমুখী অর্ধশতাধিক নদীর পানি সরাসরি প্রত্যাহার করে চলেছে। এসব নদী এবং এর উপনদীগুলোর ওপর ভারত ৩ হাজার ৬ শ’টি বাঁধ বেঁধে ফেলেছে এবং আরো ১ হাজার বাঁধের নির্মাণ কাজ চলছে। মিডিয়া মাধ্যম জানা যায় পদ্মা-যমুনা তথা গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বেসিনে ভারত অর্ধশতাধিক মূল সেচ ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো নির্মাণ করছে তার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের শত শত নদী ও খালবিল পর্যায়ক্রমে পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। এর প্রতিক্রিয়ায় এমনকি মেঘনা ও তার শাখাগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এর ফলে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের কিছু এলাকা ছাড়া বাকি বৃহত্তর রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা ও সিলেট অঞ্চলের প্রায় ৩০টি জেলার ৭০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার প্রায় ৭ কোটি অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক লোকই সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। লাখ লাখ হেক্টর কৃষি জমি হারাতে বসেছে আবাদের যোগ্যতা।
গত মাসের শুরুতে ভারতের পাহার ঢলের সঙ্গে পানির সাথে নেমে আসা ইউরেনিয়ামে আমাদের হাওর অঞ্চলের পানি বিষাক্ত করে তুলে। যার ফলে হাওরের সকল ধান, মাছ, গবাদিপশু মারা যায়। যদিও পরবর্তিতে বাংলাদেশ সরকারের নিযুক্ত প্রযুক্তিবিদরা বলেছেন পানিতে ইউরেনিয়াম ছিলনা। ইউরেনিয়াম না থাকলে বিশুদ্ধ পানিতে ধান, মাছ গবাদিপশু কি কেন মারা যায়?
ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিদেশী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো আমাদের ঐতিহ্য । মাওলানা ভাসানী পেরেছেন বর্তমানের ভাসানিরা ও পারবে।" আমার দেশ " পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান চেষ্টা করেছিলেন জাতিকে ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে জাগ্রত করার । কিন্তু আফসোস মাহমুদুর রাহমান একাধিক মামলায় বারবার কারাবরণ করতে হচ্ছে। ভাসানীর ছায়া মাহমুদুর রহমান এখনকে খুব প্রয়োজন। মাহমুদুর রহমানের নেতৃত্বে আবার ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১২৭৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এটা বাংলাদেশের নিয়তি । কিছুই করার নাই।
কার কাছে , কোথায় নালিশ দেবে ? সব জায়গাতেই ভারতের লোক বসে আছে না হয় ভারতের সাথে তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ।
যদি ভারত দেশটি খন্ড বিখন্ড হয়ে যায় তাহলে সম্ভাবনা আছে ।
পানিই হচ্ছে ভারতের প্রধান হাতিয়ার,মূল্য়বান লেখা। পিলাচ পিলাচ পিলাচ
ধন্যবাদ আপনাকে
মন্তব্য করতে লগইন করুন