গালাগাল করা উচিৎ নয়।
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ১৮ এপ্রিল, ২০১৭, ০৬:২৭:২৬ সন্ধ্যা
তরমুজ, পটল, আর কিল্লিরা সিটি বাসে করে পার্টি অফিসে আসা যাওয়া করতেন। অফিস বলতে প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা। তিনজননেই পাঞ্জাবী গায়ে দিয়ে আসতেন তারমধ্যে একজনের পেন্ট প্রায়ই নিচে নেমে যেতো আর উনি টেনে ধরে রাখতেন । উনারা মনে করতেন এক টাকা বাঁচাতে পারলে দেশের জন্য ভালো।
একবার বাংলাদেশের সকল রাজনীতিবিদের জন্য খাবারের আয়োজন করে কূটনৈতিক পাড়ার বাসিন্দা ইউরোপের কোন এক রাষ্ট্রদূত। তরমুজ, পটল, কিল্লি তিনজনেই আমন্ত্রণ পেলেন এবং উপস্থিত হয়ে আমন্ত্রণ রক্ষা করলেন। খাবার শেষে বাসায় ফেরার সময় তিন জনের মধ্যে একজন একটি কলা পকেটে নিয়ে নিলেন। উনি কিন্তু চুরির উদ্দেশ্যে কলা নেন নাই অপচয় হবে এই ভেবে নিয়েছেন। নিজ নিজ পয়েন্টের সিটি বাসে উঠলেন। কলা নিয়ে আসা ব্যক্তিটি কলাতে শক্ত করে ধরলেন। যখন উনার গন্তব্যে বাস থামে তখন পাশে থেকে একজন বলে উঠলেন ভাই এখন অন্তত ছাড়েন।
এই হচ্ছে উনাদের ইতিহাস। সারা জীবন অন্যের কলা ধরেই জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। এমনকি নির্বাচনে নিজেদের প্রতীকে ১০০ ভোট পানেন না বুঝে প্রভাবশালী দলের প্রতীকে নির্বাচন করে এমপি হয়েছেন শুধু এমপি নয় অনেকে আবার দয়ায় মন্ত্রী হয়েছেন। এমপি মন্ত্রী হয়ে লাগামহীন কথাবার্তা বলেই চলছেন। নিজেদের আদর্শ ভুলে দুর্নীতিতে মন দিয়ে মাল কামাচ্ছেন।
গতকাল তিন জনের একজন দেশের আলেম উলামাদের কুত্তার বাচ্চা বলে গালাগাল করেছেন। উনি গালাগাল করলেও আমরা উনাকে গালাগাল করতে পারিনা। তবে ঘৃণা করা শিখতে পারি। ঘৃণার পরিধি বৃদ্ধি করতে পারি। আর বলতে পারি, সময়ের পক্ষপাতিত্বে আজ বাংলাদেশের হৃদয়ের স্পন্দন দেশের আলেমদের গালি দিতে পারলেন। অন্যের কলা ছাড়লে পরে কি উপায় হয় তা একবার চিন্তা করবেন।
দোয়া করি আল্লাহ আপনাদের হেদায়াত দান করুন। আমীন।।
বিষয়: বিবিধ
১৫০৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন