শিশুর নামের জন্য মাতা-পিতাকে জবাবদিহি করতে হবে।
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ০৯ জানুয়ারি, ২০১৭, ০৫:২৩:৩৩ বিকাল
আজকাল শিশুদের আজগুবি কিছু নাম দেখে শুধু যে অবাক হই তা নয় বরং শিশুর মা বাবার কাণ্ডজ্ঞানহীন নাম বাছাই দেখে আফসোস করি। একজন মুসলমানের সন্তানের নাম রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ইসলামের বিধান মানা বাধ্যতামূলক। একটি নবজাতক শিশুর কানের কাছে আজান দিলেন আর নাম রাখলেন টিটু তা একদম উচিৎ নয়। আজান দিয়ে মুসলমান হিসেবে গ্রহণ করার পাশাপাশি একটি সুন্দর ইসলামিক নাম রেখে মুসলমানের সন্তান হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া মাতা- পিতার ধর্মীয় দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালন করে নবজাতক শিশুর প্রথম হক আদায় করা হয়।
রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “পিতা-মাতার ওপর সন্তানের অন্যতম অধিকার হচ্ছে তাকে উত্তম শিক্ষা দেয়া এবং সুন্দর একটি নাম রাখা।” (বায়হাকী শরিফ) শিশুর জন্মের পরে সুন্দর নাম রাখা এবং ধর্ম, সমাজ এবং জীবন ব্যবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। আর এটা মাতা-পিতার ওপর অন্যতম ফরজ। এই কর্তব্য পালন না করলে গুনাহগার হতে হবে এবং আখেরাতে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। সুতরাং মাতা-পিতার উচিৎ হবে সন্তানের প্রথম হক সঠিক ভাবে আদায় করা।
সন্তানের সঠিক শিক্ষার বিষয়ে হযরত মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “দোলনা থেকে শিক্ষা শুরু কর '। অথচ বর্তমানে নান্টু আর বল্টু নাম রেখে দোলনা থেকে শিশুকে অসুন্দর নামের সাথে পরিচয়ের মাধ্যমে কুশিক্ষা দেওয়া হচ্ছে । অসুন্দর নাম রাখার মাধ্যমে শিশুর প্রতি মাতা-পিতার হক আদায় হচ্ছেনা শিশুকাল থেকেই আনন্দপূর্ণ পরিবেশে শিক্ষার ব্যবস্থা করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
ইসলাম হচ্ছে সুন্দর এবং সঠিক একটি পূর্ণাঙ্গ জীবিন ব্যবস্থা। সুতরাং শিশুর সুন্দর এবং সঠিক নাম রাখার মাধ্যমে মাতা -পিতাকে সেই জীবন ব্যবস্থা স্বীকার করে নেওয়ার মাধ্যমে নবজাতক শিশুকে ইসলামের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানান দিতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৫৭৮ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মাঝে মাঝে রিংকু, পিংকু, রেন্টু, ঝন্টু লিটন...এই জাতিয় অসংখ্য নাম শুনে কনফিউশনে পড়ে যায়, লোকটা কি মুসলিম!!! আসলে এই ধরনের নামের জন্য মা বাবা ১০০% দায়ি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন