উৎপাদনের মূলে রয়েছে ব্যস্ততা
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ২৮ আগস্ট, ২০১৬, ০৩:১৪:৫৪ রাত
ব্যস্ততা মানুষের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য। প্রত্যেক মানুষের রয়েছে ব্যস্ততা কম বা বেশি। ব্যস্ততা জীবনের সাথে পাল্লা দিয়ে নয় বরং ব্যস্ততার সাথে সামঞ্জস্য হয়ে জীবন চলে। জীবনের প্রতিটি সময়কে যদি এক একটি কাজে নিয়োজিত রাখা হয় তাহলে অবশ্যই সেই সময়কে ব্যস্ততাযুক্ত বলা হবে। সুতরাং জীবনটাই ব্যস্ততার মধ্যেই পরিচালিত হয়। ব্যস্ততার মধ্যেই সময়ের প্রতিটি সেকেন্ড অতিবাহিত হয়। ব্যস্ততার মধ্যেই কাজের সমাপ্তি ঘটে কিন্তু ব্যস্ততার সমাপ্তি ঘটেনা।
ব্যস্ততার মধ্যেই উৎপাদিত হয় জীবন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সবকিছু। আমরা আমাদের বিবেক বুদ্ধিকে যে কাজে ব্যস্ত রাখবো সে কাজ অনুযায়ী জীবনের পথ অতিক্রম হবে। সেই পথের অনুসারীর বিবেক বুদ্ধিকে ব্যস্ত রাখার পদ্ধতির ভিত্তিতে আনন্দ, হাসি-খুশি, বিলাসিতা থাকতে পারে আবার কাটা, বিপদ- আপদ,কান্না, অভাব থাকতে পারে। তবে সেটা একান্ত নিজের মানসিকতার উপর ভিত্তি করে। ব্যক্তিগত মানসিকতার উপর নির্ভর করে নিজেকে কি কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে। যদি দুনিয়া ও আখেরাতের কথা মাথায় রেখে নিজেকে হক এবং সুন্দরের পক্ষে ব্যস্ত রাখা যায় তাহলে সেই ব্যস্ততা কাজে আসবে দুনিয়া এবং আখিরাতে।
নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্য পৃথিবীতে অনেক কাজ রয়েছে। ব্যস্ততার দুটি দ্বারা ভালো এবং মন্দ। বিশ্বব্যাপী ন্যায় - অন্যায়ের যে লড়াই চলছে সেটাও ব্যস্ততার উৎপাদক। নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষ ব্যস্ত আত্মরক্ষার জন্য আবার জুলুমবাজ ব্যস্ত জুলুম করার মধ্যে। সবাই ব্যস্ত শুধু পার্থক্য পদ্ধতির।
আমরা যদি আমাদের ব্যস্ততা সঠিক কাজে লাগাই সেটা হবে নিজের জন্য, সমাজের জন্য উপকারী। আমরা আমাদের ব্যস্ততার পার্থক্য বুঝতে হবে। আমাদের সৃষ্টকারী মহান রবের দেখানো পথেই ব্যস্ত থাকতে হবে।ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় জীবন ব্যবস্থায় কিভাবে চলতে হবে কি কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে তা কুরআন - হাদিসের মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছেন। আল-কুরআনে ইসলামকে পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা বলা হয়েছে। সূরা মায়েদা, ৩ ননাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন,
'আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।’ মহান আল্লাহ আমাদের মন ব্যস্ত রাখার পথ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। সৃষ্টির চলার জন্য দিক নির্দেশনা স্রষ্টা দিয়েছেন, সে দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য একজন বাহক (নবী) তিনিই নির্ধারণ করেছেন। সবকিছুর মূলে রয়েছে নৈতিকতা বা মুল্যবোধ, যার ফলে ভাল মন্দ পার্থক্য করা যায়।ব্যস্ততার মাধ্যমে কল্যাণ উৎপাদন করতে পারলেই সফল জীবন বলা যাবে। সেই ব্যস্ততায় অনেক ঘাম ঝরাতে হবে। কাজের সাফল্যে পৌঁছাতে নিরলস ভাবে পরিশ্রম করতে হবে ।সে পরিশ্রম হতে পারে মানসিক,শারিরীক বা অর্থনৈতিক। অকাজে ব্যস্ত থেকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করে লাভ নেই। সঠিক কাজে অক্লান্ত পরিশ্রমে ব্যস্ত থেকে দুনিয়া এবং আখেরাতের জন্য কিছু উৎপাদ করার প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। নিজের জন্য, সমাজের জন্য, দেশের জন্য ভালো কিছু করার লক্ষে ব্যস্ত থাকা একজন বিবেকবান মানুষের পরিচয় বহন করে।
বিষয়: বিবিধ
১০১৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন