দুবাই ভিসা চালু সংক্রান্ত বিষয়ে নানান কথা ও আমার মতামত
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০২:৪০:২৯ রাত
এক ,
বাংলাদেশের ফেসবুক ইউজার , দেশী এবং প্রবসী সাংবাদিক নামের কিছু দুষ্ট লোকের দুষ্টামির কারণে অনেকে মনোকষ্ট পাচ্ছেন। বাংলাদেশের মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের প্রতি অনেক দুর্বল। কারণ মধ্যপ্রাচের প্রবাসীদের টাকায় দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রয়েছে। গ্রাম বাংলার লক্ষ্য লক্ষ্য পরিবার এবং কোটি কোটি জনতা মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের শ্রমের মজুরির প্রতি নির্ভরশীল।
২০১২ সালের প্রথম থেকে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়ের দ্বিতীয় বৃহৎ উৎস দেশ আরব আমিরাত ভিসা প্রদান বন্ধ রেখেছে। ২০১৪ সালের শুরুতে সম্ভবত ফেব্রুয়ারিতে আনুষ্টানিক ভাবে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য পুরোপুরি বন্ধ হয় দুবাই তথা সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ভিসা।সেই থেকেই কর্মসংস্থান বা এমপ্লয়মেন্ট ভিসা, ট্যুরিস্ট বা ভ্রমণ ভিসা এবং সব ধরনের বাণিজ্যিক ভিসা প্রদান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়ের দ্বিতীয় বৃহৎ উৎস দেশটি।
দুই ,
ভিসা বন্ধের কারণ অনেকেই অনেক রকম বলে আসছেন তাও নিজের করে। বন্ধের কারণ নিয়ে এখন আর ভাবার বিষয় নেই এখন ভিসা খুলবে কবে সেটা নিয়ে ভাবতে হবে এবং কি করে খুলবে। দুবাইয়ে বাংলাদেশী দুতাবাস এবং বাংলাদেশী কনস্যুলেট এই বিষয়ে কিছুই পরিষ্কার বলতে পারতেছেনা। আমার মতে বলার কথাও নয় কারণ ভিসা বন্ধ রেখেছে আমিরাত সরকার। আমিরাত সরকার বেলুন নয় যে ফুলার সময় লোকে দেখবে। বাংলাদেশের মত নয় যে কিছু একটা হচ্ছে বললেই কিছুদিন পর দেখা যায় ঠিকই হচ্ছে। আমিরাত সরকার যখন ভিসা চালু করবে ঠিক সেই দিন মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়ে দেবে এর আগে কেউ জানবেনা। তবে আমাদের দুতাবাস ভিসা চালু করার জন্য অনেক কৌশলিক কাজ করতে পারে। প্রথম দিকে দুতাবাস নিরব থাকেলও এখন অনেকটা তত্পর দেখা যাচ্ছে ভিসা সংক্রান্ত বিষয়ে।আর যদি উনারা পূর্বেও ভিসা চালু করার জন্য তত্পরতা চালিয়ে থাকনে সেটা হতেও পারে। কিন্তু আমার মতে সেটা অনেকটা দেরিতে হয়েছে যা কাম্য ছিলনা।
তিন ,
এখানে বাংলাদেশী অনেক কমিউনিটি আছে। সেসব কমিউনিটির মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক দলের হয়ে হামছে তুমছে গেইম খেলা হচ্ছে। টাকা দিয়ে পত্রিকা আর টেলিভিশনে মুখ দেখানোর কাজ হচ্ছে। আবার কিছু কমিউনিটি আছে শক্ত ভাবে দেশীয় সংস্কৃতি লালন করে যাচ্ছে পাশাপশি নিরীহ শ্রমিকদের সাহায্য করে যাচ্ছে। অসহায় শ্রমিকদের বিপদে এগিয়ে আসছেন যা আমার নিজ চোখে দেখা। কিন্তু ভিসা চালুর যে কৌশল প্রয়োজন সেরকম কমিউনিটি আমার চোখে ধরা পড়েনাই।
চার,
Mark Elliot Zuckerberg এর তৈরী করা ফেসবুকে আইডি বানিয়ে এবং কিছু নামে বেনামে অনলাইন পত্রিকায় মিথ্যে নিউজ করে দুবাই ভিসা চালুর অপেক্ষায় থাকা গ্রাম বাংলার মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করতেছে। আজ হচ্ছে চালু কাল হচ্ছে চালু এসব খবর পোস্ট করে লাইক কমেন্ট পাওয়া যায় বা অনলাইন পত্রিকা প্রচার করা যায় কিন্তু আবেগ নিয়ে খেলা করার অপরাধের শাস্তি প্রাপ্প হয়ে যায় সেটা খেয়াল করেনা। দু দিন পূর্বে দুবাইয়ের পক্ষ থেকে দুবাই ভিসা সংক্রান্ত একটি অফিস খুলা হয়েছে ঢাকায় আর বাংলাদেশের ফালতু কিছু ব্যক্তি আছে বিশাল সেলিব্রেটির পেজ চালায় ওরা প্রচার করতেছে ভিসা চালু হয়েছে। মূলত ভিসা চালু হয়নি শুধু মাত্র ভিসা সংক্রান্ত সুবিধার জন্য অফিস করা হয়েছে। এদিকে আমাদের মন্ত্রী সাহেবরা বারবার বলেন দুই দেশ ভিসা চালুর জন্য কাজ করে যাচ্ছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাহেব গত কাল বললেন আমরা দুই দেশ কাজ করছি ভিসা চলুর জন্য। আমি বুঝিনা এই কথার মানে। কে খুলবে ভিসা ? উত্তর হবে দুবাই তাহলে দুবাই কোন দেশে বাংলাদেশীদের পাঠানোর জন্য কাজ করছে ? এটা বলতে পারতেন আমরা কাজ করছি দুবাই ভিসা চলু করার জন্য। রাজনৈতিক কথা প্রবাস সংক্রান্ত বিষয়ে যোগ করা ঠিক নয়।
পাচ,
আমিরাতে বাংলাদেশের শ্রমিক অনেক প্রয়োজন। আমিরাতের কর্মসংস্থান বিবেচনায় বলা যায় ইনশা আল্লাহ আবার ভিসা চালু হবে তবে সেটা কবে বলা যাচ্ছেনা। বছর যেতে পারে আবার কয়েক মাসের মধ্যেও ভিসা চালু হতে পারে। আমিরাতের মিডিয়া যখন জানিয়ে দেবে ভিসা চালু হয়েছে সেদিন থেকে সঠিক চালু হয়েছে বলে ধরে নেবেন এর পূর্বে নয়।
বিষয়: বিবিধ
২৪৮২ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন