লম্পটি স্টাইল আর ঘুষ উপহার
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ০৮ নভেম্বর, ২০১৫, ০২:০৫:২১ রাত
ভাই কপালে কি আছে জানিনা ! কেন কি হইছে ? পড়া লিখা হয়তো শেষ হওয়ার পথে কিন্তু চাকুরী হবে না। আশ্চর্য তুমি এখনো স্টাডি শেষ করলে না অথচ জবের চিন্তা কেন ?এল,এল,বি চতুর্থ বর্ষ তাই এখন থেকেই কিছুটা ভাবনা হচ্ছে তাছাড়া ভাই আজ একটি বিষয় শুনে মাথায় চক্কর আসছে। শুনেছি এখন নাকি বার কাউন্সিলে চাকুরীর জন্য পরীক্ষা দিলে আর সেই পরীক্ষা ভালো হলে পেপার গুম হয়ে যায়।
ওহ এই কথা ? জি হ্যা ! জানেন ভাই বাংলাদেশের জন্ম লগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত ঘুস নামের যে জুলুম চলে আসছে সেটা বন্দ হওয়ার নয় বরং দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘুষ বিনা চাকুরী হওয়ার নয়। বর্তমানে দুটি পদ্ধতিতে চাকুরী হওয়ার সম্ভাবনা শত ভাগ নিশ্চিত। এক , সম্মান বিক্রি দুই , ঘুষ।
উপরের এই কথা গুলো আজ এক ছোট বোন আমাকে বেলছে অনেক কষ্টজরিত কন্ঠে। এই বোনটির সাথে আমার প্রায় সময় রাজনৈতিক মতপার্থক্য নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু আজ সে একবারে নিরব ছিল। সে একটি বিশেষ দলের সমর্থক কিন্তু তার পরিষ্কার কথা ছিল রাজনৈতিক ভাবে নয় এটা জাতীয় ভাবে প্রতিহত করতে হবে নয়তো দেশের জন্য অমঙ্গল ভয়ে আনবে আরো গতিতে।
বাংলাদেশের জন্য লম্পটি একটা স্টাইল আর ঘুষ উপহার হয়ে গেছে। যে যত লম্পতি করতে পারে সে তত পপুলার আর যে যত ঘুষ নিতে পারে তার দাম বেশি সমাজে। তার কাছে সবাই যায় ঘুষ দেওয়ার জন্য।
মিস বোন ইউ আইনের ছাত্রী তোমাকে জ্ঞান দেওয়ার কিছু নেই , তবে বলতে পারি তুমি প্রথমে ঘুস এবং লম্পটদের বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করতে হবে আর সেটা রাজনৈতিক ভাবে। তুমি থেকে তোমরা , তোমরা থেকে সবাই যখন কথা বলতে শুরু করবে তখন একটি সমাধান বেড়িয়ে আসবে এর পূর্বে নয়। যাদের হাতে ক্ষমতা বেশি থাকে তারাই সমাধানের পথে খোঁজে পায় , সুতরাং আর সময় লস্ট না করে শুরু কর নিজের করে।
বিষয়: বিবিধ
১০৯৩ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সাফারিংস মেয়েদের চেয়ে ছেলেদেরই বেশী হয় চাকরি না পেলে , কারণ ছেলেকে সংসার চালাতে হয় । মেয়েরা চাকরির টাকা জমায় , খরচ করে বাবা / স্বামীর থেকে ।
একজন মেয়ের চাকরি পরিবার তথা সমাজের জন্য কোন কল্যান বয়ে আনে না । একজন মেয়ে চাকরি পাওয়া মানে একজন ছেলে চাকরি না পাওয়া । ফলে একটা ফ্যামিলির সাফারিংস দীর্ঘায়িত হওয়া ।
একটি মেয়ে আগে এসএসসি পাশ করেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী নিতে পারত। বর্তমানে এইচ এস সি পাশ করে চাকুরী নিতে হয়। আর একটি ছেলে চিরকাল বিএ পাশ না করলে চাকুরী নেই। নারীর হাতে টাকা থাকলেই আলাদা একটা পাওয়ার থাকে। যদি সে নিজে রোজগার করে তো কথাই নাই।
একজন নারী কখন চাকুরী করবে? বিয়ের পূর্বে যখন তার পিতা বা বড় ভাই তাকে ভরণ পোষণের ক্ষমতা না রাখে। বিয়ের পর স্বামী যদি অকর্মা হয়, বউ চালানোর মুরোদ না থাকে। সন্তান বড় হলে সে তার মায়ের ভরণ পোষণ করবে। সন্তান না থাকলে বা কেউ না থাকলে রাষ্ট্র তার ভরণ পোষণের দায়িত্ব নিবে। কিন্তু আমাদের দেশে প্রচলিত জালিম সরকার গুলি কি কোন নারীর ভরণ পোষণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেয় বা কখনো নিবে বলে আশা করা যায়?
তবে বাংলাদেশে ঘুষ পদ্ধতির বিলুপ্তি ঘটবে বলে আশা করা যায় না। অন্তত এই ধরণের সরকারের কাছে মেধার মূল্যায়ন কোন দিন হবে না।
আমরা ঘুষ বন্ধ করতে চাই বটে,
কিন্তু.....
সুযোগটা আমার জন্যই চাই- যে কোন মূল্যে
মানসিকতার পরিবর্তন না করে ঘুষ বন্ধ হওয়া সম্ভব নয়!!
আর অন্যজন পেলেন সাত বছর পর "বখশিস"বিদ্যা অনুসরণে রাজী না হওয়াতে!
যখন দ্বিতীয়জনের অনুকরণকারীর সংখ্যা বেশী হবে তখনই ঘুষ বন্ধ হবে!
এমন কি সৌদিতেও, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঘুষের অবস্থা দেখলে/জানলে আমাদের দেশের ঘুষখোরেরা রেট বাড়িয়ে দিতে পারে!!
জনগণের [মানে আমার আপনার ও অন্যদের] স্বার্থবাদী অ্রন্তরটা যতক্ষণ "পরের কারণে স্বার্থ ত্যাগ" পর্যায়ে না ফিরবে ততক্ষণ ঘুষ দূর হবেনা!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন