বীর বিক্রম শমসের মুবিন চৌধুরীর রাজনীতি থেকে অব্যাহতি ও কিছু কথা
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ২৯ অক্টোবর, ২০১৫, ০৮:১৬:২৬ রাত
বিএনপির প্রথম সারির নেতা হিসেবে অনেকের কাছে পরিচিত শমসের মুবিন চৌধুরী । পরিচিত হওয়ার কথা কারণ কাগজে কলমে উনি এগিয়ে। কিন্তু মূলত তিনি ছিলেন কূটনৈতিক ব্যক্তি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত মুখ শমসের মুবিন চৌধুরী। মধ্যপ্রাচ্যে এরশাদের পরিচিতি যেমন আজও বিদ্যমান ঠিক তেমনি শমসের মুবিন কূটনৈতিক পাড়ায় যতেষ্ট পরিচিত একটি নাম। বীর বিক্রম শমসের মুবিন চৌধুরীর অবদান ভিন্ন। যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে বসে থাকেন নাই দেশের পরিচিতি তুলে ধরার জন্য রাজনৈতিক দলের হয়ে বিদেশে কাজ করেছেন। বিদেশে কাজ করেছেন দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য।
সিলেট বিএনপির কোন্দল মানেই মরহুম সাইফুর রহমান , শমসের মুবিন ,এবং ইলিয়াস আলী এটা একাটা ইতিহাস যা সবার কানের কাছে শব্দ করে সাক্ষী হয়ে আছে।সাইফুর রহমান ছিলেন দলীয় ভাবে শক্তিশালী , ইলিয়াস আলী যেমন ছিলেন সাহসী শমসের মুবিন তেমনি চতুর। প্রথম জনের দলীয় কর্মী একজনের সাহসী হুঙ্কার আরেকজনের কৌশলিক হুঙ্কার। সিলেট বিএনপিতে শুধু ইলিয়াস - শমসের ,সাইফুর রহমান নয় রয়েছে এরকম নানান গ্রুপ। আর এসব গ্রুপ অনেক শক্তি শালী নিজেদের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টিতে। বিএনপির মত শক্তিশালী দলের প্রধান সমস্যা অভ্যন্তরীণ কোন্দল যা পরিষ্কার ভাবে প্রকাশ্যে দেখা যায় সিলেট মহানগরে। দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশ না নিলেও গ্রুপিং কর্মসূচি উত্সাহের সহিত পালন হয় সিলেটে।ছাত্র দলের সিলেট এক নেতার বিরুদ্ধে আরেক নেতার গ্রুপ ঝাড়ু মিছিল করতে ও পিছপা হয় না। মেয়র নির্বাচনের পর গ্রুপিং আরো একটু বেশি এগিয়ে এগিয়ে যায়। মেয়র জেলে যাওয়ার পর গ্রুপিং পদ্ধতি পূর্ণতা লাভ করে।
মিডিয়ার মাধ্যমে শুনা যাচ্ছে রাজনীতি থেকে অব্যাহতি নিলেন বিএনপি নেতা বীর বিক্রম শমসর মুবিন। এবার প্রশ্ন রাখলাম উনি কি আসলেই রাজনৈতিক নেতা ? তবে উনার মত ব্যক্তি বিএনপির মত বড় দলের জন্য অনেক উপকারী কারণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দলের অবস্থান তুলে ধরতে হলে এরকম শমসের মুবিন চৌধুরীর প্রয়োজন।কিন্তু দলের প্রথম সারিতে রাখা ঠিক নয় যা আজ প্রমানিত। উনি কেন কোনো রাজনৈতিক দলের উচিত নয় হাইব্রীড নেতাদের সামনে দেয়া। একটা কথা অনেকেই বলবেন শমসের মুবিন সাহেব অনেকবার জেলে গেছেন রাজনীতির জন্য আমি বলি ভাই ,রাজনীতির মাঠে থাকতে চাইলে জেলে যেতে হয় তবে রাজনীতিতে থাকতেই মুখ্য।
আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামতে বলছি আওয়ামীলীগ , বিএনপি ,জাতীয় পার্টি এমনকি জাময়াতের ও রয়েছে এরকম হাইব্রীড নেতা যাদের দ্বারা মাঠের রাজনীতিতে কোনো উপকার হয় না। রাজনৈতিক দল গঠনে প্রয়োজন রাজনৈতিক ব্যক্তি কূটনৈতিক তত্পরতার জন্য প্রয়োজন পেছন থেকে পুশ করার মনোভাবসম্পন্ন একদল শক্তি শালী কূটনৈতিক গ্রুপ। এই গ্রুপ কখনো সামনের সারিতে আসতে চাইবে না আসতে চাইলে ও আসতে দেওয়া হবে না। আর যদি আসে তাহলে কখনো না কখনো চলে যাবেই যাবে। উনি অসুস্থ বলে অব্যাহতি নিয়েছেন বলে মিডিয়া জানিয়েছে। আবার অনেকে বলছে শমসের মুবিন চৌধুরীর প্রকাশ্যে বিদায়ের কারণ হতে পারে সিলেটের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। স্বাধীনতা সংগ্রামের সংগ্রামী ব্যক্তি বীর বিক্রম শমসের মুবিন চৌধুরীর রাজনৈতিক নয় আন্তর্জাতিক অবদানকে সামনে তুলে ধরা সময়ের দাবি। উনার এই অসময়ে অব্যাহতি নেওয়ার ফলে জানিনা কি হতে যাচ্ছে সিলেট বিএনপির রাজনীতিতে। তবে এটা পরিষ্কার আওয়ামীলীগ বিএনপির কোন্দলের ফায়দা নেবে হোক কথার মাধ্যমে নয়তো কূটনৈতিক পাড়ায় অব্যাহতির বিষয়টা নিয়ে তেনা পেঁচিয়ে।
বিষয়: বিবিধ
২১৩৩ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন