চোখে কালো গ্লাস আর মুখে কষ্টিপ
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ১৬ অক্টোবর, ২০১৫, ১০:৩৭:৪৪ রাত
ইসলাম ও ইসলামী সাহিত্য নিয়ে যাদের চুলকানি রয়েছে তারা মূলত অন্ধ এবং তাদের পকেটে সব সময় ৩০ টাকা দামের লাল কষ্টিপ থাকে। যখন কষ্টিপের প্রয়োজন মনে করে সাথে সাথে বের করে মুখের মধ্যে লাগিয়ে দেয়। নামে বেনামে তথাকথিত নানান মানবিধাকার সংগঠনের সাথে জড়িত এবং সেই সব তথাকথিত সংগঠনের মূল নেতাও তারা। তাদের সংগঠনের মূল কাজ হচ্ছে ইসলাম এবং ইসলামী ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা। কিন্তু সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কথা বলা দুরে থাক পারলে সঙ্গ দেয়।
দেশের যে প্রান্তেই দাড়ি টুপি ওয়ালা কোনো মানুষ অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার হয় কিংবা তুচ্ছ কারনে গ্রেপ্তার হয় সেটা তাদের চোখে মহা উল্লাসের। তারা সেই গ্রেপ্তারকে অপপ্রচারের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। সেই মানুষটি কেন গ্রেপ্তার হলো ? আসলেই কি কোনো অপরাধ করেছে ?নাকি দাড়ি টুপি পরিধানের কারনে গ্রেপ্তার হলো ? ইসলামী সাহিত্য পড়ার কারণে গ্রেপ্তার হলো ? আর যদি আসলেই কোনো দাড়ি টুপি ওয়ালা ভুল করে আসামী হয়। তখন আর কথাই নেই সে সময় ওই মানুষের ভুল হিসেবে দেখে না ,দেখে দাড়ি টুপির হিসেবে।
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের তাস খেলা চলছে সুযোগ পেলেই তাসের মালিকরা বিজয়ী হতে চায়। তাসের মালিকদের সহায়তায় রয়েছে অন্ধ এবং কষ্টিপ ওয়ালা কিছু লোক। দাড়ি টুপি ওয়ালা যদি গ্রেপ্তার করা হয় ইসলামী আইন কায়েমের জন্য প্রচেষ্টার অপরাধে তখন তাদের সাথে থাকে কিছু কুরআনের তাফসির , হাদিস এবং ইসলামী সাহিত্য। এসব তাফসির ,হাদিস এবং ইসলামী সাহিত্যকে জঙ্গি বই বানিয়ে টেলিভিশনের পর্দায় দেখিয়ে অপপ্রচার করা হয়। মাঝেমধ্যে দেখা যায় ইসলামী সাহিত্যের সাথে কিছু বাশের লাঠি , কখনো পেট্রল বোমা কখনো রামদা যা টেবিল সাজিয়ে পিকচার উঠিয়ে অপপ্রচারের কাজে লাগানোর জন্য মিথ্যে বানোয়াট ভাবে রাখা হয়। তখন শুরু হয় তথাকথিত লোকদের কাজ সারা দেশে বলে বেড়াবে ইসলামের নামে দাড়ি টুপি ওয়ালারা জঙ্গিবাদ কায়েম করতে চাই এটা সেটা নানান কথা। আল্লাহর শুকরিয়া দেশের মানুষ এসব অপপ্রচারে এখন আর কান দেয় না। জনগণ বুঝে গেছে এসব অপপ্রচার ইসলাম বিদ্ধেষী মনোভাবাপন্ন লোকের কাজ। নাম মুসলমান কাজে কপালে টিপ আর গায়ে পাঞ্জাবি কাজে শয়তানি লোকের মুখ এখন সবার চেনাজানা।
পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ম প্রচারণার আড়ালে চলছে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা। আর এর নেপথ্যে রয়েছে ভারতীয় অস্ত্র ব্যবসায়ীরা। দুর্গম পাহাড়ি এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করে খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে অস্ত্র ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের স্থানীয় এজেন্টরা।
শুক্রবার দৈনিক ইত্তেফাক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরীহ ও দরিদ্র পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর অশিক্ষা ও কুসংস্কারকে পুঁজি করে ধর্ম প্রচারণার আড়ালে চলছে অস্ত্রের অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা। বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন দুর্গম এলাকার বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছ থেকে সংগ্রহ করে এসব অস্ত্র বাংলাদেশের বিভিন্ন পাহাড়ি ও দেশীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে বিক্রি করা হয়। আর এসব কাজে রয়েছে খ্রিষ্টান ধর্মীয় প্রচারক। এসব চোখে পরে না আমাদের দেশের সেই তথাকথিত মানবিধাকার সংগঠনের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের। তারা তখন পকেটে রাখা কষ্টিপ মুখে লাগিয়ে রাখে আর চোখে কালো গ্লাস লাগিয়ে চুপ করে ঘরে ঘুমিয়ে থাকে। সবাই জানে এই ধর্ম বিরুধীরা পাহাড়ি অঞ্চল নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সে জন্য এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলবে না এটাই স্বাভাবিক । যদি দাড়ি টুপি ওয়ালা লোকের দ্বারা এসব অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা তখন দেশের প্রতিটি টেলিভিশনে উল্লাস রূপে প্রতিবাদে ফেটে যেত কষ্টিপ লাগানো ভন্ডরা। সময় আসবে কষ্টিপ সহকারে বিচারের মুখোমুখি হবার।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৪ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যথার্থ বলেছেন, সহমত
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
প্রতিবাদ করার জন্য আপনাকে শুকরিয়া! জাযাকাল্লাহু খাইর!
মন্তব্য করতে লগইন করুন