দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ১৩ অক্টোবর, ২০১৫, ০২:৩৩:০২ রাত
মিডিয়ার মাধ্যমে জানাগেছে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে স্থানীয় সরকারের সংশোধন আইন নীতিগত ও চূড়ান্তভাবে একযোগে অনুমোদন করা হয় এই মর্মে যে এখন থেকে স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন ও প্রতীকে অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে মেয়র, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পদে দলীয়ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
দেশের প্রতিটি দলের টার্গেট থাকে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পদ থেকে শুরু করে সরকারের উচ্চপদ পর্যন্ত নিজ রাজনৈতিক দলের দাপট। সে ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ রূপে সঠিক। আবার গ্রাম গঞ্জের মানুষের রাজনীতি থেকে দুরে থাকার যে মনোভাব থাকে সেই মনোভাবে আঘাত দেওয়া হয়েছে। বলা যায় এক প্রকার জোর করে রাজনীতি করতে বাধ্য করানো হচ্ছে। তবে বলা হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। কিন্তু দলীয় প্রতিক ও সমর্থন যুক্ত করা হয়েছে সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাগজে কলমে থেকে যায় যা জাতীয় নির্বাচনে দেখা যায়।
দলীয় প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বের বিষয় দাড়িয়েছে স্থানীয় পরিবেশ এবং পারিবারিক সম্পর্কের কঠিন হিসেব। এই হিসেবে আমার একান্ত ব্যক্তিগত ধারণা হচ্ছে অনেক বড় দলের নেতা আছেন নিজ দলের হয়ে নির্বাচন করতে পারবেন না বা চাইবেন না। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না করার কারণ হলো এমন ও এলাকা আছে যেখানে ক দলের জোর বেশি কিন্তু খ দলের প্রভাবশালী নেতা বেশি।এলাকায় ভাতৃত্ব এবং পারিবারিক সম্পর্কের একটা শক্তি রয়েছে।মনে করেন একই ঘরের দুই ভাই একজন ইউনিয়ন ক দলের সভাপতি আরেকজন খ দলের সাধারণ সম্পাদক এখন ক দলের ভাই ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হলেন এখন কিভাবে খ দলের নেতা তার আপন ভাই উনার পক্ষে প্রচারণা করবে ? যদি না নির্ধলীয় প্রতীকে নির্বাচন না করেন সম্ভব নয় প্রচারণা করার। যদি করতে হয় খ দল থেকে চলে গিয়ে করতে হবে। তার মানে দাঁড়ালো এই এলাকায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন সম্ভব নয়। অনেকের মতে এভাবে নির্বাচন হলে সহিংসতা, কালো টাকা ও পেশিশক্তির প্রভাব বাড়তে পারে বিজয় জোর করে প্রশাসন দিয়ে নিজের পক্ষে নিয়ে যাবে ।সরকারী দলের ক্ষমতার অপব্যবহার থাকবে খোলামেলা। এছাড়া আমাদের দেশে এমনিতেই বড় দুই দলের শৃঙ্খলা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক নয় ।
দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচনে বড় বড় দলের হিসেব :
আওয়ামীলীগ অনেক বড় রাজনৈতিক দল এমনকি বর্তমানে সরকারে রয়েছে। সবাই জানে আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড থেকে শুরু করে সব জায়গায় বিদ্রোহী গ্রুপ আছে যদিও তাদের দল থেকে বলা হয় বড় দল হিসেবে গ্রুপ থাকতেই পারে। যুক্তি যদি সঠিক হয় তাহেল সেটা শুরু হয় তৃনমূল থেকে তাহলে একই এলাকায় একাধিক প্রার্থী থাকবে যা পরাজয়ের কারণ ও হতে পারে।তখন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।
বিএনপি একটা সুযোগ পাবে স্থানীয় নির্বাচনে নিজদের প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করবে তাদের সর্বশক্তি দিয়ে। তারা ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে না পেরে এলাকায় প্রতিক প্রদর্শন থেকে দুরে ছিল। নিজেদের অবস্থান দেখানোর জন্য চেষ্টা করবে যদিও বিএনপির তৃণমূলে ও গ্রুপিং রাজনীতি রয়েছে।
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাওয়াতে তারা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবে আর সে ক্ষেত্রে প্লাস হবে এলাকার সকল দলের কাছে ভোট চাইতে যেতে পারবে। দলের প্রতি জুলুম নির্যাতনের কথা সারা দেশের মানুষ জানে আর সেটা তারা কাজে লাগবে।যেখানে নিজদের প্রার্থী নেই সেখানে বিএনপিকে সমর্থন দিতে পারবে।
জাতীয় পার্টির গ্রাম গঞ্জে অনেকটা প্রভাব রয়েগেছে সেটা তারা কাজে লাগবে। কিন্তু দলীয় বৈর্তমান কমান্ড ঠিক থাকার ফলে হয়তো সঠিক ভাবে সেটা কাজে লাগবে না।
বিষয়: বিবিধ
১০৭০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ যা করেন বান্দার মঙ্গলের জন্য করেন..।
মন্তব্য করতে লগইন করুন