ইসলাম অশিক্ষিত মুর্খের জন্য নয়
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ০৭ অক্টোবর, ২০১৫, ০৭:৪৫:০৭ সন্ধ্যা
শিরোনাম দেখে অনেকেই অবাক হচ্ছেন।অনেকে প্রশ্ন রাখতেছেন আমরা কি সবাই শিক্ষিত ? ইসলাম শুনলাম উদার এখন আপনি কি বলেন ইসলাম অশিক্ষিত মূর্খদের জন্য নয় ? জি হ্যা আমি ঠিক বলেছি ইসলাম শুধু মাত্র শিক্ষিতদের জন্য। আর সেটা হচ্ছে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিতদের জন্য। কলেজ ,ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্র -ছাত্রীদের কথা আমি বলছিনা কিংবা মাস্টার , উকিল , ডাক্তারদের কথা বলছিনা ।আমি বলতেছি আল্লাহ তায়ালার শিখানো ভাষায় ইসলাম মনগড়া ধর্ম নয় এটা পড়ে শুনে বুঝে মেনে চলতে হয় । আর তা পড়ার জন্য বিশ্বের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হবে না। আবার মাদ্রাসায় পড়তে হবে তেমন কথা নয়। নিজ ঘরের মধ্যে গুছিয়ে রাখা মহা গ্রন্থ আল কুরআন'এর তাফসির এবং আল হাদিস থেকেই শিক্ষা অর্জন করা যাবে।
আমরা সবাই জানি আল্লাহ তাওয়া প্রথমে যে শব্দ নাজিল করেছেন তা হচ্ছে (اقرأ) ইকরা অর্থ পড়। পড়া ছাড়া কোনো গতি নেই , পড়া ছাড়া ইসলাম যেমন বুঝা যায় না তেমনি মানা যায় না। পড়া ও বুঝা ছাড়া দেশ ও সেবা মানবতার সেবা করা যায় না । বিশ্ব মানবতার শান্তির জন্য মহাগ্রন্থ আল কুরআনের দেখানো পথ হচ্ছে আসল পথ আর সেটা বুঝা সম্ভব পড়ার মাধ্যমে। পড়া কিন্তু শুধু শব্দ উচ্চারণ করা নয় অধ্যয়ন করতে হবে অর্থসহ সাথে তাফসির আর সে জন্য যেতে হবে ইসলামী মনিসিদের কাছে। ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত জ্ঞানী জনদের মূল্যায়ন করতে হবে। ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিতদের লিখা ইসলামী বই পড়তে হবে। আমার মতে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হচ্ছে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত উস্তাদ।উনাদের বই পড়লে বুঝা যায় এখানেই রয়েছে সাহিত্যের ভান্ডার এখানেই রয়েছে বিজ্ঞান।
জীবন পরিচালোনার জন্য সমাজিক ও মানসিক উন্নতির জন্য প্রাতিষ্টানিক শিক্ষার বিকল্প নেই। প্রাতিষ্টানিক শিক্ষার মাধ্যেম ডাক্তার ,ইঞ্জিনিয়ার ,উকিল ,শিক্ষক হয়ে সেবা ইসলামের চোখে উন্নত সেবা। কারণ মাবতার ধর্ম হছে ইসলাম ,ইসলাম মানবতার সেবার জন্য প্রাতিষ্টানিক শিক্ষাকেও অনেক গুরুত্ব দিয়েছে। তাই বলে প্রাতিষ্টানিক শিক্ষা অর্জন করতে গিয়ে ধর্মীয় শিক্ষা থেকে দুরে থাকা যাবে না।আর্থিক উন্নতির জন্য শুধু প্রাতিষ্টানিক শিক্ষা অর্জন করা হচ্ছে সামাজিক ব্যবসা উন্নত মনুষত্ব নয়। বাংলাদেশ শুধু নয় বিশ্বের সকল দেশে যখন একজন ডাক্তার ,ইঞ্জিনিয়ার ,শিক্ষক ,পুলিশ ,রাজনীতিবিদসহ সকল শিক্ষিতরা নিজ কর্মস্থলের দায়িত্ব পালনের পাশাপশি নামাজের ইমামতি ,মসজিদের খতিব , পুরুষ -মহিলা দায়ী ইলাল্লাহ হতে পারবে তখনই কেবল শান্তি আসা সম্ভব।
শুধু প্রাতিষ্টানিক শিক্ষা আসল নয় ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার মনোভাব সৃষ্টি করা হচ্ছে আল্লাহর হক আদায়ের বেলায় নিজেকে সোচ্চার রাখা।
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৮ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ডিগ্রি ধারি মূর্খতে এখন ভরে গেছে দেশ।
'দ্বীনী বিষয়ে প্রয়োজনীয় ইলেম হাসিল করা ফরজ'
এ হিসেবে আপনার যথার্থ সুন্দর উপস্হাপনার সাথে একমত পোষণ করতেই হয়!
প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রিধারী দ্বীনী ইলেমহীন লোকদের আধিক্য বেড়ে গেলেও আপনার বলা 'অশিক্ষিত মূর্খ' আশংকাজনক ভাবেই সমাজে রয়েছে!
চরিত্র ও মনন গঠনের এই সময়ে যদি সন্তানদের মনে ইসলাম শিক্ষা সঠিকভাবে প্রবেশ করানো হয় তাহলে সেটার সুফল সবদিক দিয়েই আসবে । সামাজিক অন্যায় অনাচার বহুলাংশে হ্রাস পাবে - ইন শা আল্লাহ ।
ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, "তুমি যতই ডিগ্রিধারী শিক্ষিত হও, কিন্তু তোমার কাছে যদি কোরআন, হাদিস ও ইসলামিক জ্ঞান না থাকে তাহলে তুমি গন্ড মূর্খ " আজ মরহুমের কথাটা ১০০ ভাগ সত্য প্রমাণিত হচ্ছে!
তাই আমি বলি, যারা দুনিয়াবি শিক্ষার পাশাপাশি কোরআন, হাদিস ও ইসলামিক শিক্ষাও গ্রহন করেন তারাই হচ্ছেন VIP(Very Important Person)। আর যারা শুধুমাত্র দুনিয়াবি শিক্ষা গ্রহন করে নিজেকে আধুনিকতার স্রোতে ভাসিয়ে দেয় তারা হচ্ছে শুধুমাত্র..."VIP = Very Idiot Person"
ধন্যবাদ আপনকে এই বিষয়ে কলম ধরার জন্য
সুন্দর মন্তব্যের সাথে একমত!
মন্তব্য করতে লগইন করুন