ভারত নয় বাংলাদেশ সাম্প্রাদায়িক সম্প্রীতির দেশ
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ০৩ অক্টোবর, ২০১৫, ০৭:৫২:৩৩ সন্ধ্যা
প্রথিবীতে সাম্প্রাদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত হচ্ছে বাংলাদেশে।বাংলাদেশে মুসলিম ,হিন্দু , খ্রিষ্টান ,বৌদ্ধ এক সমাজে বসবাস। বাংলাদেশর ১০০ ভাগের মাত্র ১০ ( প্রায় ) ভাগ হিন্দু হওয়া সত্তেও কখনো মুসলিম দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায় তার নজির নেই। তবে ক্ষমতাবানদের দ্বারা জমি দখল , বাড়ি উচ্ছেদ এবং মন্দির দখলের ঘটনা হরহামেশা হচ্ছে যা ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে সাম্প্রদায়িকতার জন্য নয়। মন্দির শুধু নয় বাংলাদেশে মসজিদ ও দখল হচ্ছে। মসজিদ মন্দির দখল করা আর ধর্মীয় অনুষ্টানে বাধা দেওয়া এক নয়। বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন করা হয়েছে দলীয় ভাবে ,রাষ্ট্রীয় ভাবে এমন কিছু চোখে পড়ে নাই যেমনটা দেখেছি ভারতে। বাংলাদেশে এমন ও নজির রয়েছে সরকারী চাকুরীতে মুসলমানদের চেয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোককে বেশি মুল্য দেওয়া হচ্ছে।
ভারত বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ।আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ভৌগলিক সীমারেখা কিংবা জনসংখ্যার হিসেবে তাদেরকে অবশ্যই শক্তিশালী মানতে হবে। ভারতের জনগণ দেশ বিদেশে অনেক প্রভাব কাটাচ্ছে যা সবার জানা। পাশাপাশি ভারতের হীনমনা কর্মকান্ড ও অজানা নয়। ভারত যেমনটা সাম্প্রদায়িক উস্কানি দাতাদের মধ্যে অন্যতম তেমনি হিংসুক দেশ হিসেবে পরিচিত। যারা দেশের বাহিরে আছেন তারা নিজ চোখে দেখতেছেন বলে আমার বিশ্বাস ভারতের মানুষের হিংসাত্মক কর্ম। হিংসার কারণেই তারা ধর্মীয় উস্কানিতে সবার চেয়ে এগিয়ে । বাবরি মসজিদ দখল থেকে শুরু করে গুজরাটের হাজার হাজার মুসলিম পরিবারের সদস্যদের হত্যা। খুন হত্যার বাহিরে ভারতের প্রতিটি রাজ্যে মুসলমানদের নির্যাতনের চেহারা সবার জানা। ধর্মীয় অনুষ্টানে বাধা দান করা তাদের নেশা। ভারতের মধ্যে অনেক সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল রয়েছে যারা প্রকাশ্যে মুসলিম হত্যার পক্ষে কথা বলে।ভারতের অনেক স্টেটের মুসলমান রয়েছেন গরু গোস্ত খাওয়া দুরে থাক ঈদের সময় কুরবানী দিতেও পারেনা। ক্ষমতাসীন মোদী সরকারের দল বিজেপি এক নাম্বার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবাজ এছাড়া শিবসেনা অন্যতম । শুধু মাত্র কেরেলা রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে কারণ সেখানে ৬০ ভাগ মুসলমানের বাস।
গরুর গোশত খাওয়ার অভিযোগে গত সোমবার রাতে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীর নিকটবর্তী দাদরি পরগনার বিসারা গ্রামে ৫০ বছরের মোহাম্মদ আখলাককে পাথর দিয়ে পিটিয়ে খুন করে হিন্দু জঙ্গিরা।
আখলাকের ছোট ছেলে দানিশকেও মারধর করা হয়। তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। ওই গ্রামের মন্দিরে একটি ঘোষণা থেকেই সে দিন রাতে তা-ব ছড়িয়ে পড়ে বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে জানিয়েছে পুলিশ। আখলাকের বাড়িতে গরু জবাই করা হয়েছে, এই ঘোষণা করতে তারাই মন্দিরের পুরোহিতকে বাধ্য করে। বর্তমানে গ্রামের অবস্থা স্থিতিশীল বলেই পুলিশের দাবি। তবে পুলিশের আশ্বাসে মোটেই ভরসা পাচ্ছেন না আখলাকের পরিবার। আখলাকের বড় ছেলে, সরতাজ বলেছেন, ‘আমরা এখান থেকে চলে যাব। কে বলতে পারে, এই ঘটনা আবার ঘটবে না? (সুত্র : দৈনিক সংগ্রাম )
গত দু দিন পূর্বে ভারতের উত্তর প্রদেশের আজমগড়ের একটি মন্দিরে গরুর গোশতের টুকরো ছুঁড়ে ফেলে পালাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) এক কর্মী।তার উদ্দেশ্য ছিল মুসলামনদের মার খাওয়ানো। এরকম অনেক হিন্দু পয়সার কর্মী এমন করে সবসময়।
আমর জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত খাটুয়া খাওয়ার অপরাধে খুন হয়েছেন হিন্দু এমন ঘটনা বাংলাদেশে দেখিনি যা দেখতে ও চাই না। তবে বাংলাদেশে অনেক সময় কৌশলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করা হয়েছিল রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য , তবে আলহামদুলিল্লাহ সেটা সম্ভব হয় নাই। রামুর বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করা হেয়্ছিল যা পরবর্তিতে পরিষ্কার হয়েছে। তখন দেখা গিয়েছিল জাময়াত - শিবির মন্দির পাহারা দিচ্ছে অথচ তাদের বিরুদ্ধে এই হামলার দায় চাপানোর অপচেষ্টা করা হয়েছিল। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য যে বা যারা হামলা করেছে তা সবাই জানে। এটাকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু স্থানীয় বৌদ্ধ নেতারা পরিষ্কার ভাবে বলেছেন সেটা সরকারদলীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কৌশল মাত্র।
ভারতের সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি দিনদিন কমতেছে অপরপক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রাদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। হলফ করে বলা যায় বাংলাদেশের মুসলিমরাই মূলতঃ সাম্প্রাদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত বজায় রেখে চলেছে যা ভারতের হিন্দু সম্প্রদায় করতে ব্যর্থ। আমরা বিশ্বাস করি আগামীতেও বাংলাদেশের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে।
বিষয়: বিবিধ
১১৩৬ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাংলাদেশের হিন্দুরা কিন্তু খায় এদেশের , তবে ডিম দেয় ভারতে ।
ধন্যবাদ
Bombay Mirror Directed By Shlok Sharma
মন্তব্য করতে লগইন করুন