মধ্যপ্রাচ্যে কেমন আছি আমরা ( পর্ব -২১ ) প্রবাসীদের ত্যাগ ,সমস্যা ও সমাধান
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১২:৪৪:৫৫ রাত
একজন প্রবাসী তার জীবনের ইতিহাস সে নিজেই বলতে ও লিখতে পারবে ভালো করে। নিজে বলতে পারার কারণ হলো অনেক সমস্যার কথা অন্যের কাছে বলা যায় না ,এমনকি বাবা মায়ের কাছে ও না। একদিকে শারীরিক শ্রম অন্য দিকে মানসিক শ্রম। প্রবাসীদের জীবন পরিচালিত হয় ত্যাগ ও বিনিময়ের মাধ্যমে । ত্যাগের সীমারেখা খোঁজে পাওয়া অনেক সময় সম্বব হয়ে ওঠে না । ত্যাগের আবার অনেক রকম অবস্থান রয়েছে সেটা স্থান কাল পত্র বিবেচনায়। প্রাবসীদের মধ্যে বিবাহিত ও অবিবাহিত দের অনেক ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা সমস্যা রয়েছে ।
অবিবাহিত প্রবাসীদের ত্যাগ,সমস্যা ,ও সমাধান :
ত্যাগ :- অল্প বয়েসে প্রবাসে চলে আসা একটা অন্য রকম কষ্টকর। প্রথমেই যা ধরা পরে সেটা লেখাপড়ার অপূর্ণতা। তারপর খেলার মাঠে যেসময় থাকার কথা সেই সময় প্রবাসে চলে আসা অনেকটা রক্ত ক্ষরণ চলে অন্তরে। বাবা - মায়ের প্রত্যক্ষ ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হওয়া কত বর কষ্টের তা এক মাত্র ভুক্তভোগী ভালো জানে।
সমস্যা:- পড়া লিখার সীমারেখা ছোট্র হওয়ার ফলে প্রবাসে সফলতার জন্য একটা বিরাট সমস্যা। পড়া লিখার পরিধি ছোট হওয়ার হলে কাজের বেলায় উন্নতি করতে গিয়ে অনেকটা চাপের মধ্যে থাকতে হয়। প্রবাস নামের জেল খানায় বিরক্ত লাগে অল্প বয়সের প্রবাসীদের আমি তার বাস্তব রূপ । বাবা - মায়ের ভালোবাসা থেকে দুরে থাকলে অনেক সময় প্রবাসী ভেঙ্গে পরে।
সমাধান :- যখন প্রবাসে আসা হয়েগেছে তখন আপনার মন বিবেক ও সময় কে কাজে লাগাতে হবে। দেশে অবস্থানরত বাবা-মায়ের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। আত্বীয় স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে সাদ্যমত।কাজকে গুরুত্ব দিতে এবং মনোযোগী হতে হবে। লেখা পড়া পর্যাপ্ত না হলে অনেক ক্ষেত্রে চলে কারণ উন্নত দেশে সার্টিফিকেটের সাথে কাজের অভিজ্ঞতা দেখে সে জন্য কাজকে তারাতারি নিজের কর এনিতে হবে। প্রবাসে কাজের ফাকে বিনোদনমূলক জায়গায় বেড়াতে যাওয়া উচিত ,নিয়মিত ধর্ম চর্চা করতে হবে ,খেলাদলার সুযোগ থাকলে তা কাজে লাগাতে হবে,দেশ সম্পর্কে বুঝা উচিত।
বিবাহিতদের ত্যাগ ,সমস্যা ,ও সমাধান :
ত্যাগ :- বিবাহিতদেরও ত্যাগের পরিধি অনেক লম্বা। মা-বাবা ,স্ত্রী , সন্তান ছেড়ে প্রবাস জীবন কেমন শুধু বিবাহিতরা নিজের মত করে বলতে পারবে আমি শুধু অনুমানের ভিত্তিতে কিছু বলতেছি ।যে সময়ে বৃদ্ধ বাবা মায়ের পাশে থাকার কথা ঠিক সে সময়ে উনাদের থেকে অনেক দুরে। স্বামী - স্ত্রীর বন্ধন অনেক গভীর ,অথচ সেই স্ত্রী থেকে একজন প্রবাসী কেমন আছে চিন্তা করেন ?সন্তানের জন্য ভালোবাসা কেমন থাকে তা আমি বুঝেছি আমার বাবা মায়ের আমার প্রতি ভালোবাসা দেখে। সন্তানের হাতে হাত ধরে স্কুল পৌছে দেওয়া বাবার অনেক বড় পাওয়া।
সমস্যা:- বিবাহিতদের অনেক সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বর সমস্যা পরিবার। সমাজের অনেক অপসংস্কৃতি নিয়ে ভয় জাগে মনে ,সুন্দরী স্ত্রী হলে আর বলতেই হয়না সমস্যার কথা। তাদের আগামী দিনের জন্য বাবার কর্তব্যের কতটুকু পালন হছে কিনা এসব বড় সমস্যা।তাছাড়া ছেলে মেয়ে বড় হলে ওরা সঠিক সংস্কৃতিতে চলতেছে কি না ? অপসংস্কৃতিতে চলতেছে তা যেন একটা ব্রেইন শ্রম।
সমাধান :- বিবাহিত প্রবাসীদেরকে শুধু টাকা দিলেই হবে না সবসময় স্ত্রী সন্তানদের খোজ নিতে হবে। বাবা মাকে ,শ্বশুর -শাশুড়ীদের স্ত্রী সন্তানদের খেয়াল রাখার জন্য বলা নয় অনুরুধ করতে হবে। সময় ও পরিবেশ রক্ষা করে দেশে যেতে হবে বেশি করে । নিজে ও স্ত্রী সন্তানদের বেশি করে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার ব্যাপারে হুঁশিয়ার থাকতে হবে।শুধু প্রবাসী নয় সকল স্বামীর জন্য একজন ধার্মিক স্ত্রী হবে চিন্তামুক্তের অন্যতম কারণ।
বিষয়: বিবিধ
১৪০০ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
১০০% সত্য কথা। অবিবাহিত ভাই।
কখনও তো জেলের চেয়েও করুণ হয় প্রবাস জীবন!
বিবাহিতদের ক্ষেত্রে প্রায় সময় দাম্পত্য কলহ দেখা যায়,এটা প্রবাসীদের বেলায় বেশী!
প্রবাসী বুঝে প্রবাসীর কষ্ট
অনেক ধন্যবাদ
https://www.facebook.com/ami.b.cai.9
মন্তব্য করতে লগইন করুন