আর যেন কোনো বোন লাঞ্চিত না হয়
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:৫৬:৩৭ রাত
একেরপর এক অপকর্মে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে কোন দিকে যাচ্ছে সেটা বলার প্রয়োজন মনে হয় না। গত কালের পত্রিকার তিনটি শিরোনাম পড়লেই বুঝা যাবে দেশ কোন অভিমুখে যাচ্ছে। ১ , রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষিত ২, রাজধানীর ভাটারায় নারী শ্রমিককে গণধর্ষণ ৩ ,নাজিরপুরে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে পৃথক দু’টি মামলা। শিরোনাম তিনটি ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখের । শিরোনাম বাংলা শব্দের হলেও কর্ম জাহেলি সময়কার। শিরোনাম সম্পর্কে সন্দেহ থাকলে তিন তারিখের যে কোনো জাতীয় পত্রিকা দেখে নেওয়ার অনুরুধ জানাচ্ছি।
গত নয় দিন পূর্বে হবিগঞ্জে লাঞ্ছনার শিকার হয় হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। হবিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের (জুনিয়র স্কুল) নবম শ্রেণিতে পড়া রুহুল আমিন রাহুল নামের বখাটে ছেলে লাঞ্চিত করেছে।লাঞ্চনার ভিডিওটি রাহুলের কোনো বন্ধুই করেছিল। চড়-থাপ্পড়েরপরে সেটি ফেসবুকে ছেড়ে অসহয় মেয়েটিকে পুনরায় লাঞ্চিত করতে চেয়েছিল। আলহামদুলিল্লাহ কার্যত সেটা বুমেরাং হয়েছে। উল্টো মেয়েটি অপমানিত হওয়ার বিচার পাচ্ছে। ভিডিওটি সম্ভবত ২ তারিখ প্রথম ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হয়।যদিও বলা হচ্ছে গত ৩ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে ভিডিও চিত্রটি প্রকাশ হয়েছে। আর এক দিন পরই ফেসবুকের কল্যাণে দেশ প্রেমিক মানবতার পক্ষের শক্তিদের হাতে এসে পৌছে। সাথে সাথে প্রতিবাদের ঝড় উঠে দেশে। একের পর এক লিখা আসতে থাকে ফেসবুকে , বোনটির পরিবার ফিরে পায় সাহস। সেই সাথে টনক নড়ে প্রশাসনের। গ্রাম বাসীর সহযোগিতায় অপরাধী গ্রেপ্তার হয় ।
ফেসবুকের কল্যাণে শিশু রাজন হত্যার কাহিনী ফাস হয়েছিল। ফেসবুকের কল্যাণেই রাজন হত্যার মূল আসামিকে প্রবাসীরা বিদেশেই বিদেশী প্রশাসনে গ্রেপ্তার করাতে সক্ষম হয়েছিল। ফেসবুকের মাধ্যমে অনেক কিছুই সম্ভব শুধু প্রয়োজন বিবেক। আজকের সময়ে দেশে মজলুমের পক্ষের মিডিয়া নেই যা আছে সব পা চাটা গোলাম। তাই সকল দেশপ্রেমিক ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আরো সচেতন হতে হবে যেখানেই অন্যায় সেখানেই প্রতিবাদ করতে হবে অনলাইনের মাধ্যমে। ব্লগের পাশাশি ফেসবুকে যদি তীব্র ভাবে প্রতিবাদ করা যায় যেকোনো অপরাধের বিচার হবে বলে অনেকটা বিশ্বাস করা যায় শিশু রাজন হত্যার পর থেকে। প্রশাসনে দলীয় করণ থেকে শুরু করে বিচার ব্যবস্থার ত্রুটি ,গুম খুন ,ছিনতাই, রাহাজানি সব কিছুর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারলে একটি সুন্দর সমাজ গঠনে নিজের ভূমিকার জন্য তৃপ্তি পেতে পারেন।
প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে এসব অপরাধ দেখে এই ছেলেরা এত সাহস কোথায় পায় অল্প বয়সে বিশাল বড় বড় অপরাধের ? তাহলে কি ধরে নেওয়া যায় সমাজের বর্তমান পরিবেশ তাদের এসব শিখাচ্ছে ?প্রশ্ন দেখা দেয় কি শিক্ষা দিয়ে ওদেরকে বড় করে তোলা হচ্ছে ? আর যেন কোনো বোন এরকম লাঞ্চিত হতে না হয় সে জন্য অপরাধীকে আইনের মাধ্যমে সঠিক বিচার দাবি জানাচ্ছি। সন্তানের অপকর্মের জন্য পরিবারের জবাবদিহিতা মূলক পদ্ধতি যেন বিচার ব্যবস্থায় যোগ হয় সেই প্রত্যাশা।
বিষয়: বিবিধ
১১১৯ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এটাও চলে আসবে হাতে যখন ক্যামেরা সবসময়ই থাকে
মানসিকতা সবসময়ই একপাক্ষিক হলে সেই সব সমস্যা কোন কালেই সমাধান পাবে না ।
একই এরকম একটা ভিডিও বের হয়েছিল বছর ৩/৪ এক আগে অন্জন চৌধুরী ( নাট্য নির্মাতা চয়নিকার হাজবেন্ড)কে নিয়ে ।
ভিডিও দেখেই লোকটি সম্পর্কে বোঝাই যাচ্ছিল যে কি রকমের লুইচ্ছা । কিন্তু যে মেয়েটি এটা করিয়েছে তার দূর্বল অভিনয়ের কারণে অন্জনেরা এখনও তাদের দাপট চালিয়ে যাচ্ছে ।
কাউকে ফাঁসাতে গিয়ে যদি অভিনয় করা হয় এবং সেটা কাঁচা হয়ে যায় তাহলে আসল ক্রিমিনালের পার পাওয়া সহজ হয়ে যায় ।
চাই উদ্দ্যেগ, চাই সচেতনতা, চাই প্রশাসনিক সহয়তা। ধন্যবাদ
আর যেন কোনো বোন এরকম লাঞ্চিত হতে না হয় সে জন্য অপরাধীকে আইনের মাধ্যমে সঠিক বিচার দাবি জানাচ্ছি। সন্তানের অপকর্মের জন্য পরিবারের জবাবদিহিতা মূলক পদ্ধতি যেন বিচার ব্যবস্থায় যোগ হয় সেই প্রত্যাশা
যথার্থ বলেছেন, সহমত
অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ,
মন্তব্য করতে লগইন করুন