লতিফ সিদ্দিকীর সরকার বিজয়ী
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০১:৪৭:১৯ রাত
আওয়ামী সরকারের অপ-কৌশলের কাছে হেফাজতে ইসলাম থেকে শুরু করে সকল ইসলামী রাজনৈতিক দল ও তৌহিদী জনতা পরাজিত। আমি শক্ত কন্ঠে বলতে পারি আওয়ামীলীগের সাথে আন্দোলনে জয়ী হওয়ার ক্ষমতা আজও দেশের কোনো ধর্মীয় দলের হয় নাই।এটাও জানি অনেকে বলবেন আওয়ামী সরকার অপশক্তি প্রয়োগ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিজয়ী হচ্ছে। আপনাদের এই কথা ও ফেলার মত নয় তবে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ ইসলামী রাজনৈতিক দল সমূহ বা তহিদী জনতা। ঢাল হিসবে ঈমানী শক্তি প্রয়োগের পদ্ধতি আজও শিখা হয় নাই।
অপ -কৌশলে আজ নাস্তিক লতিফ সিদ্দিকিকে সংসদে নিয়ে বক্তব্য প্রধান করতে সুযোগ করে দিল আওয়ামী সরকার। অনেকে বলবেন উনি পদত্যাগ করার জন্য সংসদে গেছেন। কিন্তু আমার কথা হলো সংসদে না গেলে কি পদত্যাগ করা যায় না ? আমরা দেখেছি দেশের প্রতিটি গ্রাম - গঞ্জ , শহর -বন্দরে নাস্তিক লতিফের বিরুদ্ধে মিছিল হয়েছে। সেই নাস্তিক আজ সংসদে প্রবেশ করে বক্তব্য দিয়েছে। আবার বক্তব্যের শেষে তওবা না করে সালাম দিয়েছে যা হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়। এই সেই ব্যক্তি যে তার রাজনৈতিক জীবনে বহুবার প্রকাশ্যে ইসলাম ও ইসলামের আকিদা বিশ্বাস নিয়ে কটুক্তি করেছে। আজ যদি সে আল্লাহর কাছে সংসদে দাড়িয়ে তওবা করে বক্তব্য দিত তখন আমরা মন থেকে ভালবাসতাম।
তবে ইনশা আল্লাহ এ দেশের তৌহিদী জনতা বিজয় অর্জন করবে সত্যের মাধ্যমে সঠিক কৌশলে। সময় আসবে লতিফদের মত ধর্মদ্রোহীরা পালবার পথ খোঁজে পাবেনা। মুসলিম , হিন্দু ,বৌদ্ধ , খ্রিষ্টান সহ সকল ধর্মের লোকের বসবাস বাংলাদেশে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য যারা কাজ করে তাদের ঘৃনা করি।
বিষয়: বিবিধ
১০৪০ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হাসিনা ইচ্ছা করেই কিছু বলির পাঠাকে সামনে ঠেলে দেয়। এ'বারের বলির পাঠা ছিল বলদ লতিফ।
সরকার বলেন কেনো বুঝিনা। বলুন সরকারে জোর করে বসে থাকা গুন্ডার দল।
বাইরের দেশগুলো থেকে চাপ এসেছে নিরবাচনের। পশ্চিমা দেশের সামনে সবচেয়ে উপযোগী মূলা হচ্ছে মৌলবাদ। লতিফকে পাঠা হিসাবে ব্যাবহার করে ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে চাঙ্গা করাটাই মুল উদ্দেশ্য ছিল।
হালে পানি পায়নি। এ'জন্যই নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়িটা একটু বেশি এখন।
আমি বলি বর্ডারে পাহারা বসাতে যেন একটা গুন্ডা পালিয়ে যেতে না পারে!
আল্লাহ ইসলাম প্রিয় জনতাকে জয়ী করবেন ইনশা আল্লাহ তখন ওরা পালাবার সুযোগ পাবে না।
ধন্যবাদ
যেহেতু ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করেছেন সেহেতু বাংলাদেশে থাকা ইসলামবিদ্বেষীরা তাকে প্রধান করে একটা দল বানাতেই পারে । নাস্তিকতার বেশধারী ইসলামবিদ্বেষী ব্লগাররা উনাকে গুরু মেনে এগিয়ে আসতে পারেন।
একদিকে হজ ও ওমরা করে অন্যদিকে মসজিদে হিন্দু ওসি ঢুকিয়ে মুসল্লী পিটানো, মাদ্রাসা বন্ধ করার মত কত সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কেউ কি প্রতিবাদ প্রতিরোধ করতে পেরেছে?
ইসলামী ফাউন্ডেশনের প্রধান বানানো হয়েছে, একজন অজ্ঞ এবং জাহেল প্রকৃতির মানুষকে। কবি রবীন্দ্রনাথকেও যদি সেই পদে বসানো যেত তাহলে মুসলমানদের উপকার বর্তমানের ব্যক্তিটির চেয়ে বেশী হত।
সরকার এগুলো জেনে বুঝে করেছে, যাতে করে ইসলাম আতুর ঘরে মারা পরে। আগের ইসলাম পালনকারীরা দৌড়ের উপর থাকুন, নতুন যারা তারা ভয়ে কোরআনকে জঙ্গী কিতাব বলে হাতে নিবেনা। বিশ বছর পরে মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ট দেশে ইসলামের তালাশে হাতে ম্যাগনিফাইং গ্লাস নিতে হবে।
আবদুল লফিত কে বক্তব্য বিবৃতি দিতে দিলে কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া হবে, সেটা সরকার আগেই মেপে নিয়েছেন। কেননা বাংলাদেশের মুসলমানদের ইমান মুখের মধ্য অন্তরের মধ্যে নয়।
মূলত যারা ইসলামের প্রচার প্রসারে কাজ করেন, তাদের অনেকেই অর্থ ও দয়ার কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন। যারা এর প্রকৃত গুরুত্ব বুঝেন তাদের সামনে ফাসির দড়ি লটকিয়ে দেখানো হচ্ছে।
শেখ হাসিনা ইসলামের যত না ক্ষতি করেছে, তার চেয়ে বেশী ক্ষতি করেছে আলেম সমাজ। তারা নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ থাকেনি বরং অন্যদের ঐক্য হবার ক্ষেত্রেও তারা বিরাট প্রতিবন্ধক। অনেক ধন্যবাদ
জাযাকাল্লাহ শক্তভাবে তিক্ত সত্য উচ্চারণের জন্য!!
সবর করাই এখন আমাদের কাজ!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন