নতুন করে মুলা ঝুলানো শুরু
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ০২ আগস্ট, ২০১৫, ০৭:২৮:৪৩ সন্ধ্যা
বাংলাদেশের রাজনীতিতে মুলার বড়ই কদর। যখন যার ইচ্ছে নিজের করে মুলা ঝুলাতে ভুল করেন না। বাংলাদেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে বুঝতে পারবেন প্রথম সরকার থেকে বর্তমান সরকার পর্যন্ত সবাই মুলা ঝুলিয়েছেন।
মুলা ঝুলানোর দুইটি স্থর বলেই জানতাম সাধারণ জনগনের নাক বরাবর আরেকটি হলো বিরোধী দলের চোখ বরাবর। কিন্তু এবার নতুন করে জাতীয় সংসদের বাহিরের রাজনৈতিক দলকে ও মুলা ঝুলিয়ে দেখানো হচ্ছে বা দেখাতে বাধ্য ।৫ জানুয়ারির প্রশ্নবিদ্ধ রাজনৈতিক খেলা কিংবা ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী সরকারের সেই সময়ের বক্তব্য ছিল সংবিধানের আইন রক্ষার জন্য সেই নির্বাচন। দেশের কোটি কোটি টাকা খরচ করে কিসের সংবিধান রক্ষার নির্বাচন ছিল সেটা জানা ছিল না আমাদের। তবুও সরকার গঠন করার পর একাধিক মন্ত্রী বলেছিলেন সময় ও সুযোগ মোতাবেক পুনরায় নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের জন্য আমরা কাজ করব। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন যে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার হরণের নির্বাচন ছিল সেটা বলা বাহুল্য। উক্ত নির্বাচন যে একটি তামাশা ছিল সেটা বিশ্ব জেনেছে দেখেছে । ক্ষমতার অপব্যবহার আর অস্ত্রের মহড়ার নির্বাচন আর দেশের জনগনের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসা এক নয় বা হতে পারেন। আদালতকে ব্যবহার করে নিরপক্ষ নির্বাচন পদ্ধতি বাতিল করে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি - জামায়াত জোটকে বাহিরে রেখে জয়ের নেশায় নির্বাচন করা আর গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনে জয়ী হওয়া এক নয়।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পূর্বে ও পর থেকেই আন্দোলন করে যাচ্ছে যারা নির্বাচন - নির্বাচন খেলায় অংশ নেয় নাই। আর সেই আন্দোলন থমকে দেওয়ার জন্য প্রায়ই আওয়ামীলীগ মুলা ঝুলিয়েছে ২০ দলীয় জোটের চোখ বরারবর। আর সেই মুলার জন্য বিএনপি -জাময়াত ও তাদের সহযোগী দল যে লাফায় নাই তা বলা যাবে না। আবার অনেকে বলেন লাফানতা নাকি রাজনৈতিক কৌশল। হলে হতে পারে সেটা রাজনৈতিক কৌশল। এখন আবার নতুন করে নির্বাচন হবে হচ্ছে এমনটা প্রচার করা হচ্ছে যা শুধুই মুলা ঝুলানো ছাড়া কিছুই নয়। মধ্যবর্তী নির্বাচন একটি মুলা যা শুধুই ঝুলবে কেউ হাত দিতে পারবে না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বলেছিলেন সংবিধান রক্ষার নির্বাচনে আমরা নির্বাচিত হেয়্ছি। তাহলে এত দিনে কি নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের অধিকার ফিরয়ে দেওয়া যায় না ? যখন কেউ বা কোনো পক্ষ নিজের ক্ষমতার অহংকারে অন্ধ হয়ে যায় তখন সে কারো কথা শুনে না। সেই সুত্রে বর্তমান সরকার কারো কথা শুনবে না এটাই সত্য ।আন্দোলন করলে খুন ,গুম, জেল ,জুলুমের শিকার হতে হয়। আন্দোলনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে ৫ তারিখের নির্বাচনের মাধ্যমে। এখন যা হতে পারে সেটা একমাত্র সরকারের ইচ্ছের ভিত্তিতে হবে। সরকার চাইলে জনগনের অধিকার ফিরিয়ে দেবে নয়তো আজীবন "জীয় তুম হেয়ে " হয়ে থাকবে।
বিষয়: বিবিধ
২২৮৬ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সরকার এখন নির্বাচন দিলে নির্ঘাত জিতবে কারণ অন্য দলগুলোর সাংগঠনিক শক্তি আর অবশিষ্ট নেই ।
জিতে তারা আরও ৫ বছর থাকবে , মানে ২০১৪ এর পর ২০১৯ এ যে নির্বাচন হবার কথা তা ২০১৫ এর মাঝামাঝিতে হবার ফলে সেটা ২০২০ বা ২০২১ এ গিয়ে পৌছাবে ।
বিএনপি ও তার জোটের উচিত হবে এখন নির্বাচন যাতে না হয় সেই আন্দোলন করা।
-জনগণ বিরোধী দল, সকল দলকে ঠিকই মূলা খাইয়ে ছেড়েছে সরকার। ধন্যবাদ আপনার দুরদর্শী বিশ্লেষনকে..
এখানে ও ধোকা !
মুলার নাম দিয়ে গাজর ঝুলানো
মন্তব্য করতে লগইন করুন