ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ১৬ মে, ২০১৫, ০৩:০০:২৫ রাত
ভারতের সকল আগ্রাসনের প্রতিবাদে আমাদের পূর্ব পুরুষরা ও ছিলেন শক্ত অবস্থানে।ভারত সবসময় বাংলাদেশের মাঠি ও মানুষের বিরুদ্ধে ছিল। ১৯৭১ সালে শুধু নিজেদের সার্থে তারা বাংলাদেশের পক্ষে ছিল।
ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে আজ থেকে ৩৬ বছর আগের এই দিনে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ‘মরণ ফাঁদ ফারাক্কা বাঁধ’ অভিমুখে হাজার হাজার মানুষের লংমার্চ হয়। ৩৬ বছর পূর্বের লংমার্চ আজ আবার বলে যায় ভারতের বিরুদ্ধে সবাইকে দলমত নির্বিশেষে দেশ রক্ষার জন্য আন্দোলনে না নামলে ৩৬ বছর কেন ৩৬ হাজার বছর চলে গেলেও ভারতের আগ্রাসন থেকে বাঁচা যাবে না।
টিপাই মুখে বাঁধ হলে সিলেট সহ বাংলাদেশের অনেক জেলা পানির জন্য হাহাকার করবে হবে । আবার সেই বাঁধ যদি নির্মান হয় আর কোনো দিন যদি ফাটল ধরে সিলেট সহ প্রায় আশেপাশের অনেক জেলা পানিতে তলিয়ে যাবে।
ভারত শুধু ফারাক্কা বাঁধই নয়, বাংলাদেশমুখী অর্ধশতাধিক নদীর পানি সরাসরি প্রত্যাহার করে চলেছে। এসব নদী এবং এর উপনদীগুলোর ওপর ভারত ৩ হাজার ৬ শ’টি বাঁধ বেঁধে ফেলেছে এবং আরো ১ হাজার বাঁধের নির্মাণ কাজ চলছে। সূত্র জানায়, ভারত পদ্মা-যমুনা তথা গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বেসিনে যে অর্ধশতাধিক মূল সেচ ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো নির্মাণ করছে তার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের শত শত নদী ও খালবিল পর্যায়ক্রমে পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। এর প্রতিক্রিয়ায় এমনকি মেঘনা ও তার শাখাগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এর ফলে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের কিছু এলাকা ছাড়া বাকি বৃহত্তর রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা ও সিলেট অঞ্চলের প্রায় ৩০টি জেলার ৭০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার প্রায় ৭ কোটি অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক লোকই সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। লাখ লাখ হেক্টর কৃষি জমি হারাতে বসেছে আবাদের যোগ্যতা।
সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবার। সময় এসেছে ভারতের দালালদের প্রতিহত করার। মাওলানা ভাসানী পেরেছেন বর্তমানের ভাসানিরা ও পারবে।" আমার দেশ " পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান চেষ্টা করেছিলেন জাতিকে ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে জাগ্রত করার যার ফলে ভারতের পা চাটা গোলামের গ্রেপ্তার করে রেখেছি ভাসানীর ছায়া মাহমুদুর রহমানকে। মাহমুদুর রহমান কে মুক্ত করে আবার ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১২৯১ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শেয়ার করার জন্য শুকরিয়া!
বাংলাদেশের চির শত্রু হলো ভারত!
একটি বন্ধুভাবাপন্ন প্রতিবেশী রাষ্ট্র হওয়ার চেয়ে আগ্রাসী মনোভাবই ভারতের স্বভাব!
দুঃখের বিষয়- ব্যক্তি ও দলের স্বার্থে এই রাষ্ট্রের গোলামী করতে উঠে-পড়ে লেগেছে কতকে!
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন!!
একটা স্বাধীন দেশ কিভাবে তার অস্তিত্বের জন্য হুমকি স্বরুপ এরকম কাজ শুরু করার জন্য পারমিশন দেয় আরেকটি রাষ্ট্রকে ? এতেই বোঝা যায় যে স্বাধীন হলেও বাংলাদেশের নিজস্ব স্বকীয়তা নেই ।
ফারাক্কা এখন অতীত । গজলডোবা , টিপাইমুখের মত লেটেস্ট ঘটনাগুলোও এখন বিস্মৃত।
একটা স্বাধীন দেশ কিভাবে তার অস্তিত্বের জন্য হুমকি স্বরুপ এরকম কাজ শুরু করার জন্য পারমিশন দেয় আরেকটি রাষ্ট্রকে ? এতেই বোঝা যায় যে স্বাধীন হলেও বাংলাদেশের নিজস্ব স্বকীয়তা নেই ।
ফারাক্কা এখন অতীত । গজলডোবা , টিপাইমুখের মত লেটেস্ট ঘটনাগুলোও এখন বিস্মৃত।
আজ মাওলানা ভাসানী অনুপস্থিতির অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে,
জাতির এ দুর্দিনে তাকে আজ প্রয়োজন। ধন্যবাদ আবারো।
একটা স্বাধীন দেশ কিভাবে তার অস্তিত্বের জন্য হুমকি স্বরুপ এরকম কাজ শুরু করার জন্য পারমিশন দেয় আরেকটি রাষ্ট্রকে ? এতেই বোঝা যায় যে স্বাধীন হলেও বাংলাদেশের নিজস্ব স্বকীয়তা নেই ।
ফারাক্কা এখন অতীত । গজলডোবা , টিপাইমুখের মত লেটেস্ট ঘটনাগুলোও এখন বিস্মৃত।
আমিও উনার সাথে একমত .....
এখন দেশের লেন্দুপ দর্জিদের লিষ্ট করে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন