ভয়ঙ্কর রূপ
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ১৩ এপ্রিল, ২০১৫, ০৮:৩৪:৫৫ রাত
মানবতা বলতে কিছুই নেই স্বপ্নের বাংলাদেশে। এখন যা আছে তা খুনিদের রক্ত মাখা হাত আর শকুনদের ভুত পেত্নীর মত হাসির শব্দ।আজ স্বাধীন (?) দেশে অধিকার বলতে কিছুই নেই। অধিকার যা আছে সেটা হত্যার অধিকার , গুমের অধিকার এবং জুলুমের অধিকার।
আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধের চেতনা মূলক মেশিন আছে যে মেশিন দিয়ে রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধা আর মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার বানানো হয়।এমনকি দেশের কিশোর যুবকদের ও রাজাকার বানানো হচ্ছে বিশেষ মেশিনের মাধ্যমে। তাদের এই মেশিন দিয়ে যাদের রাজাকার বানানো হবে তাদের খুন ,গুমের অধিকার আছে সবার। মেশিনে যে রাজাকার হবে তার বাবার ও যদি ১৯৭১ সালে জন্ম না হয় তবুও সে রাজাকার।
হত্যার অধিকার এমন ভাবে দেওয়া হয়েছে দেশের একটি রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারনে তার ভাইকে ধরে নিয়ে হত্যা করা যাবে। সেই হত্যা প্রশাসনিক ভাবে ও হয়। প্রশাসনিক ভাবে যে হত্যা করা হচ্ছে তার নাম ক্রসফায়ার।
গত পরশু রাতে রাজশাহী মহানগরী শিবিরের সেক্রেটারি জসিম উদ্দিননের ছোট ভাই শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে শুনেছি ফেসবুকের মাধ্যমে। আজ সকালে আবার সেই জসিম উদ্দিনের লাশের ছবি ফেসবুকে ! একটাই অপরাধ তার ভাই শিবির করে।
কি ভয়ঙ্কর রূপ এ দেশের অধিকারের ! এমন অধিকার কি স্বাধীনতার চেতনা ? চেতনা ব্যবসায়ীরা তাদের বাজার আগুনের মূল্যে রেখেছে। যে আগুনে পুড়ছে সমগ্র দেশ।মানবাধিকার লজ্জিত আর খুনিদের অধিকার প্রসারিত।
ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ এবং গ্রেফতার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকরচের বিষয়ে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২-এ সুন্দর করে লিখা আছে “আইনানুযায়ী ব্যাতীত জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হইতে কোন ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাইবে না।” অপরদিকে অনুচ্ছেদ ৩৩(১)-এ বলা আছে “গ্রেফতারকৃত কোন ব্যক্তিকে যথাসম্ভব শীগ্র গ্রেফতারের কারণ জ্ঞাপন না করিয়া প্রহরায় আটক রাখা যাইবে না এবং উক্ত ব্যক্তিকে তাঁহার মনোনীত আইনজীবীর সহিত পরামর্শের ও তাহার দ্বারা আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার হইবে বঞ্চিত করা যাইবে না।” অনুচ্ছেদ ৩৩(২)-এ উল্লেখ করা হয়েছে “গ্রেফতারকৃত ও প্রহরায় আটক প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মূখে গ্রেফতারের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে (গ্রেফতারের স্থান হইতে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আনয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সময় ব্যতিরেকে) হাজির করা হইবে এবং ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ব্যতিত তাঁহাকে তদতিরিক্তকাল প্রহরায় আটক রাখা যাইবে না।” কিন্তু আমাদের দেশে এখন কি হচ্ছে ? বিনা অপরাধে শুধু গ্রেপ্তার নয় গ্রেপ্তার করে ক্রসফায়ার নামে হত্যা করা হচ্ছে। নিরস্ত্র মানুষকে অস্ত্র দিয়ে গুলি করে ক্রসফায়ার বলা হচ্ছে। কিন্তু যখন দুই পক্ষের হাতে অস্ত্র থাকে আর সেই অস্ত্র বিনিময়ে খুন হলে পরে ক্রসফায়ার হিসেবে বিবেচিত হয়।
বাংলাদেশে কিছু মানবাধিকার কর্মী নামের শুকন আছে যারা ভুত পেত্নীর মত বিকট শব্দে হাসতেছে।এই শুকনদের কাছে দেশপ্রেমিক সাধারণ জনগণ ,রাজনীতিবিদ কিংবা পেশাজীবিদের জীবনের মুল্য নেই তাদের কাছে তাদের মত রক্ত পিপাসী শুকনদের মুল্য আছে।
বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ না জাগলে জনগণের নৈতিক অধিকার ফিরে পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। বিশ্বাস জাগে মনে একদিন দেশের মানুষ জাগবে খুন গুমের সমাপ্তি হবে শুকনরা দেশ ছেড়ে পালাবে।ইনশা আল্লাহ বাংলাদেশ প্রেমময় দেশে রুপান্তরিত হবে কিন্তু তার পূর্বে সবাই কে জাগতে হবে জাগার মত।
বিষয়: বিবিধ
৯৮২ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শাণিত লিখনটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
লেখাটি অনেক ভাল হয়েছে ভাইয়া অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন