আজ কিছুই বলার নেই
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ১১ এপ্রিল, ২০১৫, ১০:১২:১০ রাত
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন!
বাংলাদেশের জমিনে বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের আরো একজন বীর সিপাহ -সালার জালিমের হাতে খুন হলেন। আল্লাহ মোহাম্মদ কামরুজ্জামানকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন ,,আমীন
কি বলতে পারি ? কি বলার আছে ? আমরা এমন একটা মুসলিম দেশের জনগণ যাদের কাজ শুধু নিরবে সহ্য করা। দেশে যত বড় অপরাধ হবে তার বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না। দেশের বুদ্ধিজীবিদের মিথ্যে বিচার -বিচার নাটক মঞ্চস্থ করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হলেও আমরা কিছুই করতে পারিনা।
আমাদের ভাগ্য এত করুন হত্যাকরীদের নিয়ম অনুজায়ী আমাদের চলতে হয়। খুনিরা যেরকম হুকুম করবে সেরকম আমাদের মানতে হয়। খুনিরা আজ হত্যা করবে না কাল করবে সেটা ও শুনতে হয় ! রাত ১১ টার পূর্বে হত্যা করবে জানিয়ে দেয় আমরাও অপেক্ষা করি লাশ নিয়ে যাবার জন্য। খুনিরা খুন করার পূর্বে পরিবারের সাথে দেখা করার সুযোগ করে দেয় আমরা ও গিয়ে দেখা করি। খুনিরা খুন করার পূর্বে ইচ্ছের কথা জানতে চায় !! ( উফফফফ )
শহীদ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান দেশের একটি ইসলামী রাজনৈতিক দলের অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যার বয়স ছিল ১৭-১৮ বছর। ৪৬ বছর পরে সেই সময়কার কিশোর বালককে রাজাকার কমন্ডার বানিয়ে হত্যা করা হচ্ছে বিশেষ আদলত তৈরী করে এবং হুকুমীয় রায়ের মাধ্যমে । এই বিচার সম্পর্কে কিছুই বলার নেই কারণ দেশের জনগণ নিজ চোখে দেখতেছে একের পর এক বিচারের কলঙ্কের অধ্যায়। স্কাইপ কেলেঙ্কারী থেকে শুরু করে ডিফেন্স পক্ষের সাক্ষী গুম করা ,সাক্ষীদের মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া , আইনজীবিদের গুম করে ভয় দেখিয়ে ছেড়ে দেওয়া, আইনজীবিদের গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে বিদেশ থেকে আসতে কৌশলে বাধা দেওয়া ,প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাইব্যুনালের মান নিয়ে আলোচনা দেশে বিদেশে ,বিশ্বের একাদিক মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবাদ এই ট্রাইব্যুনালের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ।তাই শুধু বলা চলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য মানবতা বিরোধী অপরাধের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক এই বিচার ।
শহীদ কামারুজ্জামান শুধু রাজনীতিবিদ ছিলেন না উনি একজন কলাম সৈনিক ছিলেন ,দেশের অন্যতম বুদ্ধিজীবী ছিলেন। কামারুজ্জামানের দুটি অপরাধ ছিল ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া এবং দেশপ্রেম অন্তরে লালন করা। ১৯৭১ এ যে কিশোর কলেজ যাতায়াতে সময় পার করেছে ২০১৫ তে এসে সেই কিশোরকে রাজাকারের কমান্ডার বানিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হলো আর এই হত্যাকান্ডে যারা নিরব কিংবা আনন্দিত। তাদের বলতে ইচ্ছে করে তোমার বিবেক বলতে কি কিছু নেই? তুমি কি বুঝনা ১৮ বছরের কিশোরের কথায় গ্রামের মোড়ল পর্যন্ত চেয়ার থেকে উঠে না সেখানে কি করে আর্মি অফিসার তার কথায় উঠবে বসবে? কি করে ১৮ বছরের ছেলে এতো ধর্ষণ করবে?আদলতে যারা তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে এসেছে একজন সাক্ষী ও কামরুজ্জামানকে চিনে জানে বলে নাই শুধুই শিখানো কথা বলে গেল আর এই সাজানো মিথ্যা সাক্ষ্য, ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আমাকে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত দিয়ে দিল সত্য বলতে হবে নয়তো কামারুজ্জামান হত্যার দায় তোমাকে নিতে হবে! তোমাকে ও একদিন বিচারের আওতায় আসতে হবে যদি দুনিয়ায় সম্ভব না হয় আখেরাতে পার পাবে না নিশ্চয়।
আমরা আমাদের ঈমানকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। আমাদের দেশে ইসলামী অনুষ্টানে লক্ষ্য লক্ষ্য জনতার আগমন দেখা যায় কিন্তু সে অনুষ্টান থেকে যা শুনা হয় তা কাজে লাগতে অনেক কম লোককে দেখা যায়। তাই বলি তথাকথিত বিশ্ব ইজতেমায় কিংবা ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত থেকে মাথা নাড়িয়ে জিকির পড়লে চলবে না সত্যের পক্ষে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে।মহাগ্রন্ত আল কোরান এবং মহা নবী রাসুলে পাক ( স: ) এর হাদিস অনুযায়ী চলতে হবে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে খুনিদের বিরুদ্ধে নিজেকে প্রতিবাদী হিসেবে জাহির করতে হবে। মহান আল্লাহর পরীক্ষা হিসেবে আমাদের সামনে হাজির হয়েছে এই জুলুম নির্যাতন। আমাদের কে ও এই পরীক্ষায় পাস হওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
পরিশেষে শহীদ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান উনার আইনজীবিদের কাছে বলা কথা জানিয়ে দিতে চাই ‘বাংলাদেশের এমন কোন এলাকা নেই যেখানে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের রক্ত ঝরেনি। আন্দোলনের কর্মীদের এ রক্ত কখনো বৃথা যেতে পারে না।’ তিনি কারাগারে আটক তরুণদের কারাবরণের দৃশ্য উল্লেখ করে বলেন, ‘তাদের এ ত্যাগ ও কুরবানী কখনো বৃথা যেতে পারে না। তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বেই আগামী দিনে বাংলাদেশের এই জমিনে ইসলাম বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ্। আল্লাহর দ্বীনের এই অগ্রযাত্রা রুখার সাধ্য কারো নেই।’ তিনি বলেন, ‘এই দেশ শাহ-জালাল, শাহ-মাকদুম, শাহ-পরানসহ অলি-আওলিয়ার দেশ। তাদের সেই চেতনা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে আন্দোলিত করবে। জনগণ জেগে উঠবে এবং ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ একমাত্র ইসলাম। এই জমিনে আল্লাহর দ্বীন অবশ্যই বিজয় লাভ করবে ইনশাআল্লাহ্।’
বিষয়: বিবিধ
১২৬৮ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বেই আগামী দিনে বাংলাদেশের এই জমিনে ইসলাম বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবেই হবে ইনশাআল্লাহ্।
আল্লাহর দ্বীনের এই অগ্রযাত্রা রুখার সাধ্য কারো নেই।’ তিনি বলেন, ‘এই দেশ শাহ-জালাল, শাহ-মাকদুম, শাহ-পরানসহ অলি-আওলিয়ার দেশ। তাদের সেই চেতনা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে আন্দোলিত করবে। জনগণ জেগে উঠবে এবং ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ একমাত্র ইসলাম। এই জমিনে আল্লাহর দ্বীন অবশ্যই বিজয় লাভ করবে ইনশাআল্লাহ্।’ একশত ভাগ সহমত।
ন্যায় ও চেতনা উদ্দীপক লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
প্রতিশোধ নেওয়ার আছে।
আল্লাহ উত্তম অভিভাবক! উত্তম হিফাজতকারী! উত্তম ন্যায়বিচারক তাঁর কাছেই অন্তরের সকল ব্যথা, দুঃখ- অভিযোগ সোপর্দ করলাম!
আল্লাহ মরহুম ভাইয়ের যাবতীয় গুনাহখাতা মাফ করে দিন, উনার উপর রহমাহ বর্ষন করুন,উনার কবরকে প্রশস্থ করে দিন, উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের অতিথি হিসেবে কবুল করে নিন!
আল্লাহ উনার পরিবার পরিজনদের সবর করার তৌফিক দান করুন, সন্তানদের সাদাকায়ে জারিয়াহ হিসেবে নেককার সন্তান হওয়ার তৌফিক দিন! আমীন! ইয়া রব্বুল আলামীন!
যা চোখ দিয়ে সামনে দেখি আমরা
তা কিন্তু পুরো ঘটনা নয়......
সামনে কিছু মানুষ হারলেও
পেছনে তাদের জয়!!
জীবন যুদ্ধে রক্ত নয়
দাম শুধু নিঃশ্বাসের....
মরে গেলে দেহ নয়
কথা রয়ে যায় বীরের...।
বেদনার ক্রন্দন নয়
রক্তের অমিয় শিশির,
একদিন আসবে হেসে হেসে
ভরবে জান্নাতের তীর।
এর চেয়ে বেশী কিছু
কি আর বলো দরকার?
দুনিয়ার প্রভাব ক্ষণস্থায়ী
চাহি আখেরাতে ন্যায় বিচার।
বিচারের বাণী কাঁদে নীরবে
কিছু পশুত্বের আত্ম চিৎকার!
মহান রবের নিকটে আমাদের
চাওয়া আমাদের আলো আঁধার।
ইসলামী আন্দোলনের পথিকৃত।
সকল জুলুমের অবসান ঘটিয়ে মহান আল্লাহ মাজলুমদের স হায় হোন!
শহীদ কামারুজ্জামান কে জান্নাতের প্রিয় মেহমান করে নিন-এই দোয়া!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন