বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্ক
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ০৫ এপ্রিল, ২০১৫, ০৭:৫৯:২৮ সন্ধ্যা
পত্র পত্রিকায় বাংলাদেশের নামের পাশে ভারত যুক্ত দেখলেই মনে করতে হয় আবার কিছু হয়েছে। এ টু জেড ইংরেজি অক্ষরের শুরু থেকে শেষ ,আর গুলি থেকে লাশ বাংলাদেশ -ভারতের সম্পর্কের শুরু থেকে শেষ। গুলি থেকে লাশের মধ্য খানে রয়েছে শুষণ ,কুটনৈতিক শত্রুতা ,বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়ে ভারতের নগ্ন হস্থক্ষেপ , ট্রানজিট নামের মিছে ভালোবাসা প্রধান করা হচ্ছে ভারতকে, রয়েছে পানি না দেওয়ার শত্রুতা।
বাংলাদেশ নাম ভারতের কাছে একটা মহা শত্রু হিসেবে পরিচিত বলে মনে হচ্ছে ভারতের কর্মকান্ডে। ইংরেজি অক্ষরের এ টু জেডের ন্যায় ভারত বাংলাদেশকে পেছনের রাখার অপকৌশলের পন্থা হিসেবে কুটনৈতিক তত্পরতা চালায়। সীমান্ত থেকে শুরু করে ক্রিকেট মাঠ শুধু নয় দেশের ভেতর ঢুকে নগ্ন হস্থক্ষেপ করে যাচ্ছে ভারত। সীমান্তে পাখির মত খুন করা শত্রুতার প্রথম প্রমান। বিশ্বের এমন কোনো দেশ আজ পর্যন্ত বলে নাই তাদের সীমান্তে এরকম খুন হয়েছে ।কিন্তু আমাদের দেহ্সের সীমান্তে খুন হচ্ছে হরহামেসা।
আজ রোববার যশোরের মানবাধিকার সংগঠন রাইটস এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছে শুধু দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ১০ জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন
আরো সগঠনটি আরো বলেছে বিএসএফ ১৩ জন বাংলাদেশীকে অপহরণ ও সাতজনকে নির্যাতন করে। সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক বিনয়কৃষ্ণ মল্লিক বক্তব্যের মাধ্যমে এই তত্ত্ব উপস্থাপন করেন।
ফারাক্কা মুখে বাধ এবং টিপাই মুখে বাধের কাজের মাধ্যমে ভারত তাদের শত্রুতার চূড়ান্ত রূপ দেখাতে সক্ষম হয়েছে।
ক্রিকেট মাঠে আম্প্যার কে অর্থের মাধ্যমে ক্রয় করে আইসিসিকে কুটনৈতিক ভাবে বেহাল করে বিশ্বকাপ ক্রিকেট থেকে বাংলাদেশের স্বপ্নকে গুলি করে হত্যা করেছে ততাকথিত বন্ধু দেশ ভারত।
প্রবাসে ভারত তাদের ফায়দা হাসিলের জন্য প্রতিনিহত বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে কুটনৈতিক অত্যাচার করে যাচ্ছে। সুযোগ পেলেই বাংলাদেশী প্রবাসীদের বিরুদ্ধে তাদের মানুষ দ্বারা পরিচালিত গণমাধ্যমের মাধ্যমে অপপ্রচার চালায়। বিদেশী রাষ্টগুলোর কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলে নির্লজ্জের মত।
বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়ের প্রতিও নগ্ন হস্থক্ষেপ করে যাচ্ছে ভারত। বিশ্ব দেখেছে কি ভাবে একটি পাতানো নির্বাচনের পক্ষে সরাসরি অবস্থানের মাধ্যমে ভারত তাদের প্রিয় দলকে ভোট বিহীন বিজয়ে সহায়তা করেছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে দেখা গেছে নির্বাচন নামের খেলার পূর্বে এবং পরে সাতক্ষীরা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশের প্রশাসনের সাথে ভারতীয় নাগরিক দ্বারা হত্যা ,নির্যাতন,ধ্বংশ লীলার তান্ডব পরিচালিত হতে ।
মুসলিম রাষ্ট বাংলাদেশে গরু খাওয়া নিয়ে কথা বলে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্গন করা শুরু করে দিয়েছে ভারতের বেহায়া মন্ত্রীরা ।
সময় এসেছে ভারতের বিরুদ্ধে চিনের মত হুঙ্কার দেওয়ার। চীন যখনই এক হুঙ্কার দেয় ভারত মাঠির নিচে গিয়ে মাথা লুকায়। ভারতকে প্রতিহত করার জন্য প্রয়োজনে চিনের সাথে ঐক্য গড়তে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৮২৫ বার পঠিত, ৩১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এত কাহিনী করার কিছু নেই । কয়দিন বাদেই যখন লাক্সের আমন্ত্রনে দীপিকা আসবে তখন তাকে নিয়ে পাগলামী শুরু হয়ে যাবে ।
তার My body , my mind , my choice নিয়ে সর্বত্র আলোচনা হবে ।
উপমাটা মনে হয় সাদৃশ্যপূর্ণ হয়য় নি! অ্যা টু জেড কিভাবে কাকে পেছনে ফেলে?
চীন আপনার বন্ধু হয়ে গেলো???? চীনের উইগুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ইতিহাস জানা আছেতো???? ভারত যদি মুসলিম সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের স্ট্রীম রোলার চালায়, চীন কি উইগুর সম্প্রদায়ের উপর একই ভাবে ইতিহাসের জঘন্যতম অত্যাচার চালাচ্ছে না? তাহলে কেমন করে তাদের সহযোগিতা চাইবেন?
আমি ভৌগলিক ভাবে সীমান্ত হত্যার বিষয়ে ঐক্য বলেছি।
পোস্টটি বুঝতে না পারলে আমার ব্যর্থতা।
মনে রাখবেন বাংদেশটাই ভারতের মুখের ভিতর ৭১ সালে পুরে দিয়েছেন, বিডিআর তুলে চৌকীদার রেখেছেন৷ চিবিয়ে খেতে সময় লাগবে না৷ এখনও খায়নি এটাই পুরষ্কার৷
খুব ভালো লাগলো আপনার সচেতনতামূলক লিখাটি পড়ে।
তিন দিক বেষ্টিত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুশমন হল এই রেন্ডিয়া! চেতনার ফেরীওয়ালা লীগ ছাড়া কেউ এ সত্য অস্বীকার করে না!!
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন